ওয়েব সিরিজ রিভিউ : মহানগর ( এপিসোড ৩,৪)।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইউটিউব থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
----- | ----- |
---|---|
সিরিজের নাম | মহানগর-১ |
পরিচালক | আসফাক নিপুন |
ক্যাটাগরি | ওয়েব সিরিজ |
প্লাটফর্ম | হইচই |
ভাষা | বাংলা |
পর্ব | ৮ |
অভিনয় | মোশারফ করিম, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, শ্যাভল মওলা, খায়রুল বাশার, জাকারিয়া বারী মোমো,নাসির উদ্দিন খান আরও অনেকে। |
ব্যক্তিগত রেটিং | ৯/১০ |
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় ওসি হারুন আলমগীর চৌধুরী অর্থাৎ আফনান চৌধুরীর বাবার সাথে কথা বলছে। এবং কথা শেষে সে বলে ঠিক আছে ২০ লাখ দিলেই হবে। এরপর ওসিসি হারুন তার সেই চিরচেনা ডায়ালগ দেয় দুইটা কথা মনে রাখবেন ক্রিমিনাল এবং টাকা যদি থাকে নসিবে আপনা আপনি আসিবে। অন্যদিকে থানার সামনে সব মিডিয়া এবং সাংবাদিক এসে ভরে গিয়েছে। এটা দেখে ওসি হারুন রেগে যায়। এবং মলয় কে বলে এদের কে খবর দিয়েছে। এরপর হঠাৎ সরকারি পুলিশ কমিশনার থানায় চলে আসে। উনি একজন মহিলা। উনি এসেই ওসি হারুনকে বলে আমার রুমে আসেন। উনি যে সৎ একজন অফিসার সেটা প্রথমেই বোঝা যায়।
এরপর উনি এবং ওসি হারুন কথা বলে। ওসি হারুনের কথা উনি বিশ্বাস করতে চাই না। কারণ উনি জানে ওসি হারুন কেমন মানুষ। এইজন্য উনি মলয় এর সাথে কথা বলে। তখন মলয় বলে ম্যাম একজন সাক্ষী দিতে এসেছিলেন কিন্তু ওসি স্যার ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। তখন এটা শুনে ঐ ম্যাম আরও রেগে যায়। এরপর উনি আফনান চৌধুরী কে নিজের রুমে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞেস করে। পরবর্তী দৃশ্যে দেখা যায় আফনান চৌধুরী আমজাদ সাহেব কে বলছে গাড়ির চাবি দেন আমি বাড়ি চলে যায়। আমজাদ সাহেব এবং ওসি হারুন উনাকে বোঝানোর চেষ্টা করলে একপর্যায়ে আফনান ওসি হারুন কে থাপ্পড় মারে। থাপ্পড় খেয়ে ওসি হারুন যেন অবাক হয়ে যায়। এখানেই শেষ হয় এপিসোড টা।
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় একটা ভ্যানে করে একজন একটা লাশ নিয়ে যায় এবং সেটা কোথাও লুকিয়ে আসে। এবং বলে কাল সকালে এসে নিয়ে যাব। ঐদিকে ফোনে আলমগীর চৌধুরী তার ছেলের এমন কান্ডে দুঃখ প্রকাশ করে ওসি হারুনের কাছে। ওসি হারুন বলে আমি সব ভুলে গিয়েছি কিন্তু টাকা লাগবে। সে বলে আমি ভুলে গেলেও এখানে যে দুজন কনস্টেবল ছিল ওরা ভোলেনি ওদের টাকা দেব খুশি হবে। এরপর সে আরও ২০ লাগ টাকা দাবি করে। এরপর যখন ঐ জায়গার ফুটেজ খুজতে যায় মলয় গিয়ে দেখে ফুটেজ নেই। তখন সহকারি কমিশনার বুঝতে পারে এটা ওসি হারুনের কাজ। কিন্তু এবারও ওসি হারুন পুরোপুরি বের হয়ে যায়।
পরের দৃশ্যে দেখা যায় ঐ কমিশনার আমজাদ সাহেব কে চলে যেতে বলে। অন্যদিকে আফনান এবং ওসি হারুন একসঙ্গে বসে রয়েছে। এমন সময় ওসি হারুন খাবার খেতে খেতে জিজ্ঞেস করে পার্টিতে গিয়েছিলেন বলেন তো কী কী হলো ওখানে। ওখানের কিছু ঘটনা আফনান চৌধুরী বলে ওসি হারুন কে। এরপর দেখা যায় মলয় ছাদে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে এমন সময় ওসি হারুন গিয়ে বলে কাল তো তোমার স্ত্রীর ডেলিভারি কখন যাবা। তখন মলয় বলে স্যার ছুটির আবেদন তো আপনার টেবিলে। তখন ওসি হারুন বলে ঠিক আছে আমি দেখে নিব কাল চলে যেও। পরবর্তী দৃশ্যে দেখা যায় থানায় এক মহিলা আসে তার স্বামীর খোঁজ করতে। সে শুনেছে তার স্বামী নাকী এক্সিডেন্ট করেছে। কিন্তু তার কথা কেউ শুনছে না। এখানেই শেষ হয়
এই এপিসোড টা।
ব্যক্তিগত মতামত
মহানগরের প্রথম দুই এপিসোডে ধারণা দেওয়া হলেও এই দুই এপিসোডে ঘটনা আরও গভীর হয়। আফনান চৌধুরীর অ্যাক্সিডেন্ট কেস ওসি হারুন টাকা দিয়ে চাপা দিতে চাই কিন্তু হঠাৎ অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার আসার ফলে সেটা আর হয় না। অন্যদিকে আরও কিছু রহস্যের সৃষ্টি হয়। যেগুলোর সমাধান পরবর্তী পর্বে দেখা যাবে। এখন পযর্ন্ত অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। কাহিনী খুবই সুন্দর ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অফিশিয়াল ট্রেইলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.