নতুন বই কেনা!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
কথায় বলে অতিরিক্ত কিছুই ভালো না। অর্থাৎ ভালো কিছুও অতিরিক্ত ভালো না। সবকিছুরই একটা নির্দিষ্ট সীমা থাকা দরকার আর এই অতিরিক্ত টা কে অন্য ভাষায় বলে নেশা। সত্য বলতে আমার কোন নেশা নেই। কোন কিছুর প্রতিই আমার সেরকম আসক্তি নেই। তবে ফুটবল টার প্রতি একটু বেশি আকৃষ্ট আমি এটা ঠিক। কিন্তু ইদানিং আমার একটা নেশা তৈরি হয়েছে। সেটা হলো বই পড়ার এবং বই কেনার নেশা। তবে সেগুলো কিন্তু আমার একাডেমিক কোন বই না। বাঙালির সাথে সাহিত্যচর্চার একটা গভীর সম্পর্ক আছে। যদিও আমি ঐরকম কোন পাঠক না। তবে ইদানিং মোটামুটি ভালোই বই পড়া হয়। এখন সময় পাই না তবুও প্রতিদিন ঘন্টাখানেক হলেও বই পড়ার চেষ্টা করি। এটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে।
আর আরেকটা সমস্যা আমার এখন বই দেখলেই কিনতে ইচ্ছা করে। আমি ফেসবুকে অনেক গুলো বইয়ের বিক্রয় করে এমন পেইজ এ এড আছি। তারা সবসময় সুন্দর সুন্দর অফার দেয়। আর সেগুলো দেখলেই মনে হয় বই কিনি। কী একটি বিপদ বলেন তো। টাকাও তো একটা সমস্যা। যদি আমাদের সৈয়দ মুজতবা আলী বলে গিয়েছেন বই কিনলে কেউ দেউলিয়া হয় না। কিন্তু তারপরও একটা ব্যাপার আছে। গত মঙ্গলবারের কথা। হঠাৎ ফেসবুক ক্রল করতে করতে বইনগর পেইজ থেকে দারুণ একটা অফার দেখলাম। তিনটা বইয়ে প্রায় ৫০% ডিসকাউন্ট সঙ্গে বুকমাক ফ্রী। দেখে আমি আর নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি। আর মোটামুটি মাসখানেক কোন বই কিনি না। সেজন্য ওদের ম্যাসেনজারে গিয়ে নক দেয়।
৫০% ডিসকাউন্ট এবং ডেলিভারি চার্জ মিলিয়ে ৫০০ টাকা আসে। ৫০০ টাকায় তিনটা প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বই। এদের মধ্যে ছিল হেলেন হ্যানফ এর লেখা ৮৪, চ্যারিং ক্রস রোড বইটা অনুবাদ করা। এছাড়া ছিল শরিফুল হাসান এর রেড পয়জন এবং সেইশি ইয়োকোমিজো এর ডেথ অন গোকুমন আইল্যান্ড বইটা। এটাও অনুবাদ করা। অর্ডার করে আমি তখনই পেমেন্ট করে দেয়। এবং বলি কালই যেন ডেলিভারি করে দেয়। এবং আশ্চর্যের বিষয় সেটাই করে। বৃহস্পতিবার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস যাএাবাড়ি শাখা থেকে আমাকে ফোন করে। কিন্তু ব্যস্ত থাকার জন্য আমি শুক্রবার যায়। গিয়ে বলতেই তারা আমার নাম্বারা মিলিয়ে বইটা দিয়ে দেয়।
এবার বইগুলো খুলে দেখার সময়। তারা খুবই সুন্দর কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে র্যাপিং করে দেয়। সেটা খুলে যখন একে একে বই গুলো বের করলাম তখন যেন অনূভুতি টাই ছিল আলাদা। আমার সংগ্রহে আরও তিনটা বই যুক্ত হলো। বইগুলো খুবই ভালো লেগেছে দেখে। যদিও এখনও পড়া হয়নি এক এক করে সবগুলো পড়ব। তবে আরেকটা মজার বিষয় যেটা আমি তখন খেয়াল করিনি কিছুক্ষণ পরে দেখি রেড পয়জন বইটার মধ্যে লেখক শরিফুল হাসান এর অটোগ্রাফ। বিষয়টি আমাকে বেশ অবাক করেছে সঙ্গে সঙ্গে আনন্দিত করেছে। এটা সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না আবার তারাও কিছু বলেনি। যতদূর জানি লেখকরা বিশেষ ক্ষেএে তাদের প্রথম ৫০০ বা ১০০০ বইয়ে তাদের অটোগ্রাফ দিয়ে থাকেন। আমার বইটাও সেটার মধ্যে একটা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বই পড়া এবং কেনার প্রতি আপনার আসক্তি এবং এই নেশার বর্ণনা খুবই সুন্দর। বই প্রেমী হিসেবে আপনার অনুভূতি এবং উত্তেজনা প্রকাশ পেয়েছে এই লেখায়। বিশেষ করে, বই কেনার অভিজ্ঞতা এবং লেখকের অটোগ্রাফ পাওয়ার বিষয়টি আপনার পোস্টকে আরও বিশেষ করে তুলেছে। আপনার লেখনীতে আমি সত্যিই প্রভাবিত হয়েছি। অনেক ভালো লাগলো, ভাইয়া।
বই পড়ার অভ্যাস আমার অনেক ছিল।বই কেনা ও হতো প্রচুর। আমি ইন্টার মিডিয়েট পড়ার সময় থেকে বই পড়া ও কেনা দুটোই করে আসছি।তবে এখন সব কিছু সামলে আসলে বই পড়ার সময় সুযোগ হয়ে উঠে না।প্রায় বছর খানেক আগে নিলক্ষেত একটা কাজে গিয়ে বই (উপন্যাস) নিয়ে এসেছিলাম।কিন্তু আজ ও পড়া হয়নি।আপনার নতুন তিনটি বই পাওয়ার অনুভূতি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এই অনুভূতি আমার ও হয় এখন ও নতুন বই পেলে।একটি বইয়ে লেখকের অটোগ্রাফ ছিল।বিষয়টি সত্যি ই দারুন।বই পড়ার ও কেনার অভ্যাসটি ধরে রাখবেন ভাইয়া।অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।