হঠাৎ টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে ( শেষ পর্ব )।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমাদের সবার জীবনেই এমন বন্ধু আছে। যারা সবসময় আমাদের অপেক্ষা করিয়ে থাকে। এইরকমই একজন হচ্ছে আমার বন্ধু লিখন হা হা। যাইহোক আমি টাঙ্গাইল পুরাতন বাসস্ট্যান্ড গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু লিখনের দেখা নেই। অবশেষে প্রায় ৩০ মিনিট মহাশয় আসল। যাইহোক দিনটা ওর জন্য অনেক স্পেশাল ছিল বলে কিছু বললাম না। তারপর আমরা ওখানেই একটা হোটেলে যায় নাস্তা করার জন্য। যথারীতি আমি পরোটা এবং সবজি খাই। আমাদের এদিকের পরোটা এবং ঐখানের পরোটার মধ্যে বেশ পার্থক্য আছে। খাওয়া শেষ করেই আমরা দুজন চলে গেলাম আমাদের গন্তব্যে। সত্যি বলতে কোথায় যেতে হবে কিছুই জানতাম না। শুধু লিখনের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছি। একটা রিক্সা নিয়ে আমরা দুজন গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কিছুক্ষণ পরেই একেবারে ফাঁকা স্থানে চলে গেলাম।দুই পাশে শুধু মাঠ আর মাঠ। এবং রাস্তা টাও বেশ খারাপ।
অবশেষে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌছে গেলাম। সময় তখন সাড়ে দশটা। আমরা ওখানে মোটামুটি দেড়ঘন্টার মতো ছিলাম। আমাদের কাজ শেষ হয়েছিল দুপুর বারোটার দিকে। কী কাজে গিয়েছিলাম সেটা আপাতত বলতে পারছি না। একটু সিক্রেট ব্যাপার। যাইহোক কাজ শেষ করে আমরা টাঙ্গাইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এর সামনে একটা রেস্টুরেন্টে বসি। বেশ গরম ছিল। ঠান্ডা হওয়ার জন্য লিখন মিল্কশেক অর্ডার করে। কিন্তু মিল্কশেক টা খুবই বাজে ছিল। মনে হচ্ছিল আইসক্রিম দিয়ে দিয়েছে। যাইহোক কোনোরকম ঐটা শেষ করলাম। এবং বেশ কিছুক্ষণ ওখানে বসে গল্প করলাম আমরা। তখন দুপুর হয়ে গিয়েছে। আমাদের খেতে হবে। সেজন্য আমরা আবার চলে আসলাম পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে। সেখানে একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। গিয়ে মেন্যু কার্ড দেখে চিকেন বিরিয়ানি, সফট ড্রিংকস ফালুদা অর্ডার করলাম।
অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের খাবার পরিবেশন করল। চিকেন বিরিয়ানিতে দেওয়া রোস্ট টা খুবই বাজে ছিল। মনে হচ্ছিল বাসি খাবার। কিছু বলার ছিল না। মোটামুটি খাওয়া শেষ করলাম। তবে ফালুদা টা বেশ ভালো ছিল। খাওয়া শেষ করে আমরা দুজন আরও বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলাম। আমি কবে বাড়ি যাব লিখন কবে যাবে এই নিয়ে বেশ অনেক কথা হলো। টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে আমার ট্রেন ছিল ৪ টার সময়। এবং তখন বাজে মাএ ২ টা। কী আর করার। লিখন চলে গেল। এবং আমি একটা রিক্সায় করে টাঙ্গাইল স্টেশনে চলে আসলাম। যাওয়ার সময় টাঙ্গাইল স্টেশন টা ভালোভাবে ঘুরে দেখা হয়নি। সেজন্য প্রথমে গিয়েই স্টেশন টা ঘুরে দেখি। মোটামুটি বেশ ভালো এবং পরিষ্কার একটা স্টেশন। তবে একেবারে জনশূণ্য বলা চলে। ট্রেনের সময় ছাড়া একেবারে লোকশূণ্য থাকে স্টেশন টা।
এরপর আমি বসে আছি। কিন্তু এতোক্ষণ কী করব? হঠাৎ দেখলাম টিকিট কাউন্টারের পাশেই একটা বুক শেলফ এবং তার মধ্যে বেশ কিছু বই। এইটা নিয়ে একটা পুরো পোস্ট করব। সেখান থেকে একটা বই নিলাম। পুরো বই জুড়ে রয়েছে শুধু কবিতা। বসে বসে কবিতা পড়লাম। ঐ সময়ে বইটা শেষ করে ফেললাম। যে কবিতা গুলো ভালো লেগেছিল সবগুলো পড়ে ফেললাম। ততক্ষণে ট্রেনের সময় হয়ে গিয়েছে। এবং শুনতে পেলাম কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন আসবে। সাধারণ চেয়ারে সিট না পাওয়াই আমি এসি কামড়ায় টিকিট কেটেছিলাম। ২০ মিনিট দেরিতে ট্রেনটা চলে আসে। এবং আমি আমার কামড়া উঠে আমার সিটে বসে পড়ি। এসি ট্রেনে এটাই আমার প্রথম যাএা। সেজন্য অন্যরকম একটা অনূভুতি হচ্ছিল। আর বেশ ভালো সুযোগ সুবিধা ছিল ট্রেনের মধ্যে। মোটামুটি সাড়ে ছয়টার দিকে আমি বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে পড়ি। এবং আমার যাএা শেষ হয়। প্রথমবার টাঙ্গাইল ভ্রমণ টা বেশ ভালো ছিল।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | অক্টোবর ,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই ভাই ,আমার জীবনেও এরকম অপেক্ষা করিয়ে রাখা বন্ধুর অভাব নেই, সব সময় খুব একটা খারাপ না লাগলেও মাঝে মাঝে কিন্তু খুবই বিরক্ত লাগে অপেক্ষা করতে। আপনাদের খাবারের বেশিরভাগই খারাপ ছিল জেনে খুবই খারাপ লাগলো। তবে ফালুদা টা ভালো ছিল জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক সবমিলিয়ে পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।
বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করে পরে বন্ধুর দেখা পেলেন।যাই হোক কাজটা কি জানা হলো না।তবে খাবার গুলো বেশীর ভাগই খারাপ ছিল।আর ফালুূদা খুব মজা করে খেয়েছেন। কারন স্বাদটা বেশ ভালো ছিল।ফেরার ট্রেনে এসি কামড়ায় গেলেন এই প্রথম সুন্দর অনুভূতি নিয়ে। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।