শখের ফটোগ্রাফি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সবাই কেমন আছেন। আশাকরি ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভালো আছি তবে সেটা শারীরিক ভাবে। মানসিক ভাবে যে খুব ভালো আছি সেটা না। বলতে গেলে যথেষ্ট বিপর্যস্ত আছি। গতকাল রাতে হঠাৎ একটা খবর পেয়ে আমার দুনিয়া ঘুরে গিয়েছে। আমার একান্ত ব্যক্তিগত মানুষ খুব কম আছে। আমার খুবই কাছের একজন মানুষের বাবা গতকাল মারা গিয়েছে। বিষয়টি জানার পরে আমি কীভাবে তাকে সাত্ত্বনা দিব সেটা আমার জানা নেই। এবং এই পরিস্থিতিটা যে আমি কীভাবে নিব বুঝতেছি না। যাইহোক আজ কিছু ফটোগ্রাফি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব। ফটোগ্রাফি গুলো বিভিন্ন সময়ে আমি ধারণ করেছিলাম।
- এই জিনিস টা কী সেটা নিশ্চয়ই আপনাদের বলে দেওয়া লাগবে না। হ্যা এটা ফুসকা। ফুসকা আমার বেশ পছন্দের। প্রায়ই খাওয়া হয়। সেদিন সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হয়ে হঠাৎ মনে হলো ফুসকা খাই। আর খাওয়ার আগে এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। তবে ফুসকা কিন্তু ছেলেদের থেকে মেয়েদের বেশি পছন্দ।
- বতর্মানে আমি যে নতুন ইন্ডাস্ট্রি তে কর্মরত আছি সেই ইন্ডাস্ট্রি টা অনেক বড় একটা এলাকা নিয়ে গঠিত। গেট দিয়ে ঢুকতেই বাম হাতে ইন্ডাস্ট্রি এরিয়ার মধ্যে রয়েছে এই পুকুর টা। পুকুরের পানি বেশ টলটলে চারিপাশে গাছ। সবমিলিয়ে বেশ সুন্দর একটা পরিবেশ। সেদিন আমি পুকুরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ঐসময়ে ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
- এই ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম বাসে বসে চলন্ত অবস্থায়। বাইরে প্রচণ্ড মেঘ ছিল। মনে হচ্ছিল এখনই বুঝি আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামবে। তো ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। একটা ছবি একটু ঝাপসা আসলেও অন্য টা মোটামুটি ক্লিয়ার আছে। গাছপালার মধ্যে দিয়ে আকাশ টা বেশ লাগছে দেখতে।
- এটা হলো শীতলক্ষ্যা নদী। বাসে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া ফিরছিলাম। যাএাপথে এই নদীটা পড়েছিল। জানালা দিয়ে তাকাতেই চোখে পড়ল নদীটা। নদীতে বেশ ভালো স্রোত ছিল। ঐসময় বেশ দারুণ লাগছিল দেখতে। আমি বেশি দেরি করিনি। ফোনটা বের করে কয়েকটা ফটোগ্রাফি ধারণ করি।
- এটা হলো মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন। ঢাকা থেকে আসার পথে পদ্মা সেতুর আগে একমাত্র স্টেশন এটা। হাইওয়ে থেকে খুব ভালোভাবে দেখা যায় স্টেশন টা। যদিও ট্রেনে গেলে দেখার সৌভাগ্য খুব একটা হয় না। বাসে যাওয়ার সময় স্টেশন এর বাইরে থেকে আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। এটার কাজ এখনও চলমান রয়েছে।
- এটা হলো বাংলাদেশের মানুষের সেই পদ্মাসেতু। ইদানিং ঢাকা গেলে পদ্মাসেতু হয়েই যাতায়াত করি বেশি। পদ্মা সেতু হওয়ার পরে ঐ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় বাস থেকে এই ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছিলাম আমি।
- পদ্মা সেতু হওয়ার পর পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে অনেক মেগা সিটি গড়ে উঠেছে দুই পাশে। এটাও সেইরকমই একটা মেগাসিটি। অনেক বড় বিস্তির্ণ প্রান্তর এবং তারপর অনেক বড় একটা এপার্টমেন্ট দেখা যাচ্ছে। আমি ঐ এপার্টমেন্ট টাকে কেন্দ্র করেই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। আশাকরি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের বেশ ভালো লেগেছে। ।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | Redmi 12 |
সময় | জুন,২০২৪ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
আজকে আপনি খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। তবে খুব চমৎকার ফুচকার ফটোগ্রাফি করলেন। ফুচকা খেতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। তবে এটিই ঠিক ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ফুচকা খেতে বেশি পছন্দ করে। সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার কাছের মানুষের বাবা মারা গিয়েছে জেনে খারাপ লাগছে।পৃথিবীতে যদিও কেউ চিরদিন বেঁচে থাকে না।যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফিগুলি সুন্দর হয়েছে।বিশেষ করে শীতলক্ষ্যা নদীর ছবিটি বেশি ভালো লেগেছে।এখন অবশ্য ছেলে ও মেয়েরা পাল্লা দিয়ে ফুচকা খায় ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। দারুন ভাবে গুছিয়ে বর্ননা করেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
যে মারা গেছে উনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। আপনার শেয়ার করা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শীতলক্ষ্য নদীর ফটোগ্রাফিটা দেখে প্রাণটা যেন জুড়িয়ে গেল। এই গরমে এই ধরনের দৃশ্য উপভোগ করাটা সত্যি ভাগ্যের একটা বিষয় আর আমি ফুচকা অনেক পছন্দ করি আপনি ফুচকার দারুন একটা
ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমার কাছে লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল। বিশেষ করে শীতলক্ষা নদী, পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতু উপলক্ষে মেগাসিটির ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ ছিল। বিভিন্ন জায়গার ফটোগ্রাফি দেখতে পেরে আমাদের কাছেও খুব ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা দুটোই অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি তে খুবই সুন্দর ছিল। ফুচকার ফটোগ্রাফি টা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। পদ্মা সেতু থেকে ক্যাপচার করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক বেশি ভালো লাগলো দেখে। সেতু পাড় হওয়ার পরের দৃশ্যগুলো খুব সুন্দর। ধন্যবাদ ভাইয়া দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রতিটা ফটোগ্ৰাফি অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। তবে ফুসকার ফটোগ্রাফি বেশ লোভনীয় ছিলো। এছাড়া ও বাকি ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দুর্দান্ত ছিলো। ধন্যবাদ সবমিলিয়ে এতো সুন্দর কিছু ফটোগ্ৰাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ! অসাধারণ ভাবে কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার ছিল। বিশেষ করে ফুচকার ফটোগ্রাফিটি খুব লোভনীয় ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।