ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
SSC sports channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
ফিফা ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফিফা বিশ্বকাপ বলতে আমরা যেটা বুঝি তার বাইরেও ফিফার আরও কিছু বিশ্বকাপ রয়েছে। এরমধ্যে একটা হচ্ছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। যেটা প্রতিবছরই হয় থাকে। এখানে মূলত ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া অঞ্চল থেকে সেরা ক্লাব আসে। অর্থাৎ যারা তাদের অঞ্চলের টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এমন। তাদের নিয়ে প্রথমে সেমিফাইনাল তারপর ফাইনালের মাধ্যমে ক্লাব বিশ্বকাপের বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু ২০২৫ সাল থেকে পুরোপুরি বদলে যাবে ফিফার এই ক্লাব বিশ্বকাপের পদ্ধতি। সেখানে সরাসরি ৩২ টা ক্লাব অংশগ্রহণ করবে বিভিন্ন দেশের। যাইহোক আজ আমি কথা বলব এইবার হয়ে যাওয়া ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিল ইউরোপ সেরা ম্যানচেস্টার সিটি এবং দক্ষিণ আমেরিকার সেরা ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্স।
ম্যাচটার জন্য আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে বসে ছিলাম। যদিও নামে দামে সবদিক থেকেই এগিয়ে ছিল সিটি। কিন্তু মনে করেছিলাম না ফ্লুমিনেন্স কিছু একটা করে দেখাবে। সেই আশায় খেলা দেখতে বসা। খেলাটা ছিল বাংলাদেশ সময়ে রাত ১২ টার সময়। গার্দিওয়ালার সিটি খেলতে নামে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে। অন্যদিকে ব্রাজিলিয়ান জাতীয় দলের কোচ এবং ফ্লুমিনেন্স এর কোচ দিনিজ তার দল সাজাই ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে। যদিও দিনিজ এর ফর্মেশন এবং খেলার স্ট্যাটাজি খুবই আলাদা হয়ে থাকে। যেখানে খেলোয়ার রা তার পজিশন খুব একটা ঠিক রাখে না। খেলার শুরুতেই প্রথম মিনিটেই গোল দেয় সিটি। সিটির হয়ে গোল করে আলভারেজ। অর্থাৎ প্রথম মিনিটেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। যেটা আমি একেবারেই আশা করিনি।
কিন্তু তারপর থেকেই যেন বদলে যায় ফ্লুমিনেন্স এর খেলা। ফ্লুমিনেন্স অসাধারণ পাসিং ফুটবল খেলতে থাকে। অবস্থা এমন ছিল সিটির কাছে বলই ছিল না। গোল ছাড়া সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল ফ্লুমিনেন্স। কিন্তু সিটি বেশ কিছু কাউন্টার অ্যাটাক করছিল। এরই ফলাফল ২৭ মিনিটে ফিল ফোডেন এর শর্টে ফ্লুমিনেন্স এর ডিফেন্ডার নিনোর পায়ে ডিফ্লেকশন হয়ে গোল হয়ে যায়। ফলে আত্মঘাতী গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোন গোল হয়নি। তবে প্রথমার্ধের খেলায় দিনিজের দল অসাধারণ খেলেছে। গোলের দেখা না পেলেও সিটিকে যেভাবে তারা ডমিনেট করেছিল সেটা রীতিমতো অনেকের মন কেড়ে নিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়। খেলা আগের মতোই চলতে থাকে। দুই দলই মাঝ মাঠে বল ধরে রেখে খেলার চেষ্টা করছিল।
এরপর ম্যাচের ৭২ মিনিটে ফিল ফোডেন গোল করলে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। তখন আমার খেলা দেখার ইচ্ছা ক্ষীণ হতে থাকে। তখন আমার মনে হয় সবাই তো অর রিয়াল মাদ্রিদ না যে ক্যামব্যাক করবে। পরবর্তীতে ম্যাচের ৮৮ মিনিটে আলভারেজ আবার গোল করলে একেবারে ৪-০ গোলে জয়লাভ করে সিটি। এবং ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন গোল না হলে ফলাফল নিয়েই ম্যাচ শেষ হয়। এটা ছিল ম্যানসিটির প্রথম ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ এর শিরোপা। অন্যদিকে তাদের কোচ পেপ গার্দিওয়ালার এটা চতুর্থ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা। এর আগে সে বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ এর হয়ে এই শিরোপা জিতেছিল। সবমিলিয়ে সিটির সম্ভাব্য সকল ট্রফি সে জিতিয়েছি। যদিও এরজন্য খরচ করিয়েছে কয়েক বিলিয়ন ইউরো হা হা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যদিও ক্লাব ফুটবল দেখা হয় না ,কিন্তু মাঝে মাঝে বড় বড় ম্যাচ গুলি দেখা হয়। ফাইনাল ম্যাচটি আমিও কিছু অংশ উপভোগ করেছি। ম্যানচেস্টার সিটি খুবই ভালো ফুটবল খেলেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর ভাবে এই সেরা ম্যাচটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
যেহেতু খেলাধুলা খুব একটা ভালো বুঝি না তারপরও আপনার শেয়ার করা এই রিভিউ দেখে খুবই ভালো লাগলো। ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি চার গোলে জয়লাভ করেছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো।