অফার প্লেটার।।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমরা বাঙালি। পৃথিবীতে বাঙালিদের আলাদা কিছু পরিচয় এবং আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর মধ্যে একটা হলো বাঙালি কিন্তু সাহিত্য প্রেমি। বাঙালিদের সাহিত্য ভান্ডার একেবারে সমৃদ্ধ। যাইহোক আজকে আমার বিষয় সাহিত্য না। বাঙালিরা কিন্তু খাবারের ক্ষেএে বেশ দূর্বল। মানে এককথায় বাঙালিরা খাদ্যরিসক। আর এই সময়ে এসে চারিদিকে এতো পরিমাণ রেস্টুরেন্ট, ফুড স্টল প্রতিনিয়ত কোথাও আ কোথাও অফার থাকেই। আমাদের কুষ্টিয়া শহরেও বেশ অনেকগুলো ভালো রেস্টুরেন্ট রয়েছে। কিছুদিন আগের কথা। রাতে ঘুমানোর আগে ফেসবুক টা ক্রল করছি। এমন সময় একটা নোটিফিকেশন আসে। দেখি আমার বন্ধু লিখন আমাকে একটা জায়গাই মেনশন দিয়েছে। এখন বন্ধু তো কত জায়গাই মেনশন দেয়। তো আমি গিয়ে দেখি একটা ফুড গ্রুপে আমাকে মেনশন দিয়েছে। সেখানে কুষ্টিয়ার একটা নামকরা রেস্টুরেন্ট ক্যাফে দে পাস্তা তাদের স্পেশাল প্লেটারে একটা অফার দিয়েছে।
অনেকদিন পর এইরকম একটা অফার পেলাম। সঙ্গে সঙ্গে লিখনকে আমি বলি ঠিক আছে দ্রুতই যাব। তারপর দুইদিন চলে গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আমি এবং আমার বন্ধু লিখন সিদ্ধান্ত নেয় আজ কুষ্টিয়া যাব। যদিও আমাদের কিছু কাজ ছিল। কাজ শেষ করে আমরা যাব রেস্টুরেন্টে এইরকম সিদ্ধান্ত নেয়। সেদিন সকাল সকাল বেশ বৃষ্টি হচ্ছিল। আকাশটা ছিল মেঘলা। একেবারে অসাধারণ একটা ওয়েদার। আমরা কুষ্টিয়া গিয়ে প্রথমে আমার কাজটা করতে চলে যায়। তখন বেশ হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিল। কাজটা যখন শেষ হলো ঘড়িতে তখন সময় প্রায় সাড়ে বারোটা। ওখান থেকে রেস্টুরেন্ট টা কাছেই। আমি এবং আমার বন্ধু লিখন একটা রিক্সা নিয়ে চলে যায়। ক্যাফে দে পাস্তা রেস্টুরেন্ট টা কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন এর পাশেই অবস্থিত। যাইহোক রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমরা একটা ছোট টেবিলে গিয়ে বসি।
যাওয়ার পরে যথারীতি রেস্টুরেন্ট কতৃপক্ষ থেকে একজন আসে। তখন আমরা পোস্ট টা দেখিয়ে অফারের কথা বলতে বলল কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। যাইহোক বসে আমি এবং আমার বন্ধু লিখন গল্প করছিলাম। ক্যাফে দে পাস্তা রেস্টুরেন্ট টা অনেক আগেই দেখেছি। কিন্তু কখনো এখানে আসিনি। এই প্রথমবার আমার যাওয়া সেখানে। মোটামুটি মিনিট ২০ পরে নিয়ে আসা হয় আমাদের খাবার টা। প্লেটারে কী কী ছিল এবার সেটা ছিল। ফ্রাইড রাইস মোটামুটি পরিমাণ মতো, চাইনিজ ভেজিটেবল, চিকেন, ভেজিটেবল রোল, সালাদ এবং শেষে একটা পাপড়। অফারে প্লেটার টার দাম ছিল মাএ ২০০ টাকা। কিন্তু প্লেটারে কোন সফট ড্রিংকস না থাকায় আলাদাভাবে সেটা অর্ডার করি। অফার বলে তারা প্লেটারে কোন ঘাটতি রাখেনি। খাবার টা বেশ ভালো ছিল। ফ্রাইড রাইস এবং ভেজিটেবল টা ছিল ঠিকঠাক।
তবে আমার কাছে চিকেন টা সবচাইতে ভালো লেগেছে। চিকেনের স্বাদ ছিল বেশ দারুণ। একটু ঝাল ঝাল এবং হালকা টক। মোটামুটি চারটা চিকেন এর পিস ছিল। খাবার টা মানসম্মত ছিল। প্লেটার টা একজন মানুষের জন্য যথেষ্ট আমি মনে করি। খাওয়া শেষ করে আমরা আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করিনি। আর বিলটা আমি নিজেই পরিশোধ করি। লিখনকে আমি নিয়ে এসেছিলাম সেজন্য ওকে ট্রিট টা আমি দেয়। রেস্টুরেন্ট থেকে যখন আমরা বের হয় তখন সময় দেড়টা। তখনও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। বেশ ভালোই লাগছিল। সুন্দর করে আমরা দুজন একটা সিএনজি তে উঠে কুমারখালীতে ফিরে আসি। ক্যাফ দে পাস্তাতে আমার প্রথমবার যাওয়া এবং প্রথম অফার প্লেটার খাওয়ার অভিজ্ঞতা ভালো ছিল। ভবিষ্যতেও তাদের অফার পেলে মিস করব না।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | নভেম্বর ,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
আপনি আপনার লিখন বন্ধুর সাথে সুন্দর একটা সময় অতিক্রম করেছেন।এবং সে আপনাকে ফেসবুকে মেনশন করে রেস্টুরেন্টে যেতে বলে।তবে কুষ্টিয়ার নাম করা রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খাবার গুলো অনেক সুস্বাদু।সেই দিনকার ওয়েদার টা আপনাকে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। চিকেন কিন্তু আমারো অনেক পছন্দের। আপনার কাছে চিকেন টা ভালো লেগেছে শুনে আমাকেও ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আপনাদের কুষ্টিয়া শহরে বেশ কয়েকটি ভালো ভালো রেস্টুরেন্ট আছে কিন্তু সব থেকে আমার ধোঁয়া রেস্টুরেন্ট টি ভীষণ ভালো লেগেছিল। ক্যাফে দে পাস্তা আমি গিয়েছিলাম স্ত্রী ও আব্বুর সাথে ওখানকার পরিবেশটা ও ডেকোরেশন টা ভীষণ ভালো ছিল। এবং আপনি ফেসবুক স্ক্রল করার মাধ্যমে এত সুন্দর একটি অফার পেয়ে গেলেন আর মিস করলেন না বাহ🫣যাক অফারটা আপনার টা কাজে লাগিয়েছেন। আপনাদের ছবিগুলো অস্পষ্ট ছিল। আসলে রিক্সায় চড়ে শুধু আমাদের ছবিগুলো অস্পষ্ট হয়। যারা সেলিব্রেটি তাদের ছবিগুলো কি সুন্দর সুন্দরভাবে ওঠে 😀।আপনারা দুই বন্ধু মিলে তো বেশ ভালো পরিমাণ জিনিস অর্ডার দিয়েছেন। আমার কাছে ও ফ্রাইড রাইস ও ভেজিটেবল টা ভালো লাগে ওখানকার। খাবারটি মানসম্মত ছিল ভাইয়া। আমার তো ইচ্ছা করছে হুট করে চলে যাব শীঘ্রই। দারুন ছিল আপনার অভিজ্ঞতা 🥺🥺
খুব ভালো লাগলো অনুভূতি গুলো পড়ে। দুই বন্ধু মিলে কাজ সেরে যাওয়া হয়নি কখনো কিন্তু অফার দেখে গেলেন নতুন রেস্টুরেন্টে।খাবারের স্বাদ ছিল বেশ ভালো।তাইতো আবার কখনও অফার দিলে মিস করবেন না বললেন।জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মধ্যে দুই বন্ধু মিলে বেশ মজা করেই অফার মূল্যে চাইনিজ প্ল্যাটার দিয়ে লাঞ্চ করলেন! খাবার দেখেও মনে হচ্ছে যে একজনের জন্য এনাফ খাবার। তবে চাইনিজের সাথে এমন পাপড় আগে কোথাও কম্বিনেশন চোখে পড়ে নি। আমার আবার এই পাপড় ভীষণ ফেভারিট, তাই ওদিকেই চোখ আটকে গেছে। খাবারগুলো দেখতেও বেশ লোভনীয়ই লাগছে। বৃষ্টির মধ্যে অফার মুল্যে বেশ জম্পেশ খাওয়া দাওয়া হয়েছে আপনাদের!