বয়সের সাথে কমে যায় চোখের জল!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সবাইকে ঈদ মোবারক। আশাকরি সবাই ভালো আছেন। ঈদটা বেশ ভালো কাটছে আপনাদের। আমার খুব একটা খারাপ কাটছে না। ঐ গতবার যেরকম কেটেছিল ঐরকমই কাটছে। সারাদিন রুমের মধ্যে শুয়ে থেকে আর কী। দুপুরের পরের কথা বলি। ঘুম থেকে লাঞ্চ করে শুয়ে আছি। সেরকম কিছু ভালো লাগছে না। একবার বইটা নিয়ে বসলাম না মনোযোগ দিতে পারলাম না। বইয়ের লাইনগুলো বার বার গুলিয়ে ফেলছিলাম সেজন্য ঐটাও আর বেশিক্ষণ চালিয়ে যায়নি। তারপর ল্যাপটপ নিয়ে ইউটিউবে গিয়ে গান প্লে করলাম। একে একে আমার পছন্দের গানগুলো বাজছিল। এরপর হঠাৎ আসল অঞ্জন দও এর সিরিজের গানগুলো।
অঞ্জন দও আমার বেশ পছন্দের একজন শিল্পী পাশাপাশি অনেক পছন্দের একজন অভিনেতা। উনার গানগুলো সবসময় জীবনমুখী হয়ে থাকে। তো একে একে উনার গানগুলো বাজছিল। এরপর হঠাৎ বাজলো উনার অনেক জনপ্রিয় একটা গান মিস্টার হল গানটা। এই গানটা কিন্তু অনেক জনপ্রিয়। তো গানটা আমি শুনছি হঠাৎ গানের একটা লাইন খুব গভীরভাবে আমার মনোযোগ কেড়ে নিল। গানের লাইনটা ছিল এমন
তখন তো বুঝিনি বড় হওয়া বড়ই শক্ত
বয়সের সাথে সাথে কমে যায় চোখের জল।
এই লাইনটা আমি খুব ভালোভাবে শোনার চেষ্টা করলাম। এই দুইটা লাইনে অসাধারণ একটা ম্যাসেজ পেয়ে গেলাম আমি। অঞ্জন দও হয়তো প্রতিটা ছেলের জন্য এই লাইনটা লিখেছেন। উনি এটা খুব ভালো ধরতে পেরেছেন কারণ উনি নিজেও আমাদের মতো একজন।
একটা বিষয় খেয়াল করেন ছোটবেলা আমরা সবাই অনেক বায়না ধরতাম। হয়তো কখনও সেই আবদার পূরণ না করলে কান্না শুরু করতাম। আমাদের এই অভ্যাস টা মোটামুটি ঐ ১৫-১৬ বছর পযর্ন্ত থাকে বা খুব বেশি হলে ১৮ বছর। কিন্তু তারপর আমাদের খুবই বাজে একটা পরিবর্তন হয়। আমরা যখন বাস্তবতা বুঝতে থাকি বাস্তবতার মুখোমুখি হয় বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে চলতে থাকি তখন ক্রমেই আমাদের চোখের জল কমে যায়। আমরা চেষ্টা করলেও আর কান্না করতে পারি না। আমরা চাইলেও আর নিজের অনূভুতি একজনের কাছে পুরোপুরি ব্যক্ত করতে পারি না। ব্যাপার টা কী আজব তাই না। একটা সময় যে আমরা সামান্য দুঃখে কান্নাকাটি করতাম।
অথচ এখন আমাদের অনেক বড় কিছু হারিয়ে গেলেও অনেক বড় আঘাত পেলেও আর কান্নাকাটি করি না। কাউকে বুঝতে দেয় না কিছু। অর্থাৎ আমরা যতই বড় হই যত ম্যাচিউর হয় আমাদের চোখের জল যেন ততই কমে যায়। অঞ্জন দও গানের ঐ লাইনটাই এই ম্যাসেজ টাই দিয়েছে। প্রতিটা গানের মাঝেই দারুণ কিছু ম্যাসেজ আছে কিন্তু আমরা সবসময় সেটা ধরতে পারি না। যখন আমরা মনোযোগ দিয়ে গানটা শুনি অথবা ঐরকম কঠিন সময় অতিবাহিত করি তখন গানটা আমাদের কাছে বাস্তব হয়ে আসে। মানুষের জীবন খুবই অদ্ভুত। তার চেয়েও অদ্ভুত সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনা বোঝা। উনি হয়তো চাইলেই আমাদের জীবনে কিছু মানুষকে না নিয়ে আসলেই পারতেন। কিন্তু উনি নিয়ে আসলেন তাদের কিছু সময়ের জন্য আমাদের জীবনে রাখেন। । আবার একটা সময়ে আমাদের কঠিন ভাবে একা করে দিয়ে মানুষগুলোকে আমাদের থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোটকালের বয়স এবং আস্তে আস্তে বড় হওয়ার মধ্যে অনেক তফাৎ লক্ষ্য করা যায়। নিজেদের মধ্যেও কিছু পরিবর্তন চলে আসে বাস্তবে। আপনি গানের সাথে খুব সুন্দর বাস্তবতার মিল রেখে আমাদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লাগলো পড়ে।
বয়সের সাথে আমাদের অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়ে যায়। আপনি ঠিক বলেছেন ছোটবেলায় আমরা অনেক কিছুর জন্য বায়না ধরতাম এবং কান্না করে ঠিকই আদায় করে নিতাম। কিন্তু এখন আমরা প্রতিনিয়ত বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করছি । আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাই। আপনি গানের সঙ্গে বাস্তবতার উদাহরণ দিয়েছেন। আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাই।