ক্রিকেট মানে ঝিঝিপোকা।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আপনার কাছে কোনটা বেশি পছন্দের খেলা ক্রিকেট না ফুটবল। আমার কাছে কিন্তু ফুটবল অনেক পছন্দ। ক্রিকেট টা ভালো লাগে তবে সেরকম না। কিন্তু আমাদের ভারত উপমহাদেশে ক্রিকেট টা চলে বেশি। অর্থাৎ ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে আমাদের দেশগুলোর আধিপত্য চলে। যাইহোক সেসব বাদ দেয়। আমাদের কুমারখালীতে প্রতিবছরই ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয় বেশ ভালো মতো। এটা টেপটেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বিভিন্ন জেলা উপজেলার দলগুলো অংশ নেয় খেলা টাই। এবার এই টুর্নামেন্টের নাম দেওয়া হয়েছে এমপি কাপ টি টুয়েন্টি। টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুমারখালী স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে। টুর্নামেন্টের শুরু হয়েছে গত শুক্রবার থেকে। ক্রিকেটের প্রতি আমার খুব একটা আকর্ষণ না থাকায় আমি খেলা দেখতে যায়নি।
কিন্তু গতকাল আমার এই ভাই নাজমুল বলল আজ নাকী ওদের খেলা আছে। এবং ও খেলবে। নাজমুল ভাইয়া বেশ ভালো ব্যাটিং করে থাকে। তো আমি বললাম ঠিক আছে আমি তোর খেলা দেখতে যাবে। শেষ স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে এসেছিলাম একবছর আগে। গতবছরের ফাইনাল দেখতে। তারপর আবার ঐদিন গেলাম। এবারের টুর্নামেন্ট টা বেশ জাকজমকপূর্ণ ভাবে হচ্ছে। আমি বাসা থেকে বের হয় ২:৩০ এর দিকে। যেহেতু টি টুয়েন্টি ফর্মেটে খেলা হচ্ছে ম্যাচ ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে। মাঠে পৌছে দেখি প্রায় ৬ ওভারের খেলা শেষ। ব্যাটিং করছে ভেড়ামাড়া ডি কে স্পোর্টস টিম। কিন্তু তাদের অবস্থা খুব একটা ভালো না। দুই উইকেট ইতিমধ্যে হারিয়ে ফেলেছে তারা।
এরপর ভেড়ামারা দলের হয়ে মাঠে নামে মাহবুব নামের একজন ব্যাটসম্যান। ঐ ছেলে নাকী গত আসরে একটা সেঞ্চুরি করেছিল। মাঠে এসে অসাধারণ ব্যাটিং এর প্রদর্শন করে ঐ ছেলে। মোটামুটি ২৪ টা বল খেলে ৮০ রান করে। তার বিপরীতে আমাদের কুমারখালীর দলটা খুবই বাজে বোলিং এবং ফিল্ডিং করে। বেশ অনেক গুলো ক্যাচ মিস করেছিল। প্রথম ইনিংস শেষে ডি কে স্পোর্টস এর সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪২ রান। এই রান আমাদের কুমারখালীর লোকাল ছেলেদের দ্বারা তৈরি দলের পক্ষে কখনোই চেজ করা সম্ভব না। কিন্তু আমি ছিলাম নাজমুল ভাইয়ার ব্যাটিং দেখব বলে। মাঠে লোক দেখার মতো ছিল। বলতে গেলে বেশ ভালো দর্শক উপস্থিতি ছিল। প্রথম ইনিংস শেষ হলে আমি নিজেও কিছু সময় বিরতি নেয়। মাঠে খেলা দেখতে গেলে বাদাম বেশ খাওয়া হয়। এবং মাঠে বেশ কিছু বাদামওয়ালা ছিল।
বাদাম শেষ করে ঝালমুড়িও টেস্ট করি। বেশ কয়েকজন ঝালমুড়ি ওয়ালা থাকলেও আমি আমার পরিচিত একজনের থেকেই খাই। উনার ঝালমুড়ি টা বেশ মুখরোচক এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে। যাইহোক খাওয়া শেষ হলো। দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামলো দুই দল। যথারীতি নাজমুল ভাইয়া ওপেনিং নেমেছে। আমি নামার সময় বলেছিলাম দেখে খেলতে। কারণ কয়েক ওভার দেখে খেললে পরবর্তীতে মারার মতো বল পাবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ৪ বল খেলে দুই ছয় মেরে ১২ রান করে আউট হয়ে যায় নাজমুল ভাইয়া। এবং তারপর ঐ দলের সেরক কোন আর ভালো ব্যাটসম্যান ছিল না। তবে মোটামুটি কয়েকজন ভালো খেললেও ম্যাচ জিততে পারেনি।১৫ ওভারে ১৫৪ রান করে অলআউট হয় দলটা। ৯০ রানে ম্যাচটা হেরে যায়। এই টুর্নামেন্টের একটা নিয়ম আছে। ব্যাটার ছয় মারলে মাঠের বাইরে থেকে ক্যাচ ধরতে পারলে ৫০ টাকা মোবাইল রিচার্জ। আমার দিকে কেউ ছয়ই মারে না হি হি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.