দুঃচিন্তা মুক্ত!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আপনারা অনেকেই জানেন আমার বিভিন্ন দেশের নোট সংগ্রহ করার একটা শখ আছে। আমার সংগ্রহ করা নোটগুলো নিয়ে এর আগেও সিরিজ আকারে অনেক গুলো পোস্ট করেছি। আমি সংগ্রহে থাকা নোটগুলো আপনাদের কে দেখিয়েছি। তো এরমধ্যে আমার অনেক পছন্দের এবং খুবই মূল্যবান এবং রেয়ার একটা নোট আছে। সেটা হলো মিশরের। প্রথমত নোট টা অনেক পুরাতন এবং এটার ঐতিহাসিক একটা মূল্য আছে। পাশাপাশি আমার সংগ্রহে থাকা সবচাইতে মূল্যবান নোটও এইটা। এটা সংগ্রহ করার জন্য বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল আমাকে। যাইহোক এখন আসল কথায় আসি। যখন আমার একেবারে কোন কাজ থাকে না আমি নোটগুলো বের করে উল্টে-পাল্টে দেখি। নোটগুলো বের করি নাড়াচাড়া করি আবার রেখে দেয়। শেষ নোট গুলো দেখেছিলাম প্রায় ৬ মাস আগে।
বুধবার রাতের কথা। আমার সেরকম কোন কাজ নেই। আবার ফোনেও চার্জ নেই। হঠাৎ ইচ্ছা হলো যায় নোটগুলো বের করে একটু দেখি। যথারীতি নোটগুলো বের করলাম তারপর একে একে দেখতে শুরু করলাম। প্রথমেই ছিল আমাদের বাংলাদেশের কিছু রেয়ার নোট। যেমন প্লাস্টিকের দশ টাকা, এক টাকার নোট, বেশ কিছু স্মারক নোট এগুলো। তারপর আসে ভারতের নোটগুলো। আমার সংগ্রহে মোটামুটি ভারতের ২,৫,১০,১০০ রুপি আছে। এবং একটা কয়েনও আছে ২ রুপির সম্ভবত। এরপর একে একে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, মোজাম্বিক কিছু আরব দেশ সবগুলো দেশের নোট দেখি। না সব ঠিকঠাক আছে। আমার সংগ্রহে থাকা সবচাইতে সুন্দর নোট হলো ফিলিপাইনের একটা নোট। নোট টা অসম্ভব সুন্দর। এবং ঐটা একটা পলিমার নোট। ওটাও ঠিক আছে। কিন্তু ঝামেলা টা হলো অন্য জায়গাই।
নোট প্যাডের প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত দেখে ফেলেছি হঠাৎ মনে পড়লো আমার সবচাইতে পছন্দের মিশরের সেই নোট টা কোথায়। সম্পূর্ণ নোট দেখে ফেললাম কোথায় ঐটা তো পেলাম না। তখনই যেন আমার আত্মরাম চমকে উঠল। আমি নিজেও অস্থির হয়ে গেলাম। সঙ্গে সঙ্গে আমার মা কে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম। আমার মা কোন উওর দিতে পারল না। তার পরিষ্কার কথা তোর রুমে তো কেউ কখনোই আসে না। এবং কথা টা ঠিক আমার রুমে কেউই আসে না। আমার অস্থিরতা যেন বেড়ে গেল। সব নোট বের করে ছড়াতে শুরু করলাম। হয়তো অন্য নোট না পাওয়া গেলে আমি ঐরকম অস্থির হতাম না। কিন্তু ঐটা আমার অনেক পছন্দের এবং রেয়ার একটা নোট। ঐটা হারানো যাবে না। নোটপ্যাড থেকে বের করে সাদা নোট-প্যাক থেকে আমি নোটগুলো একে একে বের করছি।
ততক্ষণে আমি প্রায় ৭০% নোট বের করে চেক করে ফেলেছি। কিন্তু না, নেই। যতই আমার নোট শেষ হচ্ছে ততই আমার চিন্তা বেশি হচ্ছে। এরপর আসলো সিরিয়ার ৫০ পাউন্ডের পালা। ঐটা প্যাকেট থেকে বের করতেই দেখি সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা নোট বের হয়ে গেল। আরে এইতো আমার সেই মিশরের রেয়ার নোট টা। ঐটা দেখে সঙ্গে সঙ্গে আমার মধ্যে একটা স্বস্তি কাজ করা শুরু করল। মূল ঘটনা হয়েছিল সিরিয়ার ৫০ পাউন্ড এবং মিশরের ঐ নোট টার কালার প্রায় একইরকম। এবং আমিই হয়তো কখনো একসঙ্গে রেখেছিলাম সেটা আমার মনেও নেই। যাইহোক নোট টা পাওয়ার পরে আমার মধ্যে একটা স্বস্তি ফিরে আসলো। মনে হলো না শেষ পযর্ন্ত পেয়েছি হারায় নি তো। সঙ্গে সঙ্গে কিছু ছবি তুলে নিলাম। মোটামুটি দুঃচিন্তা মুক্ত হতে পেরেছি আমি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.