স্মৃতিচারণ : সুন্দরবন ভ্রমণ ( পর্ব-১)।

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ সোমবার, ২৯ ই জুলাই, ২০২৪।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000551643.jpg


আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভালো আছি। আমাদের জীবনের কিছু কিছু মূহূর্ত কখনোই ভুলে যাওয়া সম্ভব না। বিশেষ করে কিছু সুন্দর মূহূর্ত আমরা কখনোই ভুলতে পারি না। সবসময় মনে থেকে যায় । তেমনই একটা সুন্দর মূহূর্ত হচ্ছে আমার সুন্দরবন ভ্রমণের মূহূর্তটা। আজ থেকে ছয় বছর আগে ২০১৮ সালে আমি সুন্দরবন ভ্রমণে গিয়েছিলাম। ঐসময়ের প্রতিটা মূহূর্তের কথা আমার মনে আছে। তো ধারাবাহিকভাবে ভ্রমণের কাহিনী টা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। এতে করে দুইটা কাজ হবে এক স্মৃতিচারণ হয়ে যাবে দ্বিতীয় সারাজীবন থেকে যাবে ব্লকচেইনে। আজ থেকে দশ - বিশ বছর পর হঠাৎ পড়লে অন‍্যরকম একটা অনূভুতির সৃষ্টি হবে। তো চলুন শুরু করা যাক।

আমি তখন দশম শ্রেণির ছাএ। অর্থাৎ এবার আমার এসএসসি পরীক্ষা দিতে হবে। সেজন্য বছরের শুরু থেকেই আমি অনেক সিরিয়াস ছিলাম। সেজন্য আমার স‍্যারের নজরে ঐবছর আমার বিশেষ একটা জায়গা তৈরি হয়ে যায়। তখন ফেব্রুয়ারি মাস চলছে। আমাদের কোচিং এর স‍্যার মোস্তাফিজুর রহমান হঠাৎ একটা উদ‍্যোগ নেয় পিকনিক বা শিক্ষা সফরের। বলতে গেলে সেটা ছিল স‍্যারের আয়োজিত সবচাইতে বড় শিক্ষা সফর। সফরের স্থান ছিল বাগেরহাট খান জাহান আলির মাজার, ষাট গম্বুজ মসজিদ, মংলা পোর্ট এবং সুন্দরবন। স‍্যারের এই ঘোষণার পরই আমি বেশ উৎসুক হয়ে উঠি। আমি সিদ্ধান্ত নেয় কোনভাবেই এই সফর মিস করা যাবে না। ২০১৮ সালের কথা। ঐসময় চাঁদা ধরা হয়েছিল ১০০০ টাকা।


1000551638.jpg


আমাদের ব‍্যাচের মধ্যে অন‍্যদের যাওয়ার ইচ্ছা খুবই কম ছিল। আমি আমাদের ব‍্যাচে সবার আগে টাকা জমা দেয়। এরপর একে একে অন‍্যরাও জমা দেয়। কিন্তু তখনও প্রায় ১৫ জন বাকি। এই ১৫ জন না হলে স‍্যার শিক্ষা সফরের সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে দেবে এবং টাকা ফেরত দেবে। তারপর ঘটে গেল এক কান্ড। মাঠে নামলাম আমরা কয়েকজন বন্ধু। ঐসময় আমি আমার এক বন্ধু ইব্রাহিমের বাড়িতে গিয়ে ওর টাকা নিয়ে এসেছিলাম সে অন‍্যরকম এক কাহিনী । নানা ঝামেলা নানা সমস‍্যার পর বাসের সিট পূর্ণ হয়। কিন্তু তারপর দেখা দেয় নতুন সমস‍্যা। ঐসময় বাংলাদেশে চলতে থাকে পরিবহন ধর্মঘট। এর জন্য আমাদের ট‍্যুরের সময় ক্রমেই পিছিয়ে যেতে থাকে। একপর্যায়ে গিয়ে তো আমরা হতাশ হয়ে যায়। এরপর মার্চের ৫ তারিখ স‍্যার আমাদের ফাইনাল তারিখ জানায়।

৮ তারিখ বৃহস্পতিবার রাতে ছিল আমাদের বাস শুক্রবার সারাদিন ঘোরাঘুরি এবং রাতে আবার ফিরে আসা। সবমিলিয়ে ৮,৯,১০ এই তিনদিন ছিল আমাদের সফরের ব‍্যপ্তিকাল। এটা শোনার পর আমরা সবাই উৎসুক হয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে সবকিছুর আয়োজন করতে শুরু করি। আমার জীবনের প্রথম বড় সফর ছিল ঐটা। ঐসময় আমার কোন ফোন ছিল না। যেহেতু ঘুরতে যাচ্ছি আমি আমার ভাইয়ের স্মার্টফোন নিয়ে গিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার বিকেলের কথা। ঐদিন আমার এলাকার বন্ধুরা অনেক জোর করার পরও আমি ক্রিকেট খেলতে যায়নি। কারণ আজ রাতে আমি সেই বহুল কাঙ্খিত সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে যাএা করব।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 months ago 

ভাইয়া আপনি যখন দশম শ্রেণীতে পড়তেন তখন এই সুন্দর জায়গাটিতে ভ্রমণ করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। কখনো সুন্দরবন ভ্রমণ করা হয়নি। যদি কখনো সুযোগ হয় তাহলে যাব ভাইয়া।

 4 months ago 

সুন্দরবন ভ্রমণের প্রথম পর্বটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে, সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য অনেক সুন্দর একটি জায়গা ওখানে আমি গিয়েছিলাম খুব ভালো লেগেছিল। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো আসলে, এসব ভ্রমণে আমি কখনো লেট করিনি সবার আগে টাকা জমা দিয়ে দিতাম। আপনার পরবর্তী পর্বগুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 months ago 

সুন্দরবন ভ্রমনের স্মৃতিচারণ পোস্ট শেয়ার করেছেন। প্রথম কোথাও ঘুরতে যাওয়া।আর স্কুলের স্যার,ফ্রেন্ডদের সাথে সেটা তো আরো আনন্দের।কিন্তু যখন যাওয়ার, ডেট এলো তখন ধর্মঘট চলার কারনে পিছিয়ে পরলো যাওয়া।তিন দিনের সফর।যাক যাওয়া তো হলো।আমার ও যাওয়া হয়েছিল। তখন আমার বাংলা ব্লগ থাকলে হয়তো ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পারতাম।🙂 অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.19
JST 0.034
BTC 91017.04
ETH 3083.40
USDT 1.00
SBD 2.87