এসএসসি-১৯!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমি ছিলাম এসএসসি -১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এসএসসি দেওয়ার পর আমাদের সব বন্ধুদের আর এক হয়ে উঠা হয়নি। ঐ যারা একই কলেজে পড়তাম তাদের সাথে দেখা হতো আর অন্যদের সাথে হঠাৎ হঠাৎ। তো এইবার আমরা একটা পরিকল্পনা করি এবার সবাই ইফতার পার্টি করব সবাই একএিত হব। তারই ধারাবাহিকতায় ম্যাসেনজার গ্রুপ খোলা হয়। একে একে সবাইকে এড করা হয় গ্রুপে। এবং তারপর সবাই কথা বলে ঠিক করা আগামী ২৮ রমজান সোমবারে আমরা আমাদের কুমারখালী এম এন মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল মাঠে ইফতার পার্টি টা করব। কিন্তু যত পোলাপান আশা করেছিলাম ততজন সাড়া দেয়নি। সবমিলিয়ে আমরা ২৫-৩০ জন মতো ছিলাম ইফতার পার্টিতে। যদিও এটাই অনেক আমি মনে করি। টাকা উঠানোর দায়িত্ব টা আমি নেয় নাই। এটা দিয়েছিলাম রাব্বি এবং ইকরার উপর।
সোমবার আমি শুয়ে আছি তখন এগারো টা বাজে। রাব্বির ফোন পেয়ে ফ্রেশ হয়ে বাজারে যায়। তারপর লিস্ট করে সবার জন্য বিরিয়ানি টা অর্ডার করি। এবং তারপর শুরু ইফতারের আইটেম কেনা। আমরা ইফতার আইটেমে ফল কে প্রাধান্য দিয়েছিলাম। মোটামুটি বাজারে এখন যা পাওয়া যায় সবরকম ফল রেখেছিলাম। ইফতারের কেনাকাটা করে দিয়ে আমি বাড়ি চলে আসি। এরপর আসরের নামাজ পরে তৈরি হয়ে আমি বাড়ি থেকে বের হয়। ততক্ষণে আমাকে কয়েক বার ফোন দেওয়া হয়ে গেছে। আমি ছাড়া সবাই নাকী চলে এসেছে। যাইহোক সেজন্য আমি দ্রুত বের হয়। বাইরে পরিবেশ আবওহাওয়াটা দারুণ ছিল। রোদ নেই মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ হালকা বাতাস সবমিলিয়ে পারফেক্ট একটা ওয়েদার ছিল।।
আমি যখন স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করি দেখে চোখটা জুড়িয়ে যায়। আমাদের স্কুলে অনেক আম গাছ আছে। প্রতিটা গাছে আম ধরেছে গাছের পাতাগুলো সবুজ পাশাপাশি সুবিশাল স্কুল মাঠ টা কী সুন্দর সবুজ। অন্যদিকে আমাদের সব বন্ধুরা এসে হাজির কয়েকজন ইফতারের কাটাকাটিতে ব্যস্ত। আর বাকি রা কথা বলছে একে অন্যের খোঁজখবর নিচ্ছে ছবি উঠছে। আমিও গিয়ে ওদের সাথে যোগ দেয়। একে একে সাগর, গালিব, আসিফ, বিপ্লব, আল আমিন সবার সাথে কথা হয়। এবং এরপর আসে শিশির। শিশির ছেলেটা একসময় আমার ক্লোজড ফ্রেন্ড ছিল। তবে এখন যোগাযোগ কম হয়।বলতে পারেন আমি নিজেই যোগাযোগ রাখি না খুব একটা। শিশির মাঝে মাঝে আমার কাছে ফোন দেয়। দেখতে দেখতে সময় কেটে যায়। ধীরে ধীরে ইফতারের সময় এগিয়ে আসে। আমরা সবাই বসে যায় ইফতার সামনে নিয়ে।
সত্যি সবাই মিলে এইরকম সুন্দর মূহূর্ত যে পাব ভাবিনি। আবার কখনো পাব কীনা জানি না। ইফতারের আগে আমার বন্ধু ইকরা মোনাজাত শুরু করে। মোনাজাত টা একটু মজার হলেও ইকরা সবার মনের আশা পূরণ করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে। এরপর আজান দিলে ইফতার শুরু করি আমরা। বেশ ভালোই লাগছিল। সবাই মিলে গল্প করতে করতে ইফতার। সত্যি দারুণ একটা মূহূর্ত। ইফতার শেষ করে আমরা কিন্তু স্কুলের মাঠ নোংরা করিনি। ঐগুলো যথাস্থানে রেখেছি । তারপর সবার সম্মতিতে আমরা স্কুল মাঠেই জামাত করে নামাজ পড়ি। এই অনূভুতি টা এককথায় অসাধারণ ছিল আমার কাছে। সবকিছু শেষ। তারপর সবাই বসে যায় স্কুল মাঠে গোল হয়ে। এখন আমাদের গল্প করার সময়। এখন আমাদের সময় কাটানোর মূহূর্ত। কথায় কথায় ঐ সময়ের কত মূহূর্ত কত দুষ্টামি উঠে আসে সঙ্গে হাসাহাসি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনাদের এই পরিকল্পনাটা কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাই, যে পুরোনো বন্ধুরা সবাই একসাথে মিলে ইফতার করেছেন। তাছাড়া আপনারা ইফতারিতে ফলকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন, এটাও বেশ ভালো ব্যাপার। যাইহোক, সবাই মিলে আড্ডা দিয়েছেন, সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, যেটা অবশ্যই স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অনেক ভালো লাগলো ভাই, আপনার এই পোস্টটি পড়ে।