চেষ্টার সঙ্গে ভাগ্য টাও থাকা প্রয়োজন।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
এর আগেও আমি একটা বিষয় নিয়ে আমি বেশ কয়েকটা পোস্ট করেছি। সব সেরার সেরা হয়ে উঠা হয় না। আজ এই সম্পর্কে আরেকটা পোস্ট করব। আসলে সবসময় চেষ্টা দিয়ে সবকিছু হয় না। চেষ্টার সঙ্গে ভাগ্য টাও থাকা লাগে। আমি কিন্তু বেশ খেলাধুলা পাগল। যদিও আমি ফুটবল নিয়ে বেশি মেতে থাকি। সারাবছর ক্লাব ফুটবল দেখে থাকি। ক্রিকেট টা দেখি তবে খুব একটা বেশি না। আইসিসির বড় কোনো টুর্নামেন্ট যখন হয় সেই ক্রিকেট ম্যাচগুলো দেখি। প্রতিটা খেলা জেতার কিছু ধাপ থাকে। প্রথমে কৌশল কাজে লাগাতে হয় তারপর কাজে লাগাতে হয় বল এবং বলেও কাজ না হলে সর্বশেষ ছলের আশ্রয় নিতে হয়। কিন্তু যদি ভাগ্য পক্ষে না থাকে তাহলে এগুলোর মধ্যে কোনটাই কাজে লাগে না। আজ এইরকম একটা ক্রিকেট টিম নিয়ে বলব। যাদের কাছে সব ধরনের সেরা খেলোয়ার ছিল কিন্তু ভাগ্য তাদের পক্ষে ছিল না।
২০১৫ সালে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ যেটা অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে অনুষ্টিত হয়েছিল। ঐ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পঞ্চম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ঐ বিশ্বকাপে সেরা দল বা সেরা একাদশ অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড বাহ ভারত কারোরই ছিল না। সেরা একাদশ ছিল অন্য একটা দলের। সেটা ছিল সাউথ আফ্রিকার। সাউথ আফ্রিকার ঐ দলে তখনকার সেরা ব্যাটিং লাইনআপ ডি কক, হাসিম আমলা, ডি ভিলিয়ার্স, ডু প্লেসি, ডেভিড মিলার, অলরাউন্ডার ছিল জেপি ডুমিনি, ফিল্যান্ডার এবং ছিল সেরা সব ভয়ংকর বোলার ডেইল স্টেইন, ইমরান তাহির, মনি মরকেল এর মতো ক্রিকেটার রা। প্রথম ম্যাচ থেকে শুরু করে কোয়ার্টার ফাইনাল পযর্ন্ত কাউকে যেন গোনায়ই ধরে নাই আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বে তো ক্রিস গেইল এর ওয়েস্ট ইন্ডিজ কে পুরো ২৫০ রানে পরাজিত করে।
সেমিফাইনালে গিয়ে সাউথ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। সেইদিন টসে জিতে ব্যাটিং শুরু করে সাউথ আফ্রিকা। অসাধারণ খেলতে থাকে সাউথ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান রা। কিন্তু প্রতিবারের মতো এইবারও সাউথ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ চিরশএু হয়ে দাঁড়াও বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ৪১ ওভারে হয়। ঐ ৪১ ওভারে ২৪০ রান করে সাউথ আফ্রিকা। কিন্তু এরপরেই ছিল আসল টুইস্ট। সাউথ আফ্রিকার বোলিং এর বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু শেষমেশ গিয়ে দারুণ সমীকরণে চলে যায় ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে তখনো পিচে টিকে আছে গ্রান্ট এলিয়েট। এই এলিয়েটই ছিল জয়ের নায়ক। তবে সেটার পুরো কৃতিত্ত্ব যায় সাউথ আফ্রিকার ফিল্ডিং এর উপর।
এলিয়েট এর দুই টা ক্যাচ মিস করে বসে সাউথ আফ্রিকার ঐ স্ট্রং ফিল্ডিং লাইনআপ। তার উপর আবার একটা রানআউট মিস করে বসে। যেটা একেবারে অনাকাঙ্খিত ছিল। বাকি আর কাউকেই কিছু করতে হয়নি। বাকি কাজটা নিউজিল্যান্ডের কিপার ব্যাটসম্যান গ্রান্ট এলিয়েটই করে নেয়। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। ডেইল স্টেইন ভালো বল করছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ তিন বলে দরকার ছিল ৬ রান। এলিয়েট একটা ছয় মেরে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের ঘন্টা বেজে যায় সাউথ আফ্রিকার। মাঠের মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়ে ডি ভিলিয়ার্স, মনি মরকেল রা। যা এখনো ক্রিকেট ফ্যানদের কাঁদিয়ে বেড়ায়। বিশ্বকাপের আগে সব কিন্তু সব কিংবদন্তি ক্রিকেটার রা বলেছিল এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সবচাইতে বড় দাবিদার সাউথ আফ্রিকা। কিন্তু আবারও সাউথ আফ্রিকা হেরে যায় বৃষ্টি এবং ভাগ্যের কাছে। একটা আইসিসি ট্রফি তাদের কাছে স্বপ্নই থেকে যায়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.