বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
একটা সময় ছিল যখন মানুষ অপেক্ষা করতো নিউজ পেপার এর জন্য। কখন নিউজ পেপার আসবে আর খবরগুলো পড়তে পারব নতুন কিছু জানতে পারব। রেডিওতে খবর শোনার ট্রেন্ড টাও বেশ জনপ্রিয় ছিল। রেডিও এর পাশে বসে খবর শোনার মধ্যে নাকী একটা নেশা কাজ করত। এরপর যখন টেলিভিশন এর প্রচলন হয় চারিদিকে। সবাই টেলিভিশনে খবর দেখার দিকে আকর্ষিত হতে থাকে। ব্যাপার টা ক্রমেই আধুনিক হতে থাকে। সময় বদলেছে সাদাকালোর জায়গাই এসেছে রঙিন টেলিভিশন। এসেছে অসংখ্য চ্যানেল। কিন্তু আসল জায়গা টা একেবারে নিচে নেমে গিয়েছে। কারণ এখনকার সাংবাদিক এবং পূর্বের সাংবাদিক দের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। বতর্মানে এরা একটু রাঙিয়ে ভিওিহীন মুখরোচক নিউজ করতে পছন্দ করে।
একজন সাংবাদিকের কাজ সব খবর সঠিকভাবে কোনরকম বিকৃতি ছাড়া মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু সেই বিকৃতি টা যেন শুরু করে দেয় এরা নিজেই। এইরকম বহু ঘটনার স্বাক্ষী আছি আমরা। বিশেষ করে বতর্মানে স্যোসাল মিডিয়ায় নিউজ এর বিভিন্ন পোর্টাল চালু হওয়াই এই ব্যাপার টা আরও বেশি শুরু হয়েছে। মানে টাইটেলে একেবারে উওেজনাপূর্ণ কিছু লিখে দিতে হবে। তারপর আপনি সেটা দেখে যখন ভেতরে ঢুকবেন দেখবেন না শিরোনাম এর সঙ্গে নিউজ এর খুব একটা মিল নেই। এইতো কিছুদিন আগের কথা। ফেসবুক ক্রল করতে করতে একটা নিউজ সামনে পড়লো আমার। নিউজটা ছিল আমাদের দেশের চিএনায়ক ফেরদৌস কে নিয়ে। নিউজের টাইটেল টা এমন যে লেখা রয়েছে "ফেরদৌস কখনো বাবা হবেন না"।
সাধারণত আপনার সামনে যখন এমন নিউজ আসবে। আপনার মনে সর্বপ্রথম কোন ব্যাপার টা আসবে বলেন তো। হ্যা আমার মনেও ঐ কথাটাই এসেছিল। পরবর্তীতে আমি নিউজটার লিংকে গিয়ে পুরোটা পড়ে রীতিমতো অবাক হয়ে গেছি। সেখানে ঐ সাংবাদিক বিস্তারিত লেখার সময় বলেছে " চিএনায়ক ফেরদৌস একজন হিরো। তিনি কখনোই সিনেমায় বাবার চরিত্রে অভিনয় করবেন না। অর্থাৎ তিনি কখনো বাবা হবেন না"। এইবার আপনারাই বলেন সাংবাদিক শিরোনামে কী লিখল আর ভেতরে কী পাওয়া গেল। এখানে যারা পুরো নিউজটা পড়বে না তারা তো সহজেই অন্য কিছু ভেবে বসে থাকবে। তবে সেদিন আমি এই ব্যাপার টা নিয়ে বেশ হেসেছিলাম। এটা তো গেল একটা। মাএ কয়েকদিন আগের কথা। বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজ চলাকালীন মুশফিকুর রহিম হিট অব দ্যা উইকেট আউট হলে বাংলাদেশের একটা সংবাদ মাধ্যমে মুশফিকুর রহিমকে স্পট ফিক্সিং এর সঙ্গে জড়িত বলে একটা নিউজ করে।
মুশফিকুর রহিম এর মতো ডেডিকেটেড ক্রিকেটার বাংলাদেশে দ্বিতীয় টা নেই। পাশাপাশি তিনি সবচাইতে পরিশ্রমী। এইরকম নিউজ দেখে উনি ঐ চ্যানেলের নামে মানহানির অভিযোগ করে একটা মামলা করেন। পরবর্তীতে এই অবস্থা দেখে ঐ নিউজ চ্যানেল ক্ষমা চাই মুশফিকুর রহিম এর কাছে। তারা বলে না জেনে তাদের এমন নিউজ করা উচিত হয়নি। এখন আপনারা বলেন না জেনে কেউ এমন নিউজ করে তাও আবার স্পট ফিক্সিং এর মতো বিষয় নিয়ে। অর্থাৎ তাদের ইচ্ছা হয়েছে এবং নিউজ করে দিয়েছে ব্যাপার টা এইরকম। কিন্তু যখন মুশফিকুর রহিম অ্যাকশন নিয়েছে তখন তাদের টনক নড়েছে। অর্থাৎ তারা এইরকম নিউজ আরও করে থাকে। কিন্তু সবাই এইরকম অ্যাকশন না নেওয়াই ব্যাপার টা হাইলাইটস হয় না। এইরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে। দিনশেষে আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যম গুলো একেবারে নিচে নেমে গিয়েছে সেটা বলতে দ্বিধা থাকে না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.