কুমিরের কান্না!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
২০১৮ সালের কথা। তখন আমি দশম শ্রেণির ছাএ। পৃথিবীর নতুন সবকিছু নিয়ে আমার কৌতূহল তখন তুঙ্গে। প্রতিনিয়ত নতুন জিনিস দেখছি শিখছি মনের মধ্যে প্রশ্ন আসছে। ঐসময় আমি আমার জীবনের সব চাইতে বড় একটা শিক্ষা সফরে যায়। তার আগে ঐরকম দুই রাত এক দিনের শিক্ষা সফরে আমি যায়নি। যাইহোক আমার গিয়েছিলাম সুন্দরবন। সেখানে গিয়ে যখন আমরা করমজল নামক একটা জায়গাই ঘোরাঘুরি করছিলাম তখন লক্ষ করলাম কুমিরের ডিম থেকে শুরু করে সব ধরনের কুমির রয়েছে খাঁচার মধ্যে। বলতে গেলে এটা ছিল আমার জীবনের প্রথম সরাসরি কুমির দেখা। তবে সবচাইতে বড় কুমির দেখতে গিয়ে একটা ভুল আমি করে ফেলি।
খাঁচার মধ্যে সবচাইতে বড় কুমির টা এমনভাবে ছিল আমি ভেবেছিলাম ঐটা হয়তো মরে গিয়েছে। দেখে বোঝার কোন উপায় নেই ঐটা জীবন্ত কুমির। কৌতূহল বশে আমি বললাম স্যার কুমির টা তো মারা গিয়েছে তাহলে খাঁচার মধ্যে একটা মুরগি কেন রেখে দেওয়া হয়েছে। তক্ষণাৎ স্যার বলল ইমন কুমির টা মারা যায়নি ও ঐভাবে পড়ে আছে এটা ওর স্বভাব। স্যার আরও বললেন কখনও কুমিরকে এইভাবে পড়ে থাকতে দেখলে তাকে মৃত ভেবে নেবে না। এবং কখনও কুমিরের কান্না বিশ্বাস করবে না। স্যারের প্রথম কথাটা বুঝলেও দ্বিতীয় কথা তখন আমার বোধগম্য হয়নি। কুমিরের কান্না মানুষ কী দেখতে পাই এই প্রশ্ন সবসময় আমার মনের মধ্যে কাজ করতে শুরু করে।
কিন্তু সময়ের সাথে আমার বয়স বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক কিছু দেখেছি ফলশ্রুতিতে কুমিরের কান্নার বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার হয়েছে। স্যার ঐদিন রুপক অর্থে বলেছিলেন কুমিরের কান্নার কথাটা। বাস্তব কুমিরের কান্না তো ক্রমাগত দেখে আসছি গতকাল সন্ধ্যায় দেখেছি, পুরো জাতি দেখেছে। আমি কিসের কথা বলছি আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। আর গভীরে যাব না। একজন মানুষের বুদ্ধির চিন্তাশক্তির কী দূর অবস্থা হলে সে এমন মন্তব্য করতে পারে আমার জানা নেই। বাংলাদেশের বতর্মান পরিস্থিতি অকালে ঝরে গেল এতোগুলো প্রাণ। পুলিশ নির্বিচারে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালালো এগুলো কী প্রশাসন দৈব বাণী পেয়ে করেছে?? অবশ্যই না।
তাদের উপর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ছাএদের উপর ঝাপিয়ে পড়তে এইজন্যই এই অবস্থা। প্রথমত আপনি এইরকম একটা সংকটাপন্ন পরিস্থিতি নিজে হাতে তৈরি করলেন। পরবর্তীতে প্রশাসন কে মাঠে নামিয়ে দিলেন নিরীহ ছাএদের বিপক্ষে। যার কারণে পুরো বাংলাদেশ আজ অস্থির। আর এক সন্ধ্যায় কালো বস্ত্র পড়ে এসে সস্তা ক্রিপ্ট এর দুইটা লাইন বলে কুমিরের কান্না দেখালেন আর সাধারণ মানুষ সেটা মেনে নিবে ব্যাপার টা এতো সহজ। মোটেও না। এই যে আজ সারাদিন পুরো বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে রেখেছেন স্যোসাল মিডিয়ার সার্ভার ডাউন করে রেখেছেন। এগুলো কী সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে না। আপনারা হয়তো অর্থ ক্ষমতা দিয়ে দেশের মিডিয়া গুলো ম্যানেজ করে নিয়েছেন আর সাধারণ জনগণ কে দেখিয়েছেন কুমিরের কান্না। কিন্তু সেটাও বিফলে চলে গেল হা হা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.