শখের ফটোগ্রাফি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভালো আছি। তবে বাংলাদেশের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বয়ে গেল তার একটা প্রভাব এখনও আছে। মোটামুটি বেশ ভালো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের উপকূল এলাকাবর্তী এবং গ্রামের মানুষেরা। তবে রেমালের প্রভাবে ঢাকায়ও প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছি। আর এই বৃষ্টির দিনেই আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলাম। আপনাদের সাথে সেই ফটোগ্রাফি গুলোই এখন শেয়ার করে নিব। যদিও সঙ্গে আরও কিছু ফটোগ্রাফি রয়েছে। হাতে যদি একটা স্মার্টফোন থাকে এবং মনের মধ্যে একটা ইচ্ছা থাকে তাহলেই মোটামুটি সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করা সম্ভব। যাইহোক চলুন আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসা যাক।
- তখন সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা। প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রাস্তায় বাসের সংখ্যা খুবই কম পাশাপাশি যে বাসগুলো আছে এতো পরিমাণ ভীড় বাস কন্টাকটারই বলছে মামা জায়গা নেই তাহলে বোঝেন। আমি ঐসময় গুলিস্থানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিছু করার নেই কারণ কিছুই পাচ্ছিলাম না। ঐসময় আমি ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। এইরকম বৃষ্টি এবং বাতাস তারপরও যেন মানুষের জীবন থেমে নেই। গুলিস্থানের সেই ভীড় আছেই।
- মেঘলা আকাশ আমার খুবই ভালো লাগে। ঢাকা শহরে যেখানে অট্টালিকার জন্য ঠিকমতো আকাশই দেখা যায় না সেখানে মেঘলা আকাশ কী করে দেখব বলেন হা হা। তবে রেমালের প্রভাবে মোটামুটি দুই দিন ঢাকাতে মেঘলা আকাশ ছিল। তখন রাস্তায় বের হয়ে দেখে বেশ দারুণ লাগছিল। ফলাফল আমি আর দেরি করিনি। সঙ্গে সঙ্গে একটা ফটোগ্রাফি ধারণ করি। যদিও মেঘলা আকাশের সাথে ল্যাম্পপোস্ট বৈদ্যুতিক তার ও দেখা যাচ্ছে।
- ভার্সিটিতে ভর্তির কাজ শেষ করে যখন বের হলাম তখন ঘড়িতে প্রায় চারটা বাজে। ঐসময় রাস্তায় এসে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু না কোন বাসের দেখা নেই। অনেকক্ষণ পর পর যে বাসগুলো আসলে সেগুলোতেও জায়গা নেই। কিন্তু প্রাইভেট চলছে হরদম। এবং রাস্তায় বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে এটাও বেশ চমৎকার লাগছে দেখতে। ঐসময় আমি ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করি। এটা তেজগাঁও থেকে ধারণ করা।
- ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে বের হয়ে আমি হাঁটছিলাম মেইন রাস্তায় আসার সময়। ঐসময়ে আমার সামনে একজন ছিল। বলা ভালো তার কাছে কোন ছাতা ছিল না। তো উনি ঐভাবেই ভিজতে ভিজতে হাঁটছিলেন। ঐসময়ে আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করি। এখানে বৃষ্টি হোক ঝড় হোক যাইহোক কারো যেন থেমে থাকার সময় নেই। সামনে এগিয়ে যেতেই হবে হা হা। যদিও আমার কাছে ছাতা ছিল কিন্তু আমি দুই বার ভিজেছি তারপরও।
- সোমবার সকালের কথা। তখন সবেমাএ রেমালের প্রভাব ঢাকা শহরের উপর পড়েছে। যার শুরু হয়েছিল ভোর রাত থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত এর মাধ্যমে। তো ঐসময় আমি অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। যেহেতু আমি এখন যেখানে আসি সেই জায়গা থেকে অফিস টা বেশ দূরে। যাইহোক যাএাবাড়ি ফ্লাইওভারের নিচে থেকে আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। জায়গা টা মোটেও ভালো না। চারিদিকে প্রচুর নোংরা পড়েছিল।
- আমি এখন যেখানে কর্মরত আছি সেখান কার মসজিদের ফটোগ্রাফি এটা। এটা ঐ কোম্পানির স্টাফেদের জন্য তৈরি করা। আমি পাশেই স্টাইফ কোয়ার্টারের তৃতীয় তলা থেকে এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। মোটামুটি কিছুটা মেঘলা ছিল এবং সেই সময়ে দারুণ লাগছিল মসজিদ টা। এবং আমি ফটোগ্রাফি টা ধারণ করি। এছাড়া মসজিদের পরিবেশ টা বেশ সুন্দর কিন্তু।
- প্রচণ্ড বৃষ্টিতে গুলিস্থানে দাঁড়িয়েছিলাম। ছাতা থাকার পরেও ভিজে যাচ্ছিলাম। কিন্তু কোন বাস পাচ্ছিলাম না। এমন অবস্থা রাস্তায় কোন রাইড শেয়ার বাইকও ছিল না। পরবর্তীতে এই রিক্সাওয়ালা মামা যেতে রাজি হয়। সে আমাকে গুলিস্থান থেকে যাএাবাড়ি পৌছে দেয়। ঐসময় রিক্সায় বসে থাকা অবস্থায় আমি ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | Redmi 12 |
সময় | মে, ২০২৪ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
শখ করে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ফটোগ্রাফি সাথে সাথে বর্ণনা গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিকেলে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে রাস্তায় তেমন বাস চলছিল না আর তখন বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে সুন্দর একটি পরিবেশে ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফটোগ্রাফি করা আমাদের এখন শখের হয়ে গিয়েছে। চোখের সামনে যা ভালো লাগে তাই ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছে করে। কয়েকদিন বেশ বৃষ্টি হলো। এধরনের বৃষ্টি সত্যি ভয় লাগে। প্রচুর পরিমাণে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। মসজিদটি দেখতে অনেক সুন্দর। ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আসলে এই ঝড়ের ফলে বাংলাদেশের যে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। আর আপনারা যদি এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ান তাহলে তারা একটু ভালো থাকতে পারবে। আসলে আপনার ফটোগুলো প্রায় একই ধরনের হয়ে গেছে। বিশেষ করে প্রতিটা ছবি দেখে মনে হচ্ছে যে আপনি দুটো একই রকম ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যাইহোক এই বিষয়টির জন্য পোস্টটি একটু অন্যরকম হয়ে গেছে। আসলে কষ্ট না পেয়ে পরবর্তীতে আপনার পোস্টগুলো আসার অপেক্ষায় রইবো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। ফটোগ্রাফির বিষয়ে আপনি অনেক ভালো বোঝেন আমার থেকে। আমি পরবর্তীতে বিষয় টার দিকে খেয়াল রাখব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাইয়া বাইরে কোথাও বের হলে হঠাৎ বৃষ্টি আসলে বেশ ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তারপরেও ঢাকা শহরের পথে যদি এমন বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় তাহলে তো সত্যি খুব দুঃখজনক। আর রেমালের প্রভাব আমরাও বুঝেছি কতটা ভয়ানক। যাইহোক আপনার এই মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। পাশাপাশি অনেক কিছু জানতে পারলাম।
আসলে ঘূর্ণিঝড় এলাকার লোকজনের কষ্ট গিয়েছে তা আমরা হয়তো দূর থেকে বুঝতে পারিনি। আমরা একটু বৃষ্টিতে স্বস্তি অনুভব করেছি। বৃষ্টি ভেজা খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার কর্মস্থলের মসজিদের ফটোগ্রাফি টা খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। এরকম বৃষ্টি ভেজা ওয়েদারে ঘুরে বেড়াতেও ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আজ আপনি বেশ কয়েকটি শখের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ছাতা বিহীন একজন ভদ্রলোক বৃষ্টির ভিতরে ভিজে যাচ্ছিল তার গন্তব্যে। আপনার ফটোগ্রাফিগুলোর মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে মসজিদের ছবিটা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।