বৃষ্টিস্নাত একটি দিন!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আকাশ থেকে ভূপৃষ্ঠে পানির যে ধারা বয়েয়ে আসে আমরা তাকে অনেক নামে ডাকি। আমরা তাকে বাদল, বৃষ্টি, বর্ষা অনেক কিছুই বলে থাকি। তবে যে যাই বলুক সবগুলো একই জিনিস পাশাপাশি এর অনূভুতিও এক। বৃষ্টি যেন অন্যরকম এক অনূভুতির সৃষ্টি করে। বৃষ্টি যেমন মনের মধ্যে প্রেমের সৃষ্টি করে একইভাবে বৃষ্টি আমাদের বিষন্নতা একাকিত্ব খুব ভালোভাবে অনুভব করায়। গতদিন ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেখলাম। একজন লিখেছেন টিনের চালে বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি আওয়াজ পৃথিবীর সেরা মিউজিক। ব্যাপার টা আসলেই ঠিক। টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার যে আওয়াজ টা এটার তুলনা হয় না। বৃষ্টির আগে ধুলো মাখা শহর এবং বৃষ্টির পরের শহর এক হয় না। দুইটার মধ্যে অনেক টা পার্থক্য আছে কিন্তু।
সোমবার দিনটা আমার খুবই ব্যস্ততার সাথে কেটেছে। সারা টা দিন আমার কেটেছে পথে পথে। তার উপর ছিল প্রচণ্ড বৃষ্টি। সবমিলিয়ে ঐদিন আমি পুরো দুইবার ঘন্টাখানেকের বেশি সময় বৃষ্টিতে ভিজেছি। যদিও আল্লাহর রহমতে শরীর টা খারাপ হয়নি। সোমবার আমি ভার্সিটি তে যাব ঠিক করেছিলাম। কারণ আমাকে বিএসসি ইন ইইই তে ভর্তি হতে হবে। তো কাঁচপুর থেকে বাসে উঠে যাএাবাড়ি পযর্ন্ত যায়। তখন ঘড়িতে সময় প্রায় সাড়ে বারোটা। ঐদিকে দেড়টার আগে আমাকে ভার্সিটি তে পৌছাতে হবে। ক্যাম্পাস টা তেজগাঁও তে অবস্থিত। প্রথমত বৃষ্টি তার উপর বাস অনেক কম সেজন্য ঠিক করলাম দ্রুত যাওয়ার জন্য আমাকে রাইড শেয়ার নিতে হবে। একটা বাইক রাইড শেয়ার ঠিক করি। মোটামুটি ১৫ কিলোমিটার পথ এর জন্য ২৫০ টাকা চাই। আমি বললাম ঠিক আছে।
বৃষ্টির জন্য আমি সিএনজিও দেখেছিলাম। কিন্তু সিএনজি অনেক বেশি চাচ্ছিল। যাইহোক শেষমেশ রাইড শেয়ার করা ঐ ভাইয়ের এক্সটা রেইনকোর্ট টা পড়ে নেয় যেন আমার ডকুমেন্ট গুলো না ভিজে যায়। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে আমি পুরো টা ভিজে যায়। এবং রাস্তায় ছিল প্রচণ্ড যানজট। যদিও আমি এই অবস্থার কথা ভেবে একটা অতিরিক্ত টিশার্ট আগেই ব্যাগে রেখেছিলাম। যাইহোক ভর্তির কাজ যখন শেষ হলো তখন প্রায় চারটা বাজে। তখনও বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অবস্থা প্রায় খারাপ বলা যায়। বৃষ্টি এবং বাতাস যেন ছাতাও মানছে না। ঐসময় প্রায় ২০ মিনিটের বেশি সময় আমি তেজগাঁও তে দাঁড়িয়েছিলাম বাসের জন্য। একেবারে খারাপ লাগছিল না তবে একটু অস্বস্তিও হচ্ছিল।
শেষমেশ একটা বাস পেলাম এবং তাতে কিছুটা পথ আসার পরে গুলিস্থান নেমে গেলাম আবার শুরু হলো ভেজা। ছাতা নিয়ে কোন লাভ হচ্ছিল না। আর বাতাসে ছাতা টা ঠিকও রাখা যাচ্ছিল না। শেষমেশ বাধ্য হয়ে একটা রিক্সা নিলাম। রিক্সায় আসার সময়ও পুরোটা সময় ভিজলাম। যদিও রিক্সাওয়ালা মামা একটা বড় পলিথিন দিয়েছিল কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ক্রমাগত বৃষ্টিতে ভিজে আমার অবস্থা তখন রীতিমতো খারাপ । তবে অনেকদিন পর বৃষ্টিতে ভিজলাম এরজন্য অবশ্য অন্যরকম একটা অনূভুতিও কাজ করছিল। সবমিলিয়ে দিনটা বেশ ব্যস্ত কেটেছিল আমার। বৃষ্টির সময়ে ঢাকা শহরের অন্যতম প্রধান একটা সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতা খুবই খারাপ একটা জিনিস। এর কোন সমাধান হয়তো নেই। থাকলেও কারো সেটা করার সদিচ্ছা নেই।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
স্কুলবাড়ি সুপার মার্কেটের সামনে আপনি তো বেশ ভারী ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বৃষ্টির জন্য। আসলে কখন কে কোন পরিস্থিতির শিকার হয় তা কেউ জানে না। তবে আপনার এই রাস্তায় অবস্থানকালীন যানজট মুহূর্তে বৃষ্টির সমস্যার বিষয়টা জানতে পারলাম পোস্ট পড়ে। তবে অনেক সময় থাকে রেনকোটেও কাজ দেয় না
বৃষ্টির দিনে বেশ ভালই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে পার করেছেন দেখছি। আসলে বৃষ্টির দিনে বাইরে গেলেই ভেবে নিতে হবে আমাকে অল্প হলেও ভিজতে হবে। তবে সেদিন শুধু বৃষ্টি হলে হয়তো বা ভেজার চান্স কম থাকতো, তবে যেহেতু বৃষ্টির সাথে বাতাসে বইছিল যেভাবেই থাকা হোক না কেনো বাতাসের সাথে বৃষ্টি এসে গায়ে পড়তে পারে। আর বাতাস হলে ছাতাও ঠিকভাবে ধরে রাখা যায় না। যাই হোক তবে সব মিলিয়ে দিনটা ভালই কেটেছিল জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সোমবার দিনটি আপনার খুব ব্যস্ততায় ই কাটলো।ভার্সিটিতে ভর্তি হতে হবে।এদিকে বৃষ্টি সারাদিন।সিএনজি বৃষ্টি দেখলে ভাড়া অনেক বেশি ই চায়।তবে হে বাইকে গিয়েই ভালো করেছেন।তাড়াতাড়ি চলে যেতে পারলেন। বৃষ্টি যেমন মানুষের মনকে রোমান্টিক করে তোলে ঠিক তেমনি আবার তাকে অতীতের কথা মনে করে দিয়ে বিরহের ছায়ায়ও ফেলতে পারে।অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ সত্যি ই অসাধারণ।