এশিয়ান পাওয়ার হাউজ।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
কেইটো নাকামুরা, মিনোমিনো, তাকেফুসা কুবো, আয়াশে উয়েদা, দাইছি কামাদা এই নামগুলোর একটাও আপনারা কখনো শুনেছেন। হয়তো শুনেন নাই। কিন্তু এখন আপনাদের মনে কৌতূহলের সৃষ্টি হচ্ছে এই নামগুলো কাদের। এই সময়ে এসে আমরা কিন্তু ইউরোপ দক্ষিণ আমেরিকা এমনকি আফ্রিকার অসংখ্য নামি দামি ফুটবল খেলোয়ারের নাম জানি। কিন্তু আমরা অধিকাংশই এই নামগুলো কখনো শুনি নাই। আমরা সবাই জানি যে ফুটবল খেলাটাই আমাদের এশিয়ার দেশগুলোর রাজত্ব চলে না। ঐটা ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোর জন্য। ওরা এবং ওদের খেলোয়ারই সারাবছর পুরো ফুটবল বিশ্ব পুরো মিডিয়া দাপিয়ে বেড়ায়। কিন্তু সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। এশিয়ার একটা দল এখন ইউরোপের বড় দলগুলো কে নাকানি চুবানি দিচ্ছে। দক্ষিণ আমেরিকার দল বা আফ্রিকার দলগুলো রক্ষা পাবে না। তাদের কে বলা হয় এশিয়ান পাওয়ার হাউজ। আর উপরে যে নামগুলো আমি বললাম সেগুলো হলো ঐ এশিয়ান পাওয়ার হাউজের বতর্মান সৈন্যদের নাম।
আরেকটু পরিষ্কার করে বলি। ফুটবলে জাপানকে বলা হয় এশিয়ান পাওয়ার হাউজ। এটা বেশিদিন না এই ২০১৮ বিশ্বকাপ থেকে শুরু হয়েছে। তার আগেও জাপান ফুটবল দল টা বেশ ভালো ছিল। কিন্তু ২০১৮ বিশ্বকাপ থেকেই এক নতুন জাপান ফুটবল দলকে চেনে বিশ্ব। যাদের কাজ হয়ে দাঁড়ায় ইউরোপের বড়দলগুলোকে নাকানি চুবানি খাওয়ানো এবং অসাধারণ দলগত ফুটবলের প্রদর্শন করা। হ্যা উপরের নামগুলো জাপান ফুটবল দলের বতর্মান খেলোয়ারদের নাম। এর মধ্যে এখন অনেকেই আলাদা আলাদা ইউরোপের বিভিন্ন বড় দলে খেলে থাকে। এরমধ্যেই মিনোমিনো খেলে থাকে লিভারপুল এফসি তে। লিভারপুল এর খেলাগুলো নিয়মিত দেখার কারণে মিনোমিনো কে আমি বেশ ভালোভাবে চিনি। তবে প্রশ্ন বা কথা সেটা না। গত বিশ্বকাপ থেকে জাপানের জার্নিটা দেখে আসা যাক। এই দশ মাসে জাপান একপ্রকার চমকে দিয়েছে পুরো ফুটবল বিশ্বকে।
গত বিশ্বকাপে কিছুটা আন্ডারডগ হিসেবে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল জাপান। তারা প্রথম চমক দেয় জার্মানি কে হারিয়ে। পরের ম্যাচে হেরে গেলেও গ্রুপ পর্বে তাদের শেষ ম্যাচে আরেক পরাশক্তি স্পেন কে হারিয়ে পুরো ফুটবল বিশ্বকে চমকে দেয় জার্মানি। গ্রুপ ই থেকে জাপান এবং স্পেন কোয়ালিফাই করলেও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় জার্মানির। দ্বিতীয় রাউন্ডে অসাধারণ খেলে জাপান। দুই গোলের লিড নিয়ে নেয় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু ভাগ্য জাপানের পক্ষে ছিল না। ফলাফল শেষমেষ হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় জাপান। ঠিক এইরকমই ভাবেই ২০১৮ বিশ্বকাপে দুই গোলের লিড নিয়েও শেষ পযর্ন্ত বেলজিয়ামের কাছে হারতে হয় জাপান কে। এশিয়ার মধ্যে জাপান এখন সেরা।
এইতো সপ্তাহখানেক আগের কথা। ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মুখোমুখি হয় জাপান এবং জার্মানি। জার্মানিকে একেবারে নাকানি চুবানি খাওয়াই জাপান। জার্মানিকে নিয়ে যেন রীতিমতো মাঠের মধ্যে ছেলেখেলা করে হাহা। পুরো ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে জার্মানিকে। তার দুইদিন পরেই ইউরোপের আরেক দল তুরস্ক এর মুখোমুখি হয় জাপান। তাদেরও ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। রীতিমতো জাপান যেন জায়ান্ট কিলার হয়ে উঠেছে। জাপানের খেলা আমি দেখেছি। তাদের সবচাইতে বড় দিক তারা ফুটবল মাঠে একটা দল হিসেবে নামে। মাঠের মধ্যে তাদের বোঝাপড়া এককথায় অসাধারণ। এবং তাদের খেলার মূল বিষয় তাদের গতি এবং পাসিং একুরেসি। সবমিলিয়ে ভবিষ্যতে জাপান ফুটবলের এক পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের স্থায়ী করার জন্যই এগিয়ে যাচ্ছে। এশিয়ান পাওয়ার হাউজদের জন্য শুভকামনা।।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাইছি কামাদার নাম শুনেছি এর আগে! তবে জাপানের খেলা আমার কাছে ভালোই লাগে। সব খেলোয়ারের মাঝে স্পিরিট অনেক, দম নিয়ে খেলতে পারে। ভবিষ্যৎ এ যে ভালো করবে তা বলাই যায়। এশিয়ান জায়ান্ট জাপানকে বললেও মন্দ হবে না!
জাপান এবং জার্মানির ওই খেলাটা আমি দেখেছিলাম সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম খেলা। জার্মানির মতো দলকে জাপান চার গোল দেয় সেটা ভাবাটাই কষ্টসাধ্য ছিল আগেকার মানুষের। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে এশিয়ার পাওয়ার হাউজ হচ্ছে জাপানের ফুটবল দল।
যদিও ফুটবল খেলা নিয়ে তেমন একটা আগ্রহী নই আমি। তবুও আপনার লেখাটা পড়লাম। আপনার লেখনী বেশ সুন্দর ভাই। জাপান ফুটবল দল যে ২০১৮ বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের নতুন করে এগিয়ে নিচ্ছে এবং তা অন্যান্য ইউরোপীয় বড় বড় খেলোয়ার দেশগুলোকে সমানে নাকানিচুবানি খাওয়াতে সক্ষ্ম হচ্ছে জেনে ভালো লাগলো। আরো সামনে এগিয়ে যাক এশিয়ার এই ফুটবলার পাওয়ার হাউস টীম, তাদের থেকে অনুপ্রানিত হোক বাকি এশিয়ান দেশগুলোও... সেই শুভকামনা।