ভিডিওগ্রাফি ; বৃষ্টি ভেজা শহর।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমাদের জীবনের কিছু কিছু মূহূর্ত কখনও ভোলা যায় না। স্মৃতিগুলো সবসময় মনে থেকে যায়। সুন্দর মূহূর্তগুলোর সাথে আরেকটা জিনিস হচ্ছে স্মৃতি। এগুলো যখন মনে পড়ে অন্যরকম একটা অনূভুতি কাজ করে কিন্তু। বৃষ্টি আমার অনেক পছন্দের বিশেষ করে শ্রাবণ মাসে যখন সারাদিন অঝোরে বৃষ্টি হয় সেই সময় টা আমার অনেক পছন্দের। অসাধারণ একটা অনূভুতি বিরাজ করে। ঐ সময় টা আমি খুবই মিস করি। আর এই ব্যাপার টা আপনি উপভোগ করতে পারবেন গ্রামে থাকলে। তবে এবার গ্রাম বলেন আর শহর। সব জায়গাই চলছে অনাবৃষ্টি। প্রথমত প্রচণ্ড গরম তার উপর বৃষ্টি নেই। একটা বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে।
সত্যি বলতে আমি এখন প্রতিদিন ফোনে ওয়েদার রিপোর্ট চেক করি কবে বৃষ্টি হবে এই আশায়। যাইহোক সেসব বাদ দেয়। কিছুদিন আগের কথা প্রচণ্ড গরম তার মধ্যে আসলো ঘূর্ণিঝড় রেমাল। রেমালে বাংলাদেশের কিছু জেলার মানুষ প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তবে সেদিন বাংলাদেশে মোটামুটি প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছিল। কিন্তু কাকতলীয় ভাবে ঐদিনই আমি গিয়েছিলাম ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হতে। তো আমি ভর্তির সমস্ত কাজ শেষ করে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়ে আছি বাসের জন্য। তখন সময় বিকেল সাড়ে চারটা। তবে প্রকৃতির অবস্থা দেখে বলার উপায় নেই সেটা সকাল নাকী বিকেল নাকী সন্ধ্যা। তো আমি তেজগাঁও তে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু বাস নেই।
আমার মতো আরও অনেকেই দাঁড়িয়ে ছিল বাসের আশায়। সবার কাছেই ছিল ছাতা। আমি দাঁড়িয়ে চারিদিকের পরিবেশটা লক্ষ্য করছিলাম বেশ লাগছিল। ঢাকার প্রধান একটা শহরের রাস্তার বুকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছে সামনে দিয়ে গাড়ি চলে যাচ্ছে গুটিকয়েক গাছ মাঝে মাঝে বাতাসে দুলে উঠছে। ঐসময় আমি কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করি। এবং তখন হঠাৎ মনে আসে একটা ভিডিওগ্রাফি করলে খারাপ হয় না। ওয়েদার টা তো দারুণ। পরে দেখলে অন্যরকম একটা অনূভুতির সৃষ্টি হব। তারই ধারাবাহিকতায় আমি ভিডিওগ্রাফি টা করা শুরু করি। আমার এক হাতে ছাতা ছিল এবং অন্য হাতে ফোন এইজন্য অবশ্য কিছুটা অসুবিধা হয়েছিল আমার।
ভিডিও টা ধারণ করার পর বাড়িতে এসে যখন দেখি তখন মোটামুটি বেশ ভালো লেগেছিল। ভাবলাম ভিডিও টা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেয়। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। ভিডিও এর ব্যাকগ্রাউন্ডে আমি একটা মিউজিক এড করেছি। যখন বৃষ্টির ওয়েদার আসে আমি এই গানটা শুনি। সম্ভবত এইরকম ওয়েদারর কে নিয়েই গানটা লেখা। এখন এই প্রচণ্ড গরমে ভিডিও টা দেখে ঐদিনের কথা খুব মনে পড়ছে। সত্যি বলতে ঐদিন ঐ প্রচণ্ড বাতাস এবং বৃষ্টি আমার শরীরে একটা শিহরণ সৃষ্টি করেছিল।
ভিডিওগ্রাফি
----- | ----- |
---|---|
ভিডিও ধারক | @emon42 |
ডিভাইস | Redmi 12 |
সময় | মে,২০২৪ |
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক | চল রাস্তায় সাজি ট্রাম লাইন |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সুন্দর মূহুর্ত গুলো ভিডিও করে রাখলে পরে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে।আপনি সেদিন ভর্তি হওয়ার জন্য গিয়ে বৃষ্টিতে পরেছিলেন।আর বাসের জন্য অপেক্ষা করে করে চমৎকার ভাবে ভিডিওটি করে নিয়েছেন।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। এই গরমে বৃষ্টি বা ঠান্ডা ওয়েদারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে কিছুটা হলেও ভালো লাগে।
আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো আপনি একজন দক্ষ ভিডিওগ্রাফার এবং আপনার বর্ণনা অত্যন্ত জীবন্ত। বৃষ্টি ভেজা ঢাকা শহরের দৃশ্য আপনার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে যেন এক অনন্য শিল্পকর্ম। অসহনীয় গরমের পর একপশলা বৃষ্টি একরকম স্বর্গীয় প্রশান্তি এনে দেয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্যস্ত রাস্তায় দাড়িয়ে বৃষ্টির বিডিওগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন। দেখে ভালোই লাগছে। বৃষ্টির সময় একটু গাড়ির প্রবলেম হয়। কারন বৃষ্টির সময় যাত্রী কম থাকে। যার ফলে বাসের ড্রাইভার গন ধীরে ধীরে গাড়ি চালায়। যায়হোক আপনার বিডিও ও ফটোগ্রাফি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।