চারিদিকে কী চলছে!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আপনি আমি আমরা সবাই মানুষ!! হ্যা আমরা তো মানুষই। আমাদের দেখতি মানুষের মতো। কথা বলতি পারি যা খুশি করতে পারি মাঝে মাঝে পশুদেরও হার মানিয়ে দিয়ে থাকি আমরা। আমাদের মধ্যে সব গুণ আছে। কিন্তু মানুষ হিসেবে সর্বপ্রথম যে গুণটা আমাদের মধ্যে থাকা উচিত ছিল সেই গুণটাই আমাদের অনেকের মধ্যে নেই। সেটা হলো মনুষ্যত্ব। মনুষ্যত্ব ছাড়া একজন মানুষ হিংস্র পশুর চেয়েও খারাপ। হ্যা হিংস্র পশুর চেয়েও খারাপ। এটা আমি বলছি। মানুষের পক্ষে সবরকম কাজ করা সম্ভব। আর যদি বিবেকহীন হয়ে থাকেন তাহলে তো আরও ভালো। আপনাকে আর আটকাই কে বলেন হা হা। জানুয়ারিতে বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন। না আমি রাজনীতি নিয়ে কথা বলব না। প্রতি পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন আসলেই মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক ভয় কাজ করে। রাস্তায় বের হতে হয় জীবন টা হাতে নিয়ে। চারিদিকে জ্বালাও পোড়াও একটা ভয়াবহ পরিবেশ বিরাজ করে থাকে।
এই বছর এটা শুরু হয় অক্টোবর এর শেষ দিক হতে। তারপর প্রায় প্রতিদিনই নজরে আসছে রাজধানীর এই জায়গাই দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন। কখনো কখনো তো যাএীবাহী বাসেও আগুন দেয়া হয়েছে। দিনের বেলা আগুন দেওয়া হচ্ছে বাসে। এইরকম ঘটলে মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পাবে এটাই স্বাভাবিক। কতশত প্রাণ এইরকম গিয়েছে তার কোন ঠিক নেই। বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা তো এখন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ প্রতিদিনই এখন এইরকম দুই একটা নিউজ দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। কিন্তু কয়েকদিন আগের একটা নিউজ দেখে আমি রীতিমতো স্তধ্ব হয়ে গিয়েছিলাম। কয়েকদিন আগের ঘটনা। আমাদের কারোরই ভুলে যাওয়ার কথা না। তেজগাঁও স্টেশনে নাকী কেউ চলন্ত ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফলাফল দুই টা বগি একেবারে পুড়ে যায়। মারা যায় চারজন এর মতো নিউজ অনুযায়ী। একটা মা তার চার বছরের ছেলেকে জড়িয়ে ধরে থাকে আগুনের মধ্যে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। মা শত চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি সন্তানকে। দুজনই মারা গিয়েছেন।
তারপর আবার ২০ তারিখে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে আরেকটা ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। না যদিও সেরকম হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ট্রেনে এখন প্রতিটা কামড়ায় একজন এটেনডেন্স থাকে। যিনি কীনা বিভিন্ন বিষয় দেখে থাকে। বিশেষ কর এক্সপ্রেস ট্রেনে থাকেই। এখন আমার কথা যখন ট্রেনে আগুন দিলো কেউ বা কারা তখন ঐ কামড়ার এটেনডেন্স কোথায় ছিল? প্রতিটা কামড়ার বাইরের দিকে আগুন নেভানোর জন্য একটা এক্সটেনগুইসার থাকে। সে সেটা কেন ব্যবহার করল না। এগুলোর জবাবদিহিতা কেউ চাইবে না। কে আগুন ধরালো এতোগুলো সিসিটিভি ক্যামেরা থাকতেও এখনো খুঁজে বেড়ানো লাগছে। ব্যাপার টা কী আজব তাই না। এছাড়া অনেক সময় এমন দূর্ঘটনা ঘটে কে বা কারা রেললাইন এর পাত খুলে রেখে দিয়েছে। একবার ভাবুন ট্রেন গেলে কতবড় একটা দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আপনার আমার আমাদের মতভেদ থাকতেই পারে। আমাদের রাজনৈতিক দল ভিন্ন হতেই পারে। আপনি প্রতিবাদ করতেই পারেন। কিন্তু তার মানে এই না আপনি নিজের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য ট্রেনে বাসে আগুন ধরাবেন। এটা যেই করুক এটা কখনো কোন মানুষের কাজ হতে পারে না। আপনি প্রতিবাদ করতে চান হ্যা তার জন্য অবশ্যই সঠিক পথ আছে। সেই অনুসারে করুন। কিন্তু ট্রেনে বাসে আগুন ধরিয়ে এই যে মানুষ গুলো তারা মারছে। এরা কিন্তু সবাই সাধারণ জনগণ। এটা করে তাদের কী লাভ হচ্ছে বলুন। পথে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। আর যে বা যারা এই কাজটা করছে তাদের কী এর পেছনে বৃহৎ স্বার্থ আছে। হ্যা থাকতে পারে। কিন্তু তারাও কারো না কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে করছে এই কাজগুলো। দিনশেষে কোন নেতা নেএী বলেন রাজনৈতিক দল বলেন কারো কিছু হবে না। সড়কে প্রাণ যাবে সাধারণ জনগণের।।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
যখন একটি নির্বাচন শেষ হয়ে আবারো একটি নির্বাচন আসে তখন আমাদের সবার এমন খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। আপনি বেশ সুন্দর বর্ণনা সহকারে বর্তমান পরিস্থিতি শেয়ার করলেন। আসলেই এখন কোথাও ঘুরতে যেতে খুবই ভয় হচ্ছে। কারণ দিন রাত নেই এমন জঘন্য জঘন্য ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। সবদিকেই অরাজকতা সৃষ্টি হয়ে গেছে। আর ভালো লাগছে না এই ধরনের পরিস্থিতি। আপনার অনুভূতি পড়ে খুব খারাপ লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মানুষ এখন স্বার্থ ছাড়া কিছুই করে না। সব কিছুর আগে মানুষ নিজের তার নিজের লাভটা খুঁজে। এতে অন্যের ক্ষতি হলেও তাদের কিছু আসে যায় না। তাদের জন্য এখন সাধারণ মানুষের জীবন যুকিপূর্ণপ।