শীতের সকাল।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
শীতের সব সৌন্দর্য কিন্তু সকালেই লুকিয়ে থাকে। সকাল টা যদি আপনি মিস করে যান তাহলে আমি বলব শীতের বিশেষত্ব টা আপনি ঠিক আর বুঝতে পারবেন না। তাই শীতে আমাদের উচিত সকালে উঠা। কিন্তু কত কিছুই তো উচিত। সেটা তো আমরা তো করি না। আমার ক্ষেত্রে শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠা খুবই কঠিন এবং কষ্টকর একটা কাজ।আর যদি কোন কাজ না থাকে তাহলে এটা তো অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। যাইহোক ইদানিং সকালে বেশ কুয়াশা পড়ে থাকে। আর কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে। যেটা না দেখলে বোঝা যাবে না। বাড়িতেই রয়েছি। কিন্তু ঐ অলসতার কারণে সকালে উঠাও হয় না শীতের এই আবওহাওয়াটা উপভোগ করাও হয় না। কিন্তু গত বুধবার সেই সুযোগ টা হয়েছিল। যদিও তার পেছনেও একটা চাপ ছিল একটা কারণ ছিল। ইস যদি এইরকম চাপ প্রতিদিন হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। না চাইতেও সকালে উঠতাম আর এই সৌন্দর্য উপভোগ করতাম।
বুধবার আমার ডিপ্লোমা লাইফের শেষ দিন ছিল। ঐদিন আমার শেষ ভাইবা ছিল। তো আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রধান ইয়াকুব আলী স্যার আগেরদিন বলে দিয়েছিল আমরা যেন ৮:৩০ টার মধ্যেই কলেজে পৌছে যায়। স্যার আবার সময় সম্পর্কে খুবই সচেতন। একটু দেরি হলে আর ক্লাসে ঢুকতে দেয় না। অনেক সময় সবার সামনে অপমান করে। অন্যদিকে আমার বাড়ি থেকে মোটামুটি ১ ঘন্টা সময় লাগে কলেজে যেতে। সেজন্য আমি সাবধানতার জন্য ৭ টার সময় বাড়ি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর জন্য আমাকে ঘুম থেকে উঠতে হবে ৬ টার সময়। সেদিন ঠিক ৬ টার সময়ই উঠে পড়ি। যদিও এর পেছনে পুরো ক্রেডিট ছিল আমার মায়ের। যাইহোক ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে বের হলাম ৭ টার সময়। আহ কী অসাধারণ ওয়েদার। কী অসাধারণ পরিবেশ। শেষ একবছর আগে এইরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম।
আমার বাড়ি থেকেই বের হলেই রাস্তা। গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া পিচঢালা রাস্তা। এবং রাস্তার দুপাশে গাছপালা ও বাড়িঘর। রাস্তাটা একেবারে কুয়াশাই আচ্ছন্ন। তাকালে খুব বেশিদূর দেখা যাচ্ছে না। এবং একটা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। যেটা আমার শরীরে রীতিমতো শিহরণ এর সৃষ্টি করছে। এভাবে আমি এগিয়ে গেলাম। এবং ফোনটা দিয়ে আমি ফটোগ্রাফি করছিলাম। সত্যি কী অসাধারণ কী চমৎকার লাগছিল। এরপর আমি হাইওয়ে তে চলে গেলাম। এখান থেকে গাড়ি নিয়ে যেতে হবে। তবে সমস্যা একটাই শীতের সকালে যানবাহন খুব একটা পাওয়া যায় না। এবং হলো সেটাই। অতো সকালে তো বাস ছিল না। এবং ছোট যে যানবাহন গুলো আসছিল সেগুলোতেও জায়গা ছিল না। শেষমেশ একটা পেলাম। ওটাতে করে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করি। এবং একটা ভিডিও ধারণ করি।
বাংলার এই প্রকৃতির প্রেমে পড়ে কবি জীবনানন্দ দাস মৃত্যুর পরে আবার ফিরে আসতে চেয়েছে এই বাংলায়। এই রুপ এই সৌন্দর্য যদি আপনাকে মুগ্ধ করতে না পারে বা আপনি যদি উপভোগ করতে না পারেন তাহলে সত্যি আপনার জন্য সেটা দূর্ভাগ্য। আর কিছুদিন। তারপর শীত টা চলে যাবে। অন্য ঋতু আসবে। সকালে চাইলেও আর এইরকম কুয়াশা দেখা যাবে না। যতই দিন যাচ্ছে বাংলাদেশে যেন শীতের ঋতুর সময় টা কমে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে গ্রামের দিকে মোটামুটি দেড়মাস মতো ঠান্ডা থাকে শীতের আবওহাওয়া থাকে। আর শহরের দিকে তো বিশেষ করে ঢাকা সহ বড় শহর গুলোতে শীত প্রবেশই করে না বললে চলে। আশাকরি প্রকৃতির এই সংকট দূর হবে। না হলে একদিন হয়তো সত্যি শীত ঋতুটাও গায়েব হয়ে যাবে।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | ডিসেম্বর ,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
শীতকালের আসল মজাই হচ্ছে সকালবেলায়। যদি কেউ এই সকালে কুয়াশা ভরা ঠান্ডা পরিবেশ মিস করে তাহলে তার পুরো শীতকালটা যেন মিস হয়ে যায়৷ যখন কেউ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে শীতের পরিবেশটা উপভোগ করে তার মনের মধ্যে একটি আলাদা প্রফুল্লতা কাজ করতে থাকে৷ যা আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে পড়তে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ অনেক ধন্যবাদ এবং সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন শীতের সকাল। হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন শীতের সব কিছু লুকিয়ে থাকে শীতের সকালের মধ্যে। আসলে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলে বোঝা যায় কি দৃষ্টি নন্দন দৃশ্য কুয়াশায় ঢাকা চারিপাশ। দেখতে যেন লাগে এক অন্যরকম। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বেশ কয়েকদিন যাবত খুবই কুয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। সকালে যেন দূরের পথ গুলো রাস্তা গাছ দেখতে পাওয়া যায় না। শীতের এই সকালে কিন্তু পথ চলতে বেশ ভালোই লাগে। পাশাপাশি যদি খেজুরের রস অথবা আখের রস খেতে পারা যায় তাহলে ভালো লাগে। তবে যাই হোক আমাদের দেশে রূপ অনেক সুন্দর। তাই যুগে যুগে এমন কবিরা অনেক কিছু লিখে গেছেন এবং পুনরায় দুনিয়ার বুকে ফিরে আসার ব্যাকুল অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তাদের লেখার মাঝে।
আমি এ বছর এখনো কুয়াশা দেখিনি ভাইয়া।আপনি চাপে পরে কুয়াশা দেখতে পেলেন।ডিপ্লোমার শেষ দিনের ভাইবা। মায়ের ডাকে ৬ টায় উঠে গেলেন।আর ৭ টায় কলেজে রওনা হলেন।স্যার সবার সামনে ছোট করবে তাই আগে ভাগেই গেলেন।চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করলেন শীতের সকালকে নিয়ে।ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝলাম কি কুয়াশা।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।