ঘরে পাতা টকদই রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি,সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki "আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দিয়ে দিন শুরু করতে পারলে স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি। সেক্ষেত্রে টক দই একটি ভালো খাবার হতে পারে।দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি ১২, বি২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মত জরুরি উপাদান থাকে। আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এর বিকল্প নেই।টকদইয়ের গুণাবলী বলে শেষ করা যাবে না আর তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ |
---|
গরুর দুধ আধা লিটার |
দইবিজ |
প্লাস্টিকের একটা ঢাকনাযুক্ত পাত্র |
ঢাকনাওয়ালা বড় সসপ্যান |
প্রথম ধাপ
প্রথমে গরুর দুধ গুলো একটা পাতিলে করে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি।তারপর অনেক সময় ধরে ভালো করে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।দুধ যতো বেশি ঘন হবে দইয়ের স্বাদ ততো বেশি সুস্বাদু হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
পরিমাণ মতো দইবিজ একটা ছাকনিতে নিয়ে টক জল গুলো ছেকে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এবার একটা ডালঘুঁটনি দিয়ে দুধ গুলো খুব ভালো করে ঘুঁটে ফেনা ফেনা তৈরি করে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
প্লাস্টিকের পাত্র টি ভালো করে ধুয়ে মুছে নিয়েছি।তারপর দইবিজ গুলো একটা চা চামচের সাহায্যে পুরো পাত্রটি মেখে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এবার দুধের মধ্যে আঙুল চুবিয়ে দেখে নিলাম দুধ ঠিকঠাক মতো ঠান্ডা হয়েছে কি-না! দুধ যদি গরম থাকে তাহলে দইবিজের মধ্যে দেওয়ার সাথে সাথে দুধ ছানা কেটে যাবে।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার ঠান্ডা করা দুধ গুলো দইবিজ মাখানো পাত্রের মধ্যে সবগুলো ঢেলে দিয়েছি।তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এবার বড় স্টিলের সসপ্যানটি চুলায় দিয়ে কয়েক সেকেন্ড জন্য রেখে হালকা গরম করে নিয়েছি।তারপর দইয়ের পাত্র টা সসপ্যানে দিয়ে সসপ্যানের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।তারপর একটা নির্দিষ্ট জায়গায় কাপড় বিছিয়ে দিয়ে তার উপর সসপ্যানটি রেখে দিয়েছি।উপর দিয়ে একটা মোটা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রেখে দিয়েছি কয়েক ঘন্টার জন্য।
অষ্টম ধাপ
৪-৫ ঘন্টা পর কাপড় খুলে সসপ্যান থেকে দইয়ের পাত্র টা বের করে নিয়ে ১ ঘন্টার জন্য নরমাল ফ্রিজে রেখে দিয়েছি যাতে করে দই পুরোপুরি সেট হয়ে যায়। ১ ঘন্টা পর ফ্রিজ থেকে দই বের করে দেখি একদম পুরোপুরি সেট হয়ে গেছে।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো ঘরে পাতা টকদই রেসিপি টি।
খুব বেশি খরচ না করে আর ঝামেলা বিহীন ভাবে খুবই কম সময়ে এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে এভাবেই ঘরে টকদই বানিয়ে যেকেউ খেতে পারবেন।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার অনেক অনেক পছন্দের একটা রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। টক দই আমার অত্যন্ত পছন্দের। আমি প্রায় প্রতি সপ্তাহেই টক দই বাসায় তৈরি করে থাকি। আপনার টক দই তৈরি করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিটা ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ এমন মজাদার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই আপু টক দইয়ের গুনাগুন অনেক। তবে বাসায় এভাবে টক দই তৈরি করা হয়নি কখনো। রেসিপি টা দেখে খুবই ভালো লাগলো। একদিন এই রেসিপিটা ট্রাই করে দেখব। টক দই টা দেখে তো মনে হচ্ছে একদম পারফেক্টলি তৈরি করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য।