শাকচুন্নী আর্ট
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমার বড় কন্যা বর্নষার নতুন একটি আর্ট পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি আজকের আর্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।
শাকচুন্নী
শাকচুন্নী,বাঙালী প্রেত সমাজের বহুল পরিচিত এবং চর্চিত একটি চরিত্র। শিশুদের দেশী রূপকথা প্রায় এদের ছাড়া অসম্পূর্ণ। হাউ মাউ খাউ মানুষের গন্ধ পাউ বলে অশ্বত্থ বা আশঁ শেওয়া গাছ থেকে নেমে আসতেন,এসেই কারো ঘাড়ে চাপতেন। বা দুপুর বেলা গাছের ডালে উল্টো হয়ে ঝুলে থেকে চুল শুকাতেন,আর সেই চুলে কেউ মাড়িয়ে দিলেই তার ঘাড় মটকানো নিশ্চিত,অথবা নিয়ে গিয়ে বেধে রাখত কোনো গাছের কোটরে। শাকচুন্নীদের সব থেকে প্রিয় শিকার হতো গ্রামের গরীব ব্রাহ্মণের বউ।প্রতিবারই ব্রাহ্মণের বউ কোনো না কোনোভাবে শাকচুন্নীকে রাগিয়ে দেবে,আর শাকচুন্নী তাকে গাছের কোটরে বন্দী করে, নিজে ব্রাহ্মণ বউয়ের মত সেজে ব্রাহ্মণের সংসার করবে। তবে এরা ছিলো বেশ বোকা প্রতিবারই কাঠের পরিবর্তে নিজের পা দিয়ে রান্না করা অথবা হাত লম্বা করে লেবু পাড়তে গিয়ে ধরা পড়ে যেতো।তারপর ওঝা এসে পিটিয়ে এদের বাড়িছাড়া করতো,তবে যাওয়া আগে আবার ব্রাহ্মণীকে ফিরিয়ে দিয়ে যেতে হতো।প্রতি বইয়েই দেখানো হয়েছে যে এদের মুলার মতো দাঁত,কুলার মতো কান।এরা দেখতে প্রচন্ড ভয়ংকর।তবে আমার বড় কন্যা চেষ্টা চেষ্টা করেছে সেই শাকচুন্নীকে একটু সুন্দর ভাবে আর্ট করতে। কারন ভূত-প্রেত হলেও তো তারা মেয়ে।তাদেরো তো একটু সুন্দর হবার ইচ্ছে জাগে। তাই আমার কন্যার এই প্রচেষ্টা🤭😁
১.কার্টিস পেপার
২.এক্রেলিক কালার
৩.তুলি
৪.পেন্সিল
ধাপ-১
প্রথমে মুখের পুরা আউটলাইনটি এঁকে নিয়েছে।
ধাপ-২
এবার কপালের চুল কান এবং হাতের আউটলাইন এঁকে নিয়েছে।
ধাপ-৩
এবার মাথার পুরো চুল শাড়ি এবং গলার মালার আউটলাইন এঁকে নিয়েছে।
ধাপ-৪
এবার সবুজ রং দিয়ে চোখ ও দাঁত বাদে মুখের
এবং শরীরে অংশটি এঁকে নিয়েছে।
ধাপ-৫
এবার কালো রং দিয়ে মাথার চুল গুলো এঁকে নিয়েছে এবং সাদা রং দিয়ে মাঝে মাঝে হাইলাইট করে নিয়েছে।
ধাপ-৬
এবার কালো রং দিয়ে চোখের পাপড়ি আইভ্রু এঁকে নিয়েছে এবং লাল রং দিয়ে ঠোঁট এবং কপালের টিপ সিঁদুর এঁকে নিয়েছে।
ধাপ-৭
এবার গোলাপি রং দিয়ে শাড়ি এবং নীল রং শাড়ির পাড় এঁকে নিয়েছে।
ধাপ-৮
এবার হলুদ রং দিয়ে ব্লাউজ এবং গহনা গুলো রং করে নিয়েছে।
ধাপ-৯
এবার লাল রং দিয়ে হাতের নখ ও ফুলের নকশা এঁকে নিয়েছে।
ধাপ-১০
এবার সাদা রং দিয়ে গলার মুণ্ডমালা ও মুলার মতো দাঁত দুটো রং এঁকে নিয়েছে।
শেষধাপ
পুরো আর্ট টি শেষ হলে নিজের নাম সাইন করে নিয়েছে।
ফাইনাল লুক
এই ছিলো আমার বড় কন্যার আর্ট করা শাকচুন্নী ,আশাকরি আপনাদের সকলের অনেক ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একসময় টিভিতে এই ধরনের কার্টুন আমি নিয়মিত দেখতাম। যাই হোক খুবই সুন্দর লেগেছে। দাঁতগুলো দেখে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। ভাগ্যিস পোস্টটা এখন দেখলাম, রাতে দেখলে তো ভয় পেতাম হা হা হা।
মামাকে ভয় দেখানোর জন্যই ভাগ্নী এঁকেছে😁😁😁ধন্যবাদ ভাই।
ঐশী দেখছি চমৎকার সুন্দর করে শাঁকচুন্নি আর্ট করেছে।
শাঁকচুন্নির গল্প ভীষণ পছন্দের বাচ্চাদের। আমারও অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে শাঁকচুন্নির হাসি অসাধারণ ভয়ংকর। আজ আপনি চমৎকার সুন্দর করে শাকচুন্নি আর্ট সম্পর্কে বর্ননা এবং শাঁকচুন্নি সম্পর্কে বর্ননা করেছেন ভীষণ ভালো লাগলো।শাঁকচুন্নি আর্ট পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর আর্টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ আগে আমরাও টিভিতে অনেক দেখতাম এবং খুবই ভালো লাগতো।হাসিটা সত্যিই অসাধারণ লাগে😁😁তোমাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলায় যখন ঠাকুরমার ঝুলি দেখেছিলাম সেখানে এই গল্পটি দেখেছিলাম। ঠাকুরমার ঝুলির কাটুন গুলো আমার খুবই পছন্দের ছিল। একদম ঠাকুরমার ঝুলির সেই শাকচুন্নির মতোই লাগছে দেখতে। খুবই সুন্দর হয়েছে আর্ট টা। তবে দেখে মনে হচ্ছে শাকচুন্নি ছবি তোলার জন্য পোজ দিয়েছে। দারুন ছিল।
জ্বি আপু ঠাকুমার ঝুলির শাকচুন্নীর মতোই হয়েছে।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ছোটবেলা যখন কার্টুন দেখতাম এই শাকচুন্নি অনেক ভয় পেতাম। সত্যি অনেক ভয় পেতাম। কিন্তু এখন এই চেয়েও ভয়ানক গার্লফ্রেন্ড নামক একটা শাকচুন্নি এখন সাথে করে নিয়ে ঘুরে বেড়াই এখন আর ভয়ও করে না হা হা।
শাকচুন্নি যেন আমাদের শৈশবের একটা অধ্যায়। দারুণ করেছে আর্ট টা আপু। প্রশংসা করতেই হয়। এককথায় চমৎকার।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শাকচুন্নীর থেকে বেশি ভয়ংকর হয় গার্লফ্রেন্ড। 🤭🤭অনেক মজার একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
আপনার বড় মেয়ে অনেক ভালো আর্ট করে বৌদি।আগে ওর অনেক আর্ট দেখেছি।অনেক দিন পর এই শাঁকচুন্নির আর্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো। শাঁকচুন্নি হয়েছে তো কি। মেয়ে তো। বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছে ঐশি।ওর জন্য শুভ কামনা রইলো।
আপনার মেয়েদের দারুণভাবে চিত্রটি অংকন আপনার বড় মেয়ে খুবই চমৎকার একটি চিত্র অংকন করেছে আপু। অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। খুবই আকর্ষনীয় একটি চিত্র অঙ্কন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি মামনিকে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।