প্ল্যানিং ছাড়া ঘুরে আসা।সারপ্রাইজ ট্যুর।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
হুটহাট প্লানিং ছাড়া যদি কোথাও ঘুরতে বের হওয়া যায় তাহলে মন যেমন ইনস্ট্যান্ট ভালো হয়ে যায় ঠিক তেমনি আনন্দ উপভোগ করা যায়।কাল সকাল বেলা আমার আব্বু কল দিয়েছিল জিজ্ঞেস করলাম আসবে কিনা, তখন বলল যে তিনি হয়তো আজ বিকেলে বা কাল সকালের মধ্যে আবার ঢাকা চলে যাবে, সেজন্য আসতে পারবে না। মূলত এসেছিল ডাক্তার দেখানোর জন্য। এখানে এক ডাক্তার দেখিয়েছিল আর আবারো চেকআপ করতে এসেছিল।
যাইহোক এসেছিল তো গতকাল তখন আসতে বলেছিলাম কিন্তু ডাক্তার দেখাবে বিধায় আর আসতে পারেনি। কাল সকালে আব্বুর সাথে কথা বলার পর ফোন রেখে দিলাম। তারপর আমি আমার হাজব্যান্ডকে বললাম দুপুরবেলা খাওয়ার পরে একবার যাওয়া যায় তাই না। ও এক কথায় রাজি হয়ে গেলো এবং বলল ঠিক আছে চলো। নিভৃত তাহলে একটু ঘুরে আসতে পারবে এবং তার নানা নানুর সাথে দেখা করে আসতে পারবে। যেই ভাবনা সেই কাজ। বাকি যাবতীয় কাজকর্মগুলো তাড়াতাড়ি সেরে ফেললাম। নিভৃতকে গোসল করিয়ে নিলাম। তারপর রেডি করিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। যেহেতু সে গোসলের পর একটা ঘুম দিবে সেজন্যই মূলত ওকে ঘুম পাড়িয়ে বাকি কাজকর্ম সেরে নিয়েছিলাম।
এরপর দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে রেডি হয়ে গেলাম। ইতোমধ্যেই নিভৃত কিন্তু উঠে গিয়েছিল। সে ঘুম থেকে ওঠার পর তাকে আর কিছুই খাওয়ালাম না। কারণ ঘুম পাড়ানোর আগেসে মাছ ভাজা একটু খেয়েছিল। আর সেখানে গেলে তার খালামণি তাকে কিছু না কিছু খাইয়ে দেবে। সে জন্যই মূলত তাকে কিছু খাওয়াই নি। আর এমনিতেও ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে কোন কিছু কারোরই খেতে ইচ্ছে করে না। আর আমিও নিভৃতকে ঘুম থেকে ওঠার পর কোন কিছু খাওয়াই না। একটু কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি খেলাধুলার পর ওকে কিছু খেতে দেই।
যাইহোক আমরা সবাই রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম। দাগনভূঞা যাওয়ার পর দেখলাম রাস্তার কাজ চলছে। তাই ধীরে ধীরে সেখান দিয়ে রাস্তা পার হলাম এবং একটা দোকান থেকে টুকিটাকি কিছু জিনিসপত্র নিয়ে নিলাম। যেহেতু আব্বু অনেকদিন পর এসেছে সেই হিসেবে তার জন্য কিছু কিনে নিয়েছিলাম। এরপর সোজা চলে গেলাম আমাদের বাড়িতে। নিভৃত খুব আনন্দে ছিল কারণ সে বাইরে বেরোলে এবং গাড়িতে উঠ উঠলে অনেক বেশি খুশি থাকে। যাইহোক কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা আমাদের বাড়িতে পৌঁছে গেলাম।
গিয়ে দেখি আম্মু আর ছোট বোন ঘুমাচ্ছে।ভাই তো বিকেলবেলা গ্রাফিক্সের কাজ শেখার জন্য চলে গিয়েছে, মোটামুটি অনেকটাই কমপ্লিট করে ফেলেছে। এখন শুধুমাত্র এক্সট্রা কিছু এক্সপেরিয়েন্স এর জন্যই সেখানে যায়। আমাদের বাড়ির পাশে যে মসজিদ রয়েছে সেখানে মাহফিল হচ্ছিল সেখানেই আব্বু গিয়েছিল।ছোট বোনকে তখন বললাম আব্বুকে কল দিতে। সে আব্বুকে কল দিল এবং আব্বু জিজ্ঞেস করছিল কেন আসতে তখন সে বলল আম্মু ডাকছে। আব্বু এসেই দেখে আমার হাসবেন্ডকে, সাথে সাথে জিজ্ঞেস করল তুমি কখন আসছো।
এরপর যখন ঘরের ভিতরে আসলো তখন দেখে আমাদেরকে। সেটা দেখে একদম সারপ্রাইজড হয়ে গেল আর খুশিতে আত্মহারা। কারণ যেখানে তারা আসার কথা ছিল সেখানে আমরা হুট করে চলে গেলাম আর সারপ্রাইজ দিয়ে দিলাম। আসলে এই মুহূর্তগুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। কিছুদিন আগেও এরকম একদিন বিকেলবেলা হঠাৎ করে চলে গিয়েছিলাম। হুটহাট করে প্ল্যানিং ছাড়া যদি কোথাও ঘুরতে বের হওয়া যায় তখন অনেক বেশি আনন্দ ময় হয়।
নিভৃত অনেক বেশি আনন্দে মেতেছিল। সে গিয়েই তার খালামণির কোলে ঝাঁপ দেয়। তার কিছুক্ষণ পর তার খালামণি তাকে হাঁসের মাংস দিয়ে ভাত খাইয়ে দিল। অল্প কিছু খেয়েছে বাকিগুলা সে কবুতরকে খাইয়ে দিচ্ছিল। ও আবার পশু পাখি যেমন কুকুর,বিড়াল, পাখি, মুরগি, কবুতর এগুলোকে খাওয়ার দিতে বেশি পছন্দ করে। তার পাশাপাশি আমাদেরকে তো প্রতিনিয়তই নিজে যা খায় তাই খাওয়ায়,হাহা।
তবে এদিকে একটা বিষয় হলো ওয়াজ মাহফিলের সময় চটপটি এবং ফুচকা ওয়ালারা এসে হাজির হয়ে যায়। আর আমরা এসেছি দেখে আব্বু কিছু ফুচকা আর পেঁয়াজু নিয়ে এসেছিল। পেঁয়াজুগুলো খেতে ভালোই লেগেছে। তবে ফুচকা খেতে ততটা ভালো লাগেনি। লবনের পরিমাণ একটু বেশিই ছিল।যাইহোক আমরা যখন চলে আসবো ঠিক সেই সময় নিভৃত একটা চেয়ার বাইরে বের করে নিল এবং সে রাস্তার মধ্যেই সেটা চালাতে শুরু করল। হাঁটা শিখেছে পর্যন্ত এখন প্রতিনিয়তই তার ঘরের মধ্যে চেয়ার খেলার কাজ চলে।
যাইহোক মোটামুটি সেখানে প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় কাটালাম এরপর আমরা আবার ফিরে এলাম।আসার পর নিভৃত এর জন্য হালকা শপিং করলাম বাজারে।তারপর বাড়িতে ফিরে এলাম।মোটামুটি ঘুরে এলাম আর বেশ মজা লাগলো।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিকল্পনা ছাড়াই যদি কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় তাহলে অবশ্যই অনেক ভালো লাগে। আজকে দেখছি পরিবারসহ একসাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন খুবই ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এ ব্লগটা যেখানে জানতে পারলাম আপনাদের বাইরের চলাচলের মুহূর্তটা। আসলে ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মেলা বসে একদিকে খেলা জিনিস আরেকদিকে খাওয়া-দাওয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ঘুরতে ভালো লাগে তাই মাঝে মাঝে বেরিয়ে যাই ঘোরার জন্য।
বাহ্ আপু বাবার বাড়িতে তো ভালোই বেড়ালেন। হুটহাট করে বাবা বাড়ি চলে গেলে বাবা মা কিন্তু বেশ খুশি হয়। ফুচকা খেলেন, পিয়াজু খেলেন। আবার বাবা মার সাথে বেশ ভালো কিছু সময় কাটালেন। আমার কিন্তু বেশ ভালো লাগলো আপনার এই প্লানিং ছাড়া ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টি।
মাঝে মাঝে এভাবে চলে যেতে ভালো লাগে কিন্তু সময় হয় না।
এরকম মাঝেমধ্যে হঠাৎ ঘুরতে যাওয়া উচিত আমরাও যেয়ে থাকি অনেক মজা পাই। আপনার বাবুকে নিয়ে দারুন সময় পার করেছেন সত্যিই ভালো লাগলো। এই আনন্দ ময় মুহূর্তগুলো সবাই চায় সেজন্য জীবনে হুটহাট কোথাও ঘুরতে যাওয়া উচিত।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকবেন। সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম।
কোনো প্ল্যান না করে কোথাও গিয়ে ঘুরে আসা সত্যিই মজার ব্যাপার। মাঝে মাঝে এমন সারপ্রাইজ ট্যুর আমিও করি , কোনো প্ল্যানিং না করে কোথাও গিয়ে ঘুরে আসি। বাবা মা সবাইকে বেশ ভালোই সারপ্রাইজ করেছেন যা বুজালম আপু। বিয়ের পর মেয়েরা নিজের বাবার বাড়ি গিয়ে এমন সারপ্রাইজ দিলে বাবা মা অনেক আনন্দ পাই। মাঝে মাঝে এমনটা করা বেশ ভালো ব্যাপার।
প্ল্যানিং ছাড়া ঘোরাঘুরির মজাই আলাদা। এজন্য মাঝে মাঝে হুট করে বেরিয়ে যাই।
হুটহাট করে কোথাও গেলে ভীষণ ভালো লাগে।আর তা যদি হয় আব্বু-আম্মুর কাছে তবে তো কথায়ই নেই।খুব আনন্দে সময়টা কাটলো।ছেলেও বেশ মজা পেলো।ছোট ছোট এই আনন্দগুলো এক সময় অনেক বড় আনন্দ হয়ে মনে বাজে।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
অনেকদিন পর আমি আব্বুর সাথে দেখা করলাম আর নিভৃত তার নানার সাথে দেখা করল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।