ভিন্ন ভিন্ন ছবিতে আজকের ব্লগ||রেনডম ফটোগ্রাফি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।সবার সুস্থতা কামনা করে এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
দৈনন্দিন জীবনের মাঝে মানুষের দুঃখ, কষ্ট, ক্লান্তি এবং অবসাধ তো থাকেই। আর সেই সব উপেক্ষা করেই কিন্তু সবাইকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। আর ঠিক তেমনই প্রত্যেকটা সমস্যাকে উপেক্ষা করে চলে এলাম নতুনভাবে শুরু করতে।আসলে প্রত্যককেই তার কর্মফল ভোগ করতে হবে,এটাই বিশ্বাস করি।কারো কষ্টের উপর কষ্ট,আঘাত দিয়ে যারা ভালো থাকতে চায় তাদের নিশ্চয়ই বিধাতা ছাড় দেবেন না।যাইহোক সেসব কথা অন্যদিন না হয় বলবো।
তবে আজকে আবার চলে এলাম কিছু ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি নিয়ে। আসলে প্রতি সপ্তাহেই আপনাদের মাঝে বিভিন্নরকম পোস্ট শেয়ার করি। তার মাঝে রেনডম ফটোগ্রাফি একটি। আর এটা আজ শেয়ার করব,যেখানে থাকবে বিভিন্ন জায়গা আর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি।ফটোগ্রাফি করতে প্রায় সবারই ভালো লাগে।আর এক্ষেত্রে আমি নিজেও খুব পছন্দ করি বিভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি করতে।
এখানে যে ফটোগ্রাফিটা শেয়ার করলাম এটা হলো আমাদের ছাদের টবে লাগানো গাছে ডালিম। আরও আগে একটা ছবি শেয়ার করেছিলাম যেখানে পুরো গাছে ফুল ছিল। কিন্তু তারপর হঠাৎ করে পুরো গাছ একদম ঝলসে যায়। একদম পাতাশূন্য,ফুলশূন্য নিস্তেজ হয়ে গিয়েছিল।তারপর অনেকদিন যাবৎ দেখলাম গাছটা এমনই ছিল। কিন্তু হঠাৎ কিছুদিন পর গাছে আবারও পাতা দেখলাম।এভাবে কিছুদিনের মধ্যেই গাছটা সতেজ হয়ে উঠে। তারপর গত কয়েকদিন আগে ছাদে গিয়ে এই ডালিমটা দেখলাম।
এটা ছিল চায়ের গ্রামের একটা মনোরম দৃশ্যের ছবি। আসলে চায়ের গ্রামে এই পর্যন্ত ৩বার গেলাম।আর সেখানে এই ডেকোরেশনটা আমার বেশ ভালো লাগে। এটা মূলত একটা ফটোবুথ। যাইহোক এখানে অনেকগুলো ছাতা লাগানো আছে। আর দেখতে অনেকটাই সুন্দর লাগে। রঙিন হওয়ার কারণে এগুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয়। উপরের দিকে বাঁশের তৈরি করা চালনির মত কিছু ডেকোরেশন করে। আবার লাইটিং এর ব্যবস্থা আছে। ডেকোরেশন টা আসলেই মনমুগ্ধকর।
ডালিম গাছের ডালিম তো দেখালাম। তবে ফুলগুলো বেশ সুন্দর করে ফুটে আছে। প্রথমতই কিন্তু আমি এই ফুল গুলো দেখেছিলাম। ডালিম প্রথমদিন দেখিনি। পরবর্তীতে আরেকদিন যাওয়ার পরে ডালিম দেখেছিলাম। তা যাই হোক এই ফুল গুলো অনেক বেশি সুন্দর লাগে। আর বৃষ্টির পর পরই ছবিটা তোলা। এজন্যই বেশি দারুন লাগছিল। ভাবলাম এই ছবিটাও আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক।আসলে নিজেদের বাগানের কোন কিছু হলে তখন মনটাও খুশি লাগে।
এটা হল মুসাপুরের কাছাকাছি বাংলা ব্রিজের পাশে নদীর একটা ছবি মুসাপুর যাওয়ার পথে বাংলাবাজার ব্রিজের ওখানে গিয়েছিলাম প্রথমে। ব্রিজের নিচের দিকে এই জায়গাটায় গিয়েছিলাম। জায়গাটা আসলে অনেক সুন্দর। নদীর পাশে এই পাথরের ব্লক গুলো দেয়া। আর এক পাশ থেকে ব্রিজটা দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। নদী আর সবুজের দৃশ্যটা আসলেই চোখ ধাঁধানো ছিল। এই মুহূর্তটা বিকেলের, সেখানে থাকলে মন একদম ভালো হয়ে যায়। কারণ প্রচন্ড বাতাসে নদীর কলকল ধ্বনি শোনা যায়,যেটা আসলেই ভালো লাগে।এখানে আবার কতগুলো নৌকা আছে। মাঝিরা নৌকা নিয়ে বসে আছে, কেউ যদি নদীর দিকে ঘুরতে চায় তাহলে ঘুরতে পারবে।
ক
এটা হলো মনপুরায় পার্কে থাকা একটি স্লাইডার এর ছবি। আসলে আমরা যখন সেখানে গেলাম দেখলাম বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন রকম আয়োজন করা হয়েছে। একটা শিশু পার্ক করা হয়েছে মনপুরা কাবাব হাউজে। এখানে শিশুপার্ক করার কারণে এটা আরো বেশি পছন্দ হয়ে উঠেছে। আমরা যখন গেলাম তখন দেখলাম অনেকগুলো বাচ্চা এখানে স্লাইড করছিল। নিভৃত যেহেতু ছোট তাই তাকে আর সেখানে ওঠানো যায়নি। বড় হলে হয়তো সেখানে গিয়ে মাঝে মাঝে ঘুরে আসতে পারবে। কাছাকাছি এমন একটা পার্ক থাকায় খুব ভালোই হয়েছে।
এটা হল মনপুরায় তোলা আরেকটা ছবি। নাগরদোলা দেখতে যেমন সুন্দর লাগে তবে নাগরদোলাতে উঠলে এটা যখন চালু করা হয় তখন মনের ভেতরে ভয় কাজ করে। আমি ছোটবেলায় একবার নাগরদোলায় উঠেছিলাম। দুই রাউন্ড দেয়ার পরপরই আমি কান্না করে দিলাম। তারপর আমি আবার নেমে গেলাম। কারণ উপর থেকে নিচের দিকে যখন নামায় তখন মনে হয় যেন পড়ে যাচ্ছি। যাই হোক আমার খুব ভয় লাগে। যাদের অনেক বেশি সাহস আছে তারাই কিন্তু উঠতে পারে। দূর থেকে দেখতে সুন্দর লাগছিল তাই ছবি তুলে নিলাম।
এই ফটোগ্রাফি টা আমাদের বাজারের নার্সারিতে করা। একবার যখন গিয়েছিলাম তখন অনেক রকমের গোলাপ ফুল গাছ দেখেছিলাম। আর এই হলুদ রঙের গোলাপ ফুলটা দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে গোলাপ ফুল সবারই পছন্দের। তবে রংবেরঙের গোলাপ ফুলগুলো যদি বাগানে থাকে তাহলে বাগানের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি সুগন্ধে ভরে উঠে। আর আমার কাছে সব সময় সাদা, হলুদ, কমলা এবং লাল রঙের গোলাপ বেশি ভালো লাগে।
এই ছিল সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রেনডম ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আপনার আজকের ব্লগে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে তো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক বেশি মনোমুগ্ধকর ছিল। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি যতই দেখছিলাম ততই খুব মুগ্ধ হচ্ছিলাম। চায়ের গ্রামের মনোরম দৃশ্যের ফটোগ্রাফিটা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। হলুদ কালারের গোলাপ ফুলটা যতই দেখছিলাম যতই ভালো লাগছিল অনেক বেশি। গোলাপ ফুল এমনিতেই অনেক পছন্দ করি। আর এটা দেখে আরো ভালো লেগেছে। সবকিছুর সৌন্দর্যকে এত সুন্দর করে তুলে ধরেছেন সবার কাছেই এটা ভালো লাগবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আসলে ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে। সুযোগ পেলেই করে ফেলি আর আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফটোগ্রাফি করতে আমার নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি ভালো লাগা থেকে আজ কোন কিছুর ফটোগ্রাফি করা বাকী রাখেন নাই। ফুল, ফল আর প্রকৃতি সব মিলিয়ে দারুন একটি ফটোগ্রাফি আমাদের কে উপহার দিয়েছেন। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
রেনডম ফটোগ্রাফিতে বিভিন্ন ধরনের ছবি যদি না দেয়া হয় তাহলে তেমন ভালই লাগে না আপু। এত সুন্দর প্রশংসনীয় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর সুন্দর সব ফটোগ্রাফি করে আমাদেরর সাথে ভাগ করে নিয়েছেন আপু।ফল ফুল নদী, ব্রিজ,নাগরদোলা, ইত্যাদি সব গুলোর ফটোগ্রাফি ভীষণ চমৎকার লাগছে সাথে বর্ননা।ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো ভাগ করে নেয়ার জন্য।
খুব ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর একটা প্রশংসনীয় মন্তব্য দেখে, ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন।
রেন্ডিম ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে বিভিন্ন ফটোগ্রাফি দেখতে পাওয়া যায়।খুব সুন্দর হয়েছে আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া ঠিক বলছেন রেনডম ফটোগ্রাফিতে বিভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি দেখতে পাওয়া যায়। যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।
একদম ঠিক বলেছেন আপু মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট যাই থাকুক না কেন সব কিছুকে দূরে রেখেই কিন্তু সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয় । কারণ সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না । আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন । প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি কিন্তু ভালো লাগছে দেখতে । ব্রিজের পাশে নদীর ছবি দুটো অসম্ভব সুন্দর লাগছে । এরকম জায়গায় বসে থাকতেও ভালো লাগে । আর গোলাপ ফুলের কথা নাই বা বললাম গোলাপ ফুল এমনিতেই সুন্দর হলুদ গোলাপ আরো বেশি ভালো লাগছে ।
যদি বাড়ির কাছাকাছি এই ব্রিজটা থাকতো তাহলে মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে বিকেলের সময়টা পার করে আসতাম। কিন্তু অনেক দূরে,সেজন্য সব সময় যাওয়া হবে না। ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
জীবনে দুঃখ-কষ্ট আছে জন্যই সুখকে এত ভালো লাগে। যাইহোক আপু আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে। চায়ের গ্রামের মনোরম দৃশ্যটি খুব সুন্দর হয়েছে। জায়গাটি বেশ সুন্দর বুঝা যাচ্ছে। তাছাড়া নদীর পাশের ব্রীজটি খুব চমৎকার লেগেছে আমার কাছে। দেখেই যেতে ইচ্ছা করছে এত সুন্দর দেখা যাচ্ছে।
চায়ের গ্রাম খুবই সুন্দর আপু, সেখানে গিয়ে পরিবেশটা যেমন ভালো লাগে তেমনি খাবারগুলো খুব ভালো হয়।
প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে আপু। হলুদ গোলাপের ফটোগ্রাফি টা দেখে মুগ্ধ হলাম। ব্রিজের নিচ থেকে করা ফটোগ্রাফি টা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। পাথর গুলো খুবই সুন্দর লাগছে দূর থেকে। চায়ের গ্রাম রেস্টুরেন্ট থেকে করা ফটোগ্রাফি টা দেখেও ভালো লাগলো। জায়গাটা মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুন্দর। ধন্যবাদ আপু।
জ্বী আপু সবগুলো জায়গাই খুব সুন্দর। ব্রিজের নিচের জায়গাটা বেশি ভালো লাগছিল। আর চায়ের গ্রামের আরো কিছু মুহূর্ত নিয়ে একদিন আরেকটা ব্লগ লিখবো।
https://x.com/bristy110/status/1811773544038375633
মানুষের জীবনটা এমন যাদের মধ্যে দুঃখ কষ্ট বেদনা নেই আমার তো মনে হয় তারা মানুষই নয়। যাহোক আপন আজকে খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলা ভীষণ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
দুঃখ কষ্ট নিয়েই হল জীবন।আর জীবনকে এভাবেই মেনে নিতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য দেখে ভালো লাগলো।