যেইসব মানুষরা তাদের চিন্তাভাবনা বদল করে না, তারা কোনো কিছুই বদলাতে পারে না।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
মানুষ শারীরিক ভাবে রক্ত মাংসে গড়া হলেও বিবেক বুদ্ধির দিক থেকে অনেকটা ভিন্ন রকম। তাই তাদের চিন্তাধারাও একে অপরের থেকে ভিন্ন। তবে বিবেকের কাঠগড়ায় দাড়ালে ন্যায় আর অন্যায়ের পার্থক্য সবাই করতে পারে, কিন্তু বিবেকহীনরা তা করতে পারে না। চিন্তাভাবনা যদি ঠিক না থাকে তখন ভালো কথাও তাদের কাছে বিষের মত লাগে।কিছু উদাহরণ দিয়েই না হয় বলি বিষয়টা।
কেউ যদি মনে করে সঠিকভাবে কোনো কাজ সম্পাদন করবে, তখন সেটা আপ্রাণ চেষ্টা দিয়ে করে। আর সে চাইবে তার করা কাজটা দেখে কেউ যেন কথা বলতে না পারে। কিন্তু বিপত্তিটা হলো অন্য জায়গায়,সে যদি কাজটা সঠিকভাবে না করে তখন সে অন্য লোকের দেয়া নির্দেশনাকেও ভুল ভাবে। সে মনে করে কাজটা ভুল হলেও সে সঠিক, অন্য কেউ কেন বলবে। তখন সেটা তার কাছে খারাপ লাগে। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়েই সে অন্যকে জার্জ করে। যেটা আসলে বোকামি ছাড়া কিছুই নয়।
আরও একটা বিষয়ে একটু বলি, চিন্তাভাবনা যদি বিশাল না হয় সেখানে কেউ কারো ভালো করতে পারে না।চিন্তাভাবনায় যদি নেগেটিভ কিছু থাকে তাহলে যে কোনো কর্মকান্ডই তার কাছে নেগেটিভ মনে হবে। এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি যেটা অন্য মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশা করবে সেটার জন্য সে বীজ রোপণ করতে হবে। অন্যকে ঘা দিয়ে তার উপরে আবার লবণ ছেটালে সেটার ফলও ভালো হয় না।
নিজে নেগেটিভ মনমানসিকতা নিয়ে চলবে, আবার অন্যকেও নেগেটিভ করে দিয়ে আসলে ভালো কিছুই হয় না। কোনো কিছু কারো উপরে অভিযোগ করতে হলে যথেষ্ঠ ভাবনা নিয়ে করতে হয়,কারণ চোখের দেখাও অনেক সময় ভুল হয়। একটা মানুষের ভুল থাকতেই পারে।সেটা সে অন্যের কথায় শুধরে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু একদল লোক যারা কিনা শুধরে নেয়ার বদলে উলটো অন্যকে দোষারোপ করে এবং আরও ভুল করার মানসিকতা রাখে তাদের আসলে মানসিক ভাবে সুস্থ বলতেও লজ্জা লাগে।
একটা সংসার,একটা সমাজ, একটা রাষ্ট্র সুন্দরভাবে চালাতে হলে সমঝোতা, সহানুভূতি থাকা প্রয়োজন। কারো কাছ থেকে কিছু আশা করার আগে নিজে সেই পথ তৈরি করে রাখা প্রয়োজন।হয়তো অনেকে সেটা করলেও আশানুরূপ কিছু পায়না, কারণ যার জন্য বা যাদের জন্য করেছে তাদের চিন্তাভাবনাটাই ছিল ভুল, নেগেটিভ।আর নেগেটিভ মানুষ আশেপাশের পুরো পরিবেশটাই নষ্ট করে ফেলে।
যাইহোক কোনো ব্যক্তির চিন্তাধারা কেমন সে সেটা তার কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করে। সে যদি ভালো চিন্তাধারা মনে রাখে তাহলে সে ভুল শুধরানোর চেষ্টা করে।আর যদি খারাপ চিন্তাধারার মানুষ হয় তাহলে আর কি বলার,নিশ্চয়ই সে পুরো পরিবেশটাই ধ্বংস করে ফেলে।সে নিজেকেও বদলাতে পারে না আর অন্য কোনোকিছুকেও বদলাতে পারে না।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ঠিক বলেছেন, ভুল করলে কেউ যদি ভুল ধরিয়ে দেয় তাহলে সেটা কিন্তু ভুল নয়। কিন্তু নিজের কাজ সব সময় সঠিক বলে ধরে নেওয়াটা ঠিক নয়। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা কাজের পজিটিভ মাইন্ড থাকতে হবে। নেগেটিভ মাইন্ডে থাকলে তখন ভালো কিছু খারাপ মনে হয়। আপনারা লেখাটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। অনেকেই এই বিষয়গুলোতে সতর্ক হতে পারবে।
নেগেটিভ মানসিকতা অবশ্যই কখনো মঙ্গলকর নয়। অন্যের ভালো করতে চাইলে মনের ভেতর কখনোই নেগেটিভ মানসিকতা থাকা উচিত না। তবে আমি মনে করি, কেউ যদি আমাদের ভুল ধরিয়ে দেয় বা আমরা যে ভুল করছি এটা আমরা বুঝতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমাদের সেটা সংশোধন করা উচিত। তাহলেই একমাত্র সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে, এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
চিন্তাভাবনা যদি সঠিক থাকে তাহলে কোন কিছুতেই সমস্যা হয় না। যদি কোন কিছুকে নেগেটিভ নেই তাহলে সমস্যা। আসলে প্রত্যেক মানুষ যদি একই মোমেন্টে পড়ে থাকে তাহলে কোন পরিবর্তন আসবে না। তাই ভুল ত্রুটি গুলো সংশোধন করে কাজ করাটাই উত্তম। সুন্দর একটি টপিক নিয়ে পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।