কোন অন্ধকার যুগে আছে বাংলাদেশ?কোথায় আছি আমরা?
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷ সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।যদিও পোস্টটা লিখেছিলাম আরও কয়েকদিন আগে,কিন্তু নেট সমস্যার কারণে করা হয়নি।
এই গরমে কারেন্ট নেই সাথে নেট কানেকশনও নেই।এ যেন এক অন্ধকার যুগ।কোনো আপডেট জানা যাচ্ছে না,সরাসরি সবাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বাংলাদেশে এসব কি হচ্ছে? আমরা কোন দেশে আছি?এটাই কি তাহলে স্বাধীন দেশের নমুনা নাকি স্বাধীনতা অর্জনের পিছনেও স্বার্থ আগে থেকে ছিল।রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালিত হয়েছে, তবে এই স্বাধীনতা কি শুধু দেশের উচ্চ পর্যায়ের মানুষদের জন্যই ছিল?যারা টাকা দিয়ে বড় বড় পজিশন পেয়েছে তাদেরই কি স্বাধীনতা আছে? আমাদের মত সাধারণ জনগণের কি স্বাধীনতা নেই?
আজ অনেকগুলো টপিক নিয়ে লিখবো,আর সেটা আমার এই সোনার বাংলাদেশকে নিয়েই। কি হচ্ছে এখানে?কে খোঁজ রাখছে?জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হতো একসময়,কিন্তু এখন নির্বাচনে কোনো মানুষের প্রয়োজন হয় না।ব্যালটপেপারে এখন আর সাধারণ জনগণের ভোট পরে না,আবার মৃত মানুষেরও ভোট পড়ে, হাহাহা।হায়রে বাংলাদেশ,যাইহোক আমি এই বিতর্কে যেতে চাই না। শুধুমাত্র পরিস্থিতির কথাটা বললাম।যেটা সবাই জানে বুঝে,স্বচক্ষে দেখছে।
সারাদেশে বিদ্যুতের ঘাটতি, এক জায়গায় দিলে অন্য জায়গায় বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে না। আর যে দিনগুলোতে রোদের তীব্রতা বেশি সেদিনগুলোতেই বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয়। গ্রামাঞ্চলে তো এখন আরও বেশি সমস্যা করে। এইতো গত কয়েকদিন যাবৎ যে পরিমাণ তাপমাত্রা বাড়ছে আর রোদ পড়ছে।একটা মানুষ বাইরে যদি ৫মিনিট তীব্র রোদে একটানা থাকে সে নির্ঘাত বেহুশ হয়ে যাবে।আর এই তাপমাত্রায় বাইরে বেরোনো দায় হয়ে পড়েছে।
শুধু কি তাই?এখানে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বঞ্চিত করে অযোগ্যরা স্থান করে নিচ্ছে সরকারী বিভিন্ন পদে।সরকারী চাকরি এখন জণসাধারণের জন্য এক দূর্লভ বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্নীতিতে ভরপুর হয়ে গিয়েছে সবখানে। আজ পথে পথে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন চলছে। কিন্তু তাদের ঠেকাতে একদল চলে আসছে লাঠি নিয়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো নিরাপত্তাই নেই। ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এখন কালোরাত শুরু হয়েছে। বিনা কারণে ঝরে যাচ্ছে মেধাবী শিক্ষার্থীরা।
এইতো গত দিন সকালে দেখলাম ফেনীতেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে।তারা তাদের নায্য অধিকার দাবিতে রাজপথে নেমেছে। কিন্তু তারাই আহত হচ্ছে নিহত হচ্ছে।আবার দেখলাম তাদের বিপরীতে আরও একদল আন্দোলনে নেমেছে। যাতে কোটা সংষ্কার না করা হয়। আসলে দেশের প্রতিটি পদে প্রতিটি কোণায় কোণায় দুর্নীতি এমনভাবে ছড়িয়েছে যে এটার সংষ্কার আদৌ করা যাবে কিনা সন্দেহ।
কার ক্ষতি হচ্ছে এখানে?সাধারণ জনগণ কেন ভুগছে প্রতিনিয়ত। বিদ্যুতের ঘাটতি সবসময়,শুধু কি তাই? সবদিকে আবার গ্যাসেরও সমস্যা,এক দিন বা দুই দিনের নয়। কয়েকদিন গ্যাস ছাড়াই চলে যায় সবার।কিন্তু সবকিছুর সুবিধা ভোগ করে চলেছে তারাই যারা অন্যায় অত্যাচার করে যাচ্ছে। যারা প্রতিনিয়ত টাকা দিয়ে সব কিছু কিনছে তারাই এখন যোগ্য তারাই এখন প্রাপ্য।কিন্তু খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের মূল্য নেই।
আজ উত্তপ্ত বাংলাদেশ, উত্তপ্ত রাষ্ট্র। কেন বলছি এই কথা?এই যে ভাবুন না দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি কিভাবে হচ্ছে, আজ প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ ঘাটতি,শুধু গ্রামে নয় শহরের জনজীবনও বিষন্ন আজ এই উত্তাপে।চলছে আন্দোলন,কোনো নির্বাচন নয় কিন্তু এটা হলো ন্যায্য অধিকারের আন্দোলন। তাই বলছি বাংলাদেশ আজ উত্তপ্ত, সবদিক দিয়েই বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে। কি হবে?কে নেভাবে এই আগুন?কে করবে সব শিথিল। জানিনা এর শেষ কোথায়।
আজ কেন যেন মনে হলো নতুন প্রজন্ম এদেশের মাটিতে টিকতে পারবে না। কারণ এখানে যোগ্যতা আর মেধার কদর নেই। এখানে সব কেনা যায়, মান সম্মান,পদ,প্রশ্ন সবই কেনা যায় । তাহলে সাধারণ মানুষের কি হবে?যাইহোক আজ আর কথা বাড়ালাম না।মনের মাঝে অনেক ক্ষোভ আছে এই সব বিষয়ে। যেটা এখন আমাদের সবারই। সবকিছু ঠিক হোক,সবাই ন্যায্য অধিকার পাক এটাই প্রত্যাশা করি।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার লেখাগুলো পড়ে আসলেই বলার কিছু নেই। আপনি যা লিখছেন সবগুলো হচ্ছে বাস্তব সম্মত লেখা। আমরা সব সময় এই পরিবেশের সাথেই সম্মুখীন হয়ে আসতেছি। আমরা সব সময় যুদ্ধ করে আসতেছি। সেটা জিনিসের দামের ক্ষেত্রে বলেন বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বলেন সব কিছু্র ক্ষেত্রে আমরা অস্বস্তিকার পরিবেশে জীবন যাপন করতেছি। সবচেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে এই যে কয় দিনে।
জি আপু,কি হচ্ছে কেন হচ্ছে।যেখানে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা যেত সেখানে এত প্রাণ গেল।ভাবতেই কষ্ট লাগে।