লাইফস্টাইল|| প্রথম বারের মত হঠাৎ করে দাঁতের ডাক্তারের শরণাপন্ন হলাম।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
প্রতিদিনকার মত চলে এলাম ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে সুস্থতা হলো সবচেয়ে বড় নেয়ামত। আর আমরা অসুস্থ হলেই তখন বুঝি সুস্থ থাকাটা কতটা ভাগ্যের বিষয়।প্রতিনিয়ত তো কোনো না কোনো কারণে আমরা অসুস্থ হচ্ছি। আর এই নিয়েই যত যন্ত্রণা। এই কয়েকমাস যাবৎ ঔষধ খেতে খেতে মুখটা একদম বিষিয়ে গেল।
গত ১৭ তারিখ সকালে লক্ষ্য করলাম আমার দাঁতের পাশের মাড়ি ব্যথা করছে।ভাবলাম আগের দিন রাতে হয়তো চাপ লেগেছে ঘুমানোর সময় তাই এমন হচ্ছে। যাইহোক,পরবর্তীতে সময় যত গড়াতে লাগলো ততই খেয়াল করলাম ব্যথা বাড়ছে।মূলত আক্কেল দাঁত বলি যেটাকে সেটাই সমস্যা সৃষ্টি করছিল। দাঁত উঠেছিল অনেক আগে কিন্তু সেটা এখন বড় হতে হতে বাইরের দিকে বেরিয়ে পেছনের মাড়ি এবং মুখের ভিতরে ক্ষত করে ফেলেছে।
ভেতরে দাঁতের কোণা লেগে ব্যথাও বেড়ে গেছে।এভাবে একদিন পার হলো, সেদিন শুধু মাড়িতে আর মুখের ভেতরে ব্যথা ছিল। পরদিন সকালে দেখলাম গলা ব্যথা করছে।বেলা একটু গড়াতেই কানেও শুরু হলো। ডান পাশ পুরাই ব্যথা করতেছিলো,কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিলো আর কিছু খেতে গেলে মুখ খুলতেই ব্যথা হয়, চিবিয়েও খেতে পারছিলাম না। আল্লাহর রহমতে আমার দাঁতের কোনো সমস্যা ছিল না আগে থেকে, এখনো নেই।কিন্তু ঐ যে মাড়িতে আর মাংসে ক্ষত করে ফেলেছে আর তীব্র ব্যথা অনুভূত হচ্ছিলো।
এই যন্ত্রণা আর সহ্য হচ্ছিলো না।তাই আমার হাজব্যন্ড জিজ্ঞেস করলো ডাক্তার দেখাবো কি না, তখন ভাবলাম কিছুক্ষণ। যদি এখন না যাই আরও বেড়ে যায় তাহলে ক্ষতি বেশি হবে। আর অল্পতে ট্রিটমেন্ট করালে ক্ষতি হবে না বেশি। তারপর বললাম যে যাব।আর তৎক্ষণাৎ কিছু কাজ সেরে রওনা দিলাম বাজারের উদ্দেশ্যে।আমার হাজব্যন্ড যেখানে আগে ট্রিটমেন্ট করেছিল সেখানেই গেলাম।
যাওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ বাইরে বসে ছিলাম।নেটকানেকশন তো নেই ই সাথে গরম লাগছিল।ভাগ্যিস কারেন্ট ছিল বাইরে বসে থাকা পর্যন্ত। প্রায় ৩০মিনিট পর আমরা ভেতরে গেলাম।তখনও একজন বৃদ্ধ লোকের দাঁতে রুট ক্যানেল করা হচ্ছিলো। যাইহোক আমার দাঁত আর মুখের অবস্থা ডাক্তার দেখলো। তখন কিছুক্ষণ ভাবলো,আমি ভাবলাম কোনো বড় সমস্যা হলো কি না। পরে জিজ্ঞেস করায় উনি বললেন আপনারা একটু বসেন আমি উনার কাজ সেরে নেই। তারপর আমরা ভেতরেও বেশ কিছুক্ষণ বসে ছিলাম, ঐ বৃদ্ধ মানুষের দাঁতের রুট ক্যানেল করা দেখছিলাম।
যাইহোক উনার কাজ শেষ করে আমাকে বললো ঐ বেডে যেতে। কিন্তু আমি তো ভয়ে শেষ,কারণ আমি ইঞ্জেকশন দিতেও ভয় পাই। যাইহোক কিছু তো করার নেই মনোবল রেখে সেখানে গেলাম। নিভৃত ততক্ষণে ঘুমিয়ে গিয়েছে তার বাবার কোলে।আর এদিকে ডাক্তার প্রথমে কিছু হাতিয়ার নিয়ে নিলো।যা দেখে আমার হার্টবিট বেড়ে গেছে, যেন খুন করতে আসছে হাহাহা।অবশেষে তিনি কি যেন একটা মেশিনের সাহায্যে আমার দাঁতের যে কোণার অংশ বাইরের দিকে আঘাত করছিলো সেটাকে স্মুথ করে দিয়েছিল যাতে ক্ষত আর না হয়।একবার করার পর জিজ্ঞেস করলো কেমন লাগছে,তখন বুঝতে পারতেছিলাম না কি হচ্ছে।পরে আবার একই কাজ করলো।যাক শেষ করলো, প্রাণ বাঁচলো আমার।
এরপর তো উনি কিছু ওষুধ লিখে দিলেন। একটা লিকুইড সল্যুশনও দিয়েছিলেন।তারপর আমরা ফার্মেসিতে গিয়ে ওষুধ নিলাম।লিকুইডটা নেয়ার সময় দোকানদার বলছিলো যে এটা একটু জ্বালা করবে, তখন তো আরো ভয় লাগছিলো।যাইহোক ওষুধ নিয়ে তারপর আবার ফিরে এলাম।কিন্তু ব্যথা কমছিলো না। এখনও ব্যথা করে, ওষুধ চলছে। দেখা যাক,যদি ভালো না হয় আবার ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | লাইফস্টাইল |
ক্যামেরা.মডেল | এম১২ |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনি তো তাহলে অনেক ভালো আছেন। আসলে আপু আমার কয়েকটি দাঁত রুট ক্যানেল করা। একটার কাজ এখনো চলছে। যাইহোক আপনি অল্পতেই বেঁচে গেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি আপু অল্পতে ডাক্তারের কাছে গেলে আসলে অনেক ভালো হয়।ধন্যবাদ আপু।
আলহামদুলিল্লাহ দাঁত নিয়ে কখনো সমস্যা হয় নি।কিন্তু এবার প্রথম গিয়েছিলাম।আবার আপনার ভাইয়ের দাঁত নিয়ে বারাবার ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছে।
দাঁতের ব্যথা মারাত্বক। এটা সহ্য করার মত না। আক্কেল দাঁত উঠলে একটু ব্যথা করেই। তবে আমার এখনো আক্কেল দাঁত উঠেছে কি না জানি না। কারণ এখনও এই ব্যথা সহ্য করতে হয়নি। যায়হোক ডাক্তার যন্ত্রপাতি নিয়ে মানুষ খুন করে না, যেটা মানুষকে কষ্ট দেয়ে সেটা খুন করে,হা হা হা। আশা করি ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে। প্রেস্কিপশনের একটি ছবি দেখতে পারলে ভালে হতো। ধন্যবাদ।
হাহাহাহা,আমি বরাবরই এসব যন্ত্রপাতি ভয় পাই। আলহামদুলিল্লাহ এখন আগের থেকে অনেকটা সেরে গেছে।