আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে ভিন্ন একটি বিষয় নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।

আজ আপনাদের মাঝে স্পেশাল একটা দিনের মুহূর্ত শেয়ার করব। আসলে এই দিনটা আমার জন্য অনেক বেশি স্পেশাল ছিল। স্বাভাবিকভাবে নিজের জন্মদিন হয়তো বা নিজের কাছে অনেক বেশি স্পেশাল হয়ে থাকে। তাছাড়া সে দিন সন্ধ্যাবেলায় আমরা একটু বাইরে বেরিয়ে ছিলাম। আমাদের বাসার ছাদ থেকেই একটা রেস্টুরেন্ট দেখা যায়, যেটি খুব সুন্দর দেখতে। যেদিন থেকে বাসায় এসেছি রাতের বেলা যখন ছাদে যেতাম তখন রেস্টুরেন্টটা দেখতে খুব বেশী সুন্দর লাগতো। ভাবতাম অনেক বেশি দূরে কিন্তু সেদিন যাওয়ার পর একদম কাছেই মনে হয়েছে।

যাই হোক আমার জন্মদিনের এই আনন্দের মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিতে পারলে খুব ভালো লাগবে সে জন্যই এতদিন পর ভাবলাম এই মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আসলে ব্যস্ততার কারণে খুব বেশি সময় কমিউনিটিতে দিতে পারিনা। তবুও চেষ্টা করি নিজের আবেগ অনুভূতিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিতে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে যখন গ্যালারিতে ঢুকলাম তখন দেখলাম এই ছবিগুলো রয়ে গেছে। ভাবলাম এই ছবিগুলো তো শেয়ার করা হয়নি আর আপনাদের মাঝে অনুভূতিগুলোও শেয়ার করা হয়নি।

যাইহোক বিকেলবেলা হঠাৎ করেই প্ল্যানিং করা হলো সেখানে যাওয়ার জন্য। আসলে আমি আমার নিজের জন্মদিন গুলোতে স্পেশাল ভাবে কোন কিছু করি না। হয়তোবা নিজের কাছে নিজের জন্মদিনটা যত বেশি না আনন্দের তার চেয়ে বেশি আনন্দের হয় যখন নিজের কাছের লোকগুলো সেই দিনটাকে স্মরণ করে উইশ করে। যাই হোক আমার প্রিয়জনের কাছ থেকে আমি জন্মদিনের শুভেচ্ছা পেয়েছিলাম ২৫ তারিখ শুরুর প্রথমেই। মানে ২৪ তারিখ রাত বারোটার সময় আমার হাজবেন্ড আমাকে একটা ভিডিও সেন্ড করে উইশ করেছিল যদিও সেই ছবিতে আমাদের তিনজনের মুহূর্তগুলোই ধারণ করা ছিল। খুব ভালো লেগেছিল সেই ভিডিওটি। অনেক ধন্যবাদ জানাই আমার জন্মদিনটা এরকম ভাবে সেলিব্রেট করার জন্য @nevlu123।

যাইহোক বিকেল বেলা আমি, আমার ছোট বোন, আমার হাজব্যান্ড এবং বাবুসহ বেরিয়ে গেলাম।এই প্রথম আমরা কাপল ড্রেস পরেছি যদিও পূর্বে এই কাপল ড্রেস পরার সুযোগ হয়নি। ভেবেছিলাম একটা নির্দিষ্ট দিনে পরবো, কিন্তু সেই দিন আমার মন একদমই ভালো ছিল না সেজন্য আর এই ড্রেসাপ করে বাইরে যাওয়া হয়নি। যাই হোক সেদিন সন্ধ্যা বেলায় আমি আমার কাজকর্ম সব কিছু সেরে নিলাম এবং হাজব্যন্ড বললো রেডি হতে আজ বাইরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করবে। যেহেতু রেস্টুরেন্ট আমাদের বাসার কাছেই সেই হিসেবে ৪-৫ মিনিটের মধ্যেই হেটে চলে গেলাম।

যাই হোক বাবু খুব বেশি খুশি ছিল। যতক্ষণ ওকে কোলে নিয়ে হাঁটছিল ততক্ষন বেশ আনন্দে ছিল। তারপর সেখানে দোতলার উপরে উঠলাম। জায়গাটা খুব সুন্দর ছিল এবং খুব ভালো লাগলো। নাম ছিল উৎসব, রেস্টুরেন্টটা এত দারুন যা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ আপনাদের মাঝে যে ছবিগুলো শেয়ার করলাম এগুলো দেখেই বুঝতে পারবেন। আসলে এই জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর। এই রেস্টুরেন্টটা দোতলায় অবস্থিত কিন্তু তার মাঝে আবার রেস্টুরেন্টটাকে ডেকোরেশন করা হয়েছে উপরে আরো এক তলা তৈরি করা হয়েছে। আমরা উপরে গিয়ে বসলাম। এত বাতাস বইছিল যে সেখানে যেন ঘুম চলে আসবে, এত ভালো লাগছিল। বাবু পাশের প্লাস্টিকের পাতাগুলো নিয়ে খেলা করছে। একটা প্লাস্টিক ছিড়ে ফেলেছিল।

যাই হোক যদিও বাচ্চা দের বিষয়টা এরকমই। বাচ্চারা দুষ্টুমি করবেই। ও একবার আমার কাছে একবার ওর বাবার কাছে একবার তার মামমাম এর কাছে চলে যায়। এভাবেই সে একজন থেকে আরেকজনের কাছে যায়। তারপর আমরা মেনু দেখে খাবার অর্ডার করেছিলাম। একদম সিম্পল কিছু খাওয়া-দাওয়া হলো। সেখানে বিভিন্ন রকম আইটেম ছিল। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে যেহেতু ডিনার করবো সেই হিসেবে ভারী খাবারটা নিলে ভালো হবে। সেজন্য আমি ফ্রাইড রাইস, বারবিকিউ চিকেন, চাইনিজ ভেজিটেবল এন্ড ড্রিংকস নিয়েছিলাম। তিনজনের জন্য তিনটা প্লেটার অর্ডার করা হয়েছে।

খাবার সার্ভ করতে কিছুক্ষণ সময় লেগেছিল। কারণ তারা যেহেতু এগুলো সব কিছু রেডি করে ডেকোরেশন করে দেয় সে হিসেবে একটু সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে আমরা সবাই খুব এনজয় করলাম। চারিদিকে অনেক মানুষ ছিল। আসলে এরকম একটা জায়গায় আসতে পারলে খুব ভালই লাগে এরপর আমাদের খাওয়া দাওয়ার পর্ব শুরু হল। বাবুকেও চাইনিজ সবজি থেকে কিছু খাওয়ালাম, ফ্রাইড রাইস খাওয়ালাম। যদিও বাইরের খাবার এ আমি একদম নিষেধ রাখি তার জন্য। তবে তার মায়ের বার্থডে হিসেবে একটু ছাড় ছিল।যদিও সে ২চামচের বেশি কিছুই খায় নি।
যাইহোক, মুহূর্তগুলো খুব দারুণ কেটেছিল।এরপর আবার বাসায় চলে আসলাম।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ

ক্যামেরা	স্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণ	বার্থডেতে ঘুরতে যাওয়া।
ক্যামেরা.মডেল	জে৫ প্রাইম
ফটোগ্রাফার	@bristy1
লোকেশন	ফেনী

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

💦

💦 BRISTY 💦

💦