সময়ের প্রতিকূলে কাটানো ব্যস্ততা।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
ব্যস্ততা এমন একটা জিনিস যেখানে আমি এখন যেন সময়ের সাথে পেরে উঠছি না। কারণ এক দিক সামলাতে গিয়ে আরেক দিকে কাজ হচ্ছে না। এভাবেই চলছে জীবনের একটা নতুন অধ্যায়। আসলে এই সময়ের শেষ কখন হবে তা আমার জানা নেই। তবে ইনশাআল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি হয়তোবা শেষ হবে। আপনাদের সাথে আমি আমার পূর্ববর্তী পোস্টগুলোতে শেয়ার করেছিলাম আইলটস পরীক্ষার জন্য এখন ক্লাস করতে হচ্ছে। একটা হচ্ছে সকালে আরেকটা সন্ধ্যায়, একবারেই দুই থেকে তিন ঘন্টার মতো বাইরে কাটাতে হয়। দুটো ক্লাস মিলে ৬-৭ ঘন্টা বাইরে কাটে আসা যাওয়া নিয়ে।তারপর বাসায় এসে আবার কাজকর্ম সব কিছু সামলে নিতে হয়। বাবু তো আছেই তাকে নিয়ে বেশ ঝামেলায় দিন কাটাতে হয়।
তার পাশাপাশি বাইরে পড়ি তাতেই তো আর হয় না আইলটসের জন্য সব সময় প্র্যাকটিস প্রয়োজন হয়। আর সবকিছু শেষ করার পর বাসায় অল্প একটু সময় পাই পড়ালেখা করার জন্য। তবুও চেষ্টা করি সময়টাকে কাজে লাগানোর। কিন্তু কমিউনিটিতে না আসলেও যেন ভালো লাগে না। এমনও দিন যাচ্ছে আমি কমিউনিটিতে শুধুমাত্র পোস্ট করে বেরিয়ে যাই। আজকে আপনাদের মাঝে সময়ের প্রতিকূলে আমি রয়েছি এই মুহূর্তটা শেয়ার করব।
গতকাল দাদার একটা পোস্ট দেখেছিলাম। যদিও সেটা একদিন আগের পোস্ট ছিল। আমি হঠাৎ দেখেই পোষ্টের মধ্যে ঢুকলাম। তারপর দেখলাম অনেকগুলো ফটোগ্রাফি রয়েছে এবং মেলায় ঘুরার মুহূর্ত দাদা শেয়ার করেছে। যাই হোক আমি সকালবেলা যখন পোস্ট দেখছিলাম তখন পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই দেখলাম সময় অনেক হয়ে গিয়েছে নাস্তা রেডি করতে হবে। কারণ নাস্তা রেডি করতে যদি দেরি হয়ে যায় তাহলে ক্লাসে যেতেও দেরি হবে।তাই তারাতারি গেলাম নাস্তা তৈরি করে, বাবুর জন্য সব রেডি করে রেখেছি।ওকে ঘুম পাড়িয়ে তারপর স্পোকেন ক্লাসে গেলাম।সেখান থেকে আসতে আসতেই দুপুর ১:৩০টা বাজলো।
এরপর ছেলেকে খাইয়ে আবার দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।রেস্ট নেয়ার জন্য গেলাম আর ভাবলাম ব্রাউজারে একটু ঘুরে আসি, তখনই বাবু উঠে সেই কান্নাকাটি আবার পোস্ট পড়া বাদ দিলাম।তারপর শেষমেষ রাতে সময় পেলাম পোস্ট পড়া শেষ করলাম।কিন্তু কমেন্ট করার সময় আবার ছেলেটা উঠে যায়, মানে একটু সময় যে শান্তিতে রেস্ট নেবো সেটাও হয় না। যাইহোক পরদিন সকাল মানে আজ সকালে আমি সেই পোস্টে কমেন্ট করা শেষ করলাম।এই হলো আমার বর্তমান অবস্থা।কাজগুলো হয়ে গেল এলোমেলো।আমার অগোছালো থাকাটা একদমই পছন্দ না।কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম অবস্থা,এখন আমি সেই গোছানোর সময়টুকুও পাই না।এইমাত্র সারাদিনের জামাকাপড় ধোয়া শেষ করলাম,রুমগুলোকে ক্লিন করলাম।আসলে কাজ ফেলে রাখলে বিশাল পাহাড় সমান লাগে আমার কাছে।তাই যখন যেটা পারি কষ্ট হলেও করে ফেলার চেষ্টা করি।
যাইহোক, বলতে গেলে এখন যেন আমি স্রোতের বিপরীতে নৌকা বাইছি।সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পেরে উঠছি না,এদিকে শরীরের বিশ্রামের জায়গাটা সময়ের সাথে অনেক কমে গেছে।তাই ক্লান্তিটা দিনশেষেও শেষ হয়না।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | লাইফস্টাইল |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের মাঝে নিজের ব্যস্ত সময়গুলো কিভাবে কাটাচ্ছেন সেটা শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আইএলটিএস করছেন মানে নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি আরো ভারী হয়ে গেল। ৭ ঘণ্টা বাহিরে কাটিয়ে আবার বাসায় এসে কাজ সামলানো খুব কঠিন কিন্তু আপনি সামলে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে ব্যস্ততার মাঝে কাটলেও আমার মনে হয় ভালো সময় কাটাচ্ছেন। আশা করছি আপনি খুব দ্রুতই আপনার লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন। ধন্যবাদ আপু।
আমাদের সবার জীবনে এভাবে ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কেটে যায়। হিসাব করলে দেখা যায় যে নিজের জন্য সময়ই বের করা হয় না। আপনি ক্লাসের জন্য হয়তো একটু বেশি ব্যস্ত। যেহেতু আপনি ক্লাসটাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন সেহেতু আপনাকে ওইদিকে বেশি ফোকাস করা উচিত। কমিউনিটির কাজ তো পরেও করা যাবে। চাইলে কিছুদিন ছুটি নিতে পারেন। চাপ তাহলে কিছুটা কমবে। সবদিক সামলে উঠে কাজ করা আসলেই কষ্টকর। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।