হঠাৎ করে কিছুটা সময় রেস্টুরেন্টে||লাইফস্টাইল।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
আজকে আমি আপনাদের সাথে ভিন্ন রকম একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। এটি যদিও অনেকদিন আগের একটি মুহূর্তের কথা। যেহেতু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি সেই হিসেবে এই ছবিগুলো রয়ে গিয়েছে। আর তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেই।
অনেকদিন আগে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমার ছেলের প্রথম দিন সেলুনে গিয়ে চুল কাটার মুহূর্তটি। আর সেই সময়ে চুল কাটার পর পরই আমরা একটা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। আর সেদিন বলেছিলাম এই পর্বটাও শেয়ার করব। কিন্তু বিভিন্ন রকম ব্যস্ততা এবং অন্যান্য পোস্ট করার কারণে সেই পোস্টটি শেয়ার করা হয়ে ওঠেনি।যাইহোক আজকে যখন আমি কিছু আর্টের ছবি দেখতে গিয়েছিলাম তখন দেখলাম যে ছবিগুলো রয়ে গিয়েছে। তাই ভাবলাম রেস্টুরেন্টে যাওয়ার মুহূর্ত এবং কিছু খাওয়া দাওয়া নিয়ে আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
![]() | ![]() |
|---|
সত্যি বলতে মাঝেমধ্যে যখন বাড়ি থেকে বের হই ঘুরতেই তো ভালো লাগে। কিন্তু সব সময় সেভাবে পারা হয়ে ওঠে না। কারণ হয়তো ব্যস্ততা বা অন্য কোন কারণে এই ঘোরাঘুরির ব্যাপারটা হয় না। তবে যাই হোক আমি সেদিন জানতামই না যে রেস্টুরেন্টে যাব।মূলত ছেলেকে চুল কাটানোর পর এক আপুর বাসায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে ভাবলাম আজ আর যাবনা।তো আমাদের বাড়ির দিকেই যাচ্ছিলাম।কিন্তু তখন হঠাৎ আমার হাজব্যন্ড বলছিলো কিছু খাবো কি না।তখন বললাম যে নিভৃত এর জন্য কি বসা যাবে।তখন সে বলল সমস্যা নেই হালকা পাতলা কিছু খেতে,কারণ আমার আর খুব সহজে বের হওয়া হবে না।তাই গেলাম সেখানে।বাজারের মধ্যেই একটা রেস্টুরেন্ট সেটা,যেটাতে প্রায়ই যাওয়া হতো।
![]() | ![]() |
|---|
![]() | ![]() |
|---|
যাই হোক ছেলের চুল কাটানোর পর সেখানে চলে গেলাম। তবে কিছুদিন হলো সেখানে ডিজাইনটা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আগে অবশ্য এই রেস্টুরেন্টটা ভিতরে অল্প একটু জায়গা জুড়ে ছিল। কিন্তু বর্তমানে সামনে এবং পেছনের পুরো অংশটা মিলেই বড় আকারে জায়গা করা হয়েছে যাতে অনেকজন মানুষ বসতে পারে। ভেতরে আগে স্বাভাবিকভাবে মানুষ বসার জায়গা ছিল কিন্তু বর্তমানে জায়গাটা বড় পরিসরে করার কারণে সুন্দর লাগে।আশেপাশের জায়গাগুলোতে খুব সুন্দর লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষত ইন্টেরিয়র ডিজাইন টা আমার বেশি ভালো লেগেছে।
![]() | ![]() |
|---|
নিভৃত তো সেখানে গিয়ে কান্নাকাটি করা শুরু করেছে তাই তার খাবার বের করে তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু তা সে খাবে না সে দুষ্টুমি করবে। সে টেবিলের উপর হাত দিয়ে বারবার বাড়ি দিচ্ছে মানে এমনিতেই সে দুষ্টুমি করছে। কখনো বসতে চায় কখনো দাঁড়াতে চায়। এরকম করে তাকে নিয়ে কাটাচ্ছিল। যাই হোক যেহেতু খেতে গিয়েছিলাম ভাবলাম হালকা পাতলা কিছু খাব। সে হিসেবে আমার জন্য একটা চকোলেট শেক আর বার্গার, আমার হাসবেন্ড শুধু লাচ্ছিই খেয়েছিল। কারণ সে বলছে অন্য কিছু খাবে না গ্যাস বেড়ে গেছে শুধুমাত্র লাচ্ছি খাবে।
![]() | ![]() |
|---|
কিন্তু খাবার অর্ডার করার পর আমি তো পুরাই অবাক হয়ে গেলাম। ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং রেস্টুরেন্টের পরিধি বাড়ালেও খাবারের মানটা অনেক কমে গিয়েছে। কারণ সেখানে বার্গার খেতে অনেকটাই মজা লাগতো এবং অনেক ফ্রেশ থাকতো। কিন্তু সেদিন যে বার্গারটা খেয়েছি তারপর থেকে আমার আর বার্গার খেতে ইচ্ছে করছে না।
![]() | ![]() |
|---|
উপরের বার্গারের যে বান রয়েছে সেটাও অনেক লো কোয়ালিটি হয়ে গিয়েছে। হয়তোবা দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতির কারণে এই অবস্থা। যাইহোক মোটামুটি খাওয়া শেষ করলাম। বাইরের দিকে গিয়েও কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এরপর বাসায় চলে গেলাম। এই ছিল আমার সেদিনকার কিছু মুহূর্ত যেটা আমি রেস্টুরেন্টে কাটিয়েছিলাম। যদিও আমার ছেলে কান্নাকাটি তেমন একটা করেনি কিন্তু দুষ্টুমি করেছিল। সেও সেখানে এনজয় করেছিল খুব কেননা পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
|---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
|---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
.png)

















https://twitter.com/bristy110/status/1642586446421954560?s=20
মাঝে মাঝে পরিবারের সাথে রেস্টুরেন্টে গেলে ভালই সময় কাটে। নিভৃত এর চুল কাটিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে কিছু কোয়ালিটি সময় পার করেছেন দেখে ভাল লাগল। রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র আমার কাছে ভাল লেগেছে। বার্গার এর রুটিটা আমার কাছে পোড়া লাগছে এবং সার্ভিং ও আরো ভাল হতে পারত। যাই হোক সব মিলিয়ে ভাল লেগেছে আপনার পোস্ট। ধন্যবাদ আপু।
প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন। ্
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সব সময় সাপোর্টের আওতায় রেখে সাপোর্ট করছেন দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
আপনি তো এক ধিলে দুই পাখি মারলেন। এদিকে সন্তানের চুল কাটাও হল আবার রেস্টুরেন্টেও খাওয়া-দাওয়া হল। ধন্যবাদ আপনাকে এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার সন্তানের সাথে সময় কাটানো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন দাদা ভালো থাকবেন।।
মাঝে মাঝে সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে গেলে অনেক ভালো লাগে। আপনি তো বাবুকে নিয়ে চুল কাটাতে গিয়ে বান্ধবীর বাসায় না গিয়ে দারুণ কিছু খাবার খেয়েছেন। আসলে বার্গার খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতির কারণে সব কিছু লো কোয়ালিটি হয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিক আপু দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতির কারণে সব কিছু লো কোয়ালিটি হয়ে গেছে।
সত্যি বলেছেন মাঝে মাঝে ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করলেও কিছু কারণের জন্য আর যাওয়া হয়ে ওঠে না। তবে আপনার ছেলের চুল কেটে আসার সময় খুব সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া দাওয়া করে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে একটু বাহিরে বের হলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। সব সময় কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকতে হয় এর মধ্যে যদি একটু ঘুরাঘুরি করা যায় তাহলে মন একটু হালকা হয়। রেস্টুরেন্টের ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি আপু মাঝে মাঝে একটু বাহিরে বের হলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। সব সময় কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকতে হয় এর মধ্যে যদি একটু ঘুরাঘুরি করা যায় তাহলে মন একটু হালকা হয়।
ছেলের চুল কাটাতে নিয়ে যাওয়ার সুবাদে ভাইয়া আপনাকে রেস্টুরেন্টে খাইয়েছে। আপনার বোনের বাসায় না গিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালোই হয়েছে মজার মজার রেসিপিগুলোর টেষ্ট নিতে পেরেছেন সেই সাথে বাংলা ব্লগে একটি পোস্ট হয়ে গেল 🤪
জি ভাইয়া একদম মনের কথা বলেছেন। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
আসলে ছোট বাচ্চা থাকলে প্ল্যান করে কোথাও বের হওয়া হয় না। এরকম কাজের ফাঁকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে হয়। আপনিও ভালো করেছেন ছেলের চুল কাটতে গিয়ে একটি রেস্টুরেন্ট থেকে ঘুরে এসেছেন। যদিও রেস্টুরেন্ট ডেকোরেশন ভালো করেছে এবং খাবারের মান নিম্ন করেছে জেনে খারাপ লাগলো। খাবারের মান ভালো না হলে রেস্টুরেন্টের চলবে। ফ্যামিলির সঙ্গে ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য। ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে সবসময় ভালো থাকবেন এই কামনা করি।
বাবুকে নিয়ে চুল কাটতে গেছেন বাইরে একটু ঘোরাফেরা করছেন এবং রেস্টুরেন্টে খেয়েছেন ভাল। মাঝেমধ্যে এভাবে বাইরে যেয়ে একটু খেয়ে আসা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কারণ সব সময় বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাসায় থাকতে থাকতে একঘেয়েমি চলে আসে। আপনি ঠিক বলছেন যদি ডেকোরেশন টা ঠিক হয় তাহলে কি হবে যদি খাবারের মানটা ঠিক না থাকে। বার্গারের ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে সেটা বার্গার না অন্য কিছু হি হি হি। খাবার ঠিক না হলে আপু পুরো মাথাটাই খারাপ হয়ে যায়।
ঠিক আপু সব সময় বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাসায় থাকতে থাকতে একঘেয়েমি চলে আসে।
যাইহোক লাস্ট পর্ব যে আপনি শেষ করতে পেরেছেন এটার জন্য ভালো লাগলো। আর মানুষ কখন কোথায় কিভাবে উপস্থিত হয়ে যায় সেটা আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখা সম্ভব নয়। বাবুর চুল ছাটার জন্য যেহেতু আপনি সেলুনে গিয়েছিলেন সেখান থেকে রেস্টুরেন্ট। মানুষের জীবনে এরকম কখন কোথায় অবস্থান করবে সেটা নিজেও জানে না।
একদম ঠিক ভাইয়া মানুষের জীবনে এরকম কখন কোথায় অবস্থান করবে সেটা নিজেও জানে না।