কিছু কটু সত্য কথা।

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।

সব মানুষকে শুরুতেই আসকারা দেয়া ঠিক নয়।নইলে ভালোবাসা আর আন্তরিকতা পেতে পেতে মাথায় উঠে নাচা শুরু করে,হাহাহা। হাস্যকর হলেও বিষয়টা বাস্তব সত্য। কারণ এইরকম পরিস্থিতির স্বীকার আমি।একবার নয় বহুবার,তবুও কেন জানি মনটা চায় সব ঠিক হোক।সর্বোপরি শুরু থেকেই সেটা চাইতাম তাই হয়তো বারবার ধাক্কা খাওয়ার পরও মানুষের এরকম ব্যবহারের মুখোমুখি জবাব দিতে পারি না।

png_20231001_085220_0000.png

পারিবারিক শিক্ষা মানুষকে অনেক সময় ভালো পথে ধাবিত করে আবার অনেক সময় খারাপ পথেও ধাবিত করে।তবে প্রাথমিক শিক্ষাটা মানুষ পরিবার থেকেই পায়।কেউ সেই শিক্ষাটা গ্রহণ করে নিজেকে ভালো মানুষে রূপান্তরিত করার চেষ্টায় থাকে।কেউ আবার খারাপ শিক্ষাটাকে নিজের মাঝে গেঁথে নেয়।আসলে বিবেক বুদ্ধি হওয়ার পর একটা মানুষকে পরিবার দিয়ে যাচাই করা কিছুটা বোকামিই হবে।কারণ পরিবার প্রাথমিক শিক্ষা,ভদ্রতা শিক্ষা দেয় ছোট বেলায়,যখন মাত্র বুঝতে শেখা হচ্ছে।কিন্তু বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন একজন মানুষকে বিবেচনা করতে গেলে পারিবারিক শিক্ষার উপর ভিত্তি করে নয় বরং সেই মানুষের সম্পূর্ণ চাল-চলন, বুদ্ধি বিবেচনা, ভালো-মন্দ দিক বিচার করেই তাকে সম্বোধন করা উচিত।

হ্যাঁ,সহ্য করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত একের পর এক অন্যায় অবিচার। কারণ আমি প্রতিনিয়তই চেয়ে এসেছি সবকিছু ভালো হোক,ঠিকঠাক থাকুক।আমার বুদ্ধি বিকাশের পর থেকে আমি মানুষের সাথে মিশলে সবসময় চেষ্টা করি আমার দিক থেকে পজেটিভ থাকার।কারণ আমি যদি প্রথম দিক থেকেই নেগেটিভ থাকি তাহলে অন্যজন কেমন মানসিকতার লোক তা বুঝতে পারবো না কখনোই।তাই পজেটিভিটি সর্বপ্রথম থাকা প্রয়োজন মনে করতাম এবং এখনো করি।তো সেক্ষেত্রে বন্ধু বান্ধব থেকে শুরু করে খেলার সাথী কিংবা কোনো আত্মীয়-স্বজন যাদের সাথেই আমার প্রথম পরিচয় হতো আমি সবসময় সবাইকে ভালো হিসেবেই বাচাই করতাম।

আমি এটা এজন্যই করতাম কারণ, আমার দিক থেকে ভদ্রতা,নম্রতা সবসময় আগেই দেখাতাম যাতে পরবর্তীতে সেও আমার সাথে ভদ্রতা নিয়ে চলে।আমি চাইতাম সম্পর্কগুলো সুন্দর থাকুক,বন্ধন দৃঢ় হোক,ভালোবাসা বাড়ুক, একে অপরের প্রতি আন্তরিকতা বৃদ্ধি পাক। চেয়ে এসেছি এমন,আগামীতেও চাইবো।কারণ আমি না চাইলে অন্যজন থেকে সেটা আশা করাটা একদমই বোকামী হবে। কথায় আছেনা সম্মান পেতে হলে সম্মান দিতে হয়। তবে সেই কথাটার গুরুত্ব বা মর্যাদা সবাই বুঝতে পারে না। কারণ এই কথাটা কিন্তু প্রত্যেকের উপরই বর্ণিত।বড় কিংবা ছোট, সম্মান দেয়ার ক্ষেত্রে বয়স বা সম্পর্ক নয় মানসিকতাই প্রয়োজন।

এখন ভাবুন তো, সম্মান তো ছোটরা বড়দের দেবে তাই না। না,তা একদমই না,বড় হয়ে যদি আপনি আপনার ছোট কাউকে সম্মান দেন তাহলে সেই ছোট ব্যক্তিটি আপনার কাছ থেকে সম্মান দেয়া শিখবে, আপনাকে সম্মান করবে, এবং তার ছোটদেরও সম্মান দিবে। কিন্তু এখন আসি আসল কথায়, মনে করুন আপনি আপনার থেকে ছোট কাউকে সম্মান দিচ্ছেন।যেমন ধরুন আপনি তাকে এমন জায়গায় বসাচ্ছেন যেখানে আপনার থাকার কথা,আপনি তাকে সবকিছুতে হেল্প করছেন যেই হেল্প আপনি কারো কাছ থেকে পাননি,আপনি তাকে আগলে রাখছেন কিন্তু যেখানে আপনি অবহেলিত ছিলেন। তখন,সেই ব্যক্তিটি যদি মনে করে তাকে সম্মান দেয়ায় আপনি ছোট হয়ে গেলেন আর আপনাকে পদে পদে ছোট করবে, হেনস্তা করবে তখন কি করবেন।

এই যে এতগুলো কথা বললাম,কেন?
এটা এজন্যই যে আমরা অপাত্রে দান করার মতই এমন কিছু মানুষকে অতিরিক্ত ভালোবাসা আর সম্মান দিয়ে ফেলি যে তারা তখন মাথায় উঠে নাচতে থাকে।তারা মনে করে তারাই সবকিছু। কিন্তু যার কারণে সে ভালো ছিল তাকেই পদে পদে অপদস্ত করতে বিন্দুমাত্র চিন্তা করে না। সম্মান দেয়ার কথা তো দূরে থাক, সম্মান প্রাপ্তিটাও স্বীকার করে না।এমন মানুষগুলো জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে খারাপ।পরিবার,সমাজ বা রাষ্ট্র যেটাই বলি না কেন, সবক্ষেত্রেই এই মানুষগুলো ভয়ানক।সে নিজে যেমন অসৎ তেমনি অন্যদের মনেও বিষ ঢেলে দেয়।কারণ অনেকসময় পরিবারও কিন্তু এইরকম শিক্ষা দিয়ে থাকে।তবে শিক্ষাটা নিজের বুদ্ধি বিবেচনায় রাখাটা শ্রেয়।

কথাগুলো কটু হলেও কঠোর সত্য,এই সমাজে এখন ভালোবাসার দাম নেই, আছে শুধু হিংসা। একজনকে হিংসে করে বন্ধনগুলো বিনষ্ট করে।এমন আত্মকেন্দ্রিক, হিংসুটে আর কুশ্রী মনোভাবের মানুষ কিন্তু সমাজে দিনদিন বেড়েই যাচ্ছে। আজ তো অনেক কিছু বললাম, তবে আবারো ফিরে আসবো এমন কিছু কটু সত্য কথা নিয়ে।যেটা সবার জীবনের সাথে হয়তো জড়িত।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণরাইটিং
ক্যামেরা.মডেলজে৫ প্রাইম
ফটোগ্রাফার@bristy1
লোকেশনফেনী

images (4).png

20211121_200134.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 11 months ago 

মানুষের বিবেক-বুদ্ধি, ব্রেইন গঠন, এবং নৈতিক শিক্ষার সবটাই কিন্তু সর্বপ্রথম ফ্যামিলি থেকে শুরু হয়। যার ফ্যামিলি থেকে যেমন গঠন করে দেয়, সে ধীরে ধীরে ওই গঠনের উপরে বড় হতে থাকে। কেউ যদি ছোট থেকেই শিখে থাকে কূটনীতিক মনোভাব। সে বড় হতে হতে তার ব্রেইন খাটিয়ে আরও বড় কূটনীতিক হিসেবে গড়ে ওঠে। আবার কেউ যদি ভালো নৈতিক ও মানবিক শিক্ষা পায়। তখন সে বড় হতে হতে নিজেও আরো মানবিক ও নৈতিক হতে চেষ্টা করে এবং অন্যকেও মানবিক ও নৈতিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। এক্ষেত্রে মেইন ফাউন্ডেশন হচ্ছে ফ্যামিলি। ধন্যবাদ দারুন একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।

 11 months ago 

আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি আপু কথা গুলো কটু হলে ও বাস্তব সত্যি। আসলে সম্মান শুধু যে ছোটরা দেবে তা কিছু নয়। আসলে সম্মান দিলে সম্মান অবশ্যই পাওয়া যায়। তবে নিজের সম্মান নিজেকেই ধরে রাখতে হয়। ধন্যবাদ আপু শিক্ষা মূলক একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

প্রতিটি মানুষের ভিত্তি গড়ে দেয় তার পরিবার। কিন্তু বড় হয়ে অনেকে সেই পথে হাঁটে, আবার অনেকে উল্টো পথে হাঁটে। এতে করে পরিবারের দোষ দেওয়া যাবে না। তবে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা সম্মান পাওয়ার যোগ্য না। হঠাৎ করে যদি তারা সম্মান পাওয়া শুরু করে, তখন নিজেকে অনেক বড় কিছু মনে করে। নিজেকে প্রাধান্য দেওয়া শুরু করে এবং অহংকারী মনোভাব সৃষ্টি হয়। কথায় আছে না অল্প পানির মাছ বেশি পানিতে গিয়ে পরলে কি করবে সেটা বুঝে উঠতে পারে না। যাইহোক চমৎকার লিখেছেন আপু। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

পারিবারিক শিক্ষা সব থেকে বড়ো শিক্ষা। আর এই শিক্ষা কেউ খাতা,কলমে শেখে না পরিবার,পরিজনদের ব্যবহার,আচার আচরণ এসব দেখেই শেখে।আপনি সবার সাথে ভালো আচরণ করেন কারণ আপনি ছোট থেকে সেই শিক্ষায় শিক্ষিত। তবে আপনি ঠিক বলেছেন বেশি,ভালোবাসলে,আস্কারা দিলে সুযোগ বুঝে মানুষ মাথায় উঠে নাচে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59934.86
ETH 2666.82
USDT 1.00
SBD 2.45