আবহাওয়া ও প্রকৃতিতে বর্তমান এবং পূর্ববর্তী অবস্থা।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
source
আজ আবারো চলে এলাম একটা জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে। আসলে সচরাচর জেনারেল রাইটিং পোস্টগুলো করা হয়ে উঠে না। তাই ভাবলাম আজ কিছু লেখা বা অনুভূতি শেয়ার করি।আজ মূলত আবহাওয়ার বর্তমান ও পূর্ববর্তী অবস্থা এবং তার ফলাফল নিয়েই কিছু অনুভূতি শেয়ার করব।
একটা সময় ছিল যখন আমি শীতকাল থেকে গরমকাল বেশি পছন্দ করতাম। মূলত আমি যখন ছোট ছিলাম তখনকার আবহাওয়া এবং বর্তমান আবহাওয়ার বিশাল ফারাক। তখন চারিদিকে গাছপালায় ভরপুর ছিল।আমাদের পুরো বাড়িটা ছিল গাছগাছালিতে ভরা।আমাদের ঘরের আশেপাশে ছিল সুপারি আর গাব গাছ। সাথে আমগাছ,নারকেল গাছ আরও কত কি।যাইহোক ধীরে ধীরে সবাই নিজের প্রয়োজনে গাছগুলো কেটে ফেলেছ।
আমাদের ঘরের পাশে অন্য একজনের জায়গা ছিল। বিভিন্নরকম গাছ ছিল,তারা সেগুলো কেটে ফেলেছিল।পরবর্তীতে আমরা সেই জায়গাটা কিনে ফেলেছিলাম।আর সেখানে আবারও নতুন মাটি ভরাট করে সুপারি,নারিকেল,আম,আরও কিছু ফল গাছ লাগিয়ে ফেললাম।আমরা তো জায়গাটার ক্ষতিপূরণ হিসেবে গাছগুলো রোপণ করলাম, কিন্তু সবাই কি এমন করছে?যদি এমন করেই থাকে তাহলে প্রকৃতির রূপ এমন কেন হচ্ছে?
আগের গাছপালা যেমন ছিল ঠিক তেমন আবহাওয়া ছিল শীতল, চারিদিকে শীতল বাতাস বইতো। আর তাপমাত্রাও কিন্তু খুব বেশি হতো না।সবাই স্বস্তিতে বসবাস করতে পারতো।আগে একটা সময় কারেন্ট ছিল না। কিন্তু ঐ সময়টায় তাপমাত্রা এবং আবহাওয়া শীতল থাকার কারণে ফ্যানের প্রয়োজনও ছিল না।হাতপাখার বাতাস যথেষ্ট ছিল, আবার তা না হলেও জানালা দিয়ে ঘর ঠান্ডা করা বাতাস বইতো।বর্তমানে ঠিকমতো বাতাসই তো পাওয়া যায় না। আর বাতাসের মাঝেও যেন তীব্র গরম বয়ে বেড়াচ্ছে।
আগেকার সময়ে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরতের মধ্যে প্রত্যেকটা ঋতুই কিন্তু আলাদা আলাদা রূপ দেখাতো। আর বর্তমানে বাংলাদেশে যেন গ্রীষ্ম প্রধান দেশ হয়ে গেল। আগে আমার কাছে গরম কাল ভালো লাগতো। কারণ তখনকার আবহাওয়া মোটামুটি ভালই ছিল। কিন্তু বর্তমানে গরমকাল এত অসহ্যকর লাগছে যে সারা বছর শীতকাল থাকলেই যেন ভালো হয়। কারণ বর্তমান সময়ে তীব্র গরম বুড়ো থেকে বাচ্চা কারোই সহ্য হচ্ছে না। এটা যেন সহ্য ক্ষমতা বাইরে চলে গেল।
অতিরিক্ত গাছ নিধন, পরিবেশ দূষণ, বায়ু দূষণ এই সব কিছুই হলো অতিরিক্ত তাপমাত্রার একমাত্র কারণ। আমরা মানুষরাই কিন্তু এই পরিবেশটাকে বিষিয়ে তুলেছি। নিজেদের পারিপার্শ্বিক উন্নয়নের জন্য গাছপালা নিধনের পাশাপাশি প্রকৃতিকে উত্তপ্ত করে ফেলেছি। যা এখন তার বিরূপ প্রভাব আমাদের দেখাচ্ছে। আসলে এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় টা কি হতে পারে সেটা কিন্তু সবাই জানে। আর এই জন্যই সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে যদি সচেষ্ট হয় এবং বনভূমির পরিমাণ যদি বাড়িয়ে তোলে তাহলে হয়তো বা কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যাবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হ্যাঁ আপু আগে বিদ্যুৎ না থাকা সত্ত্বেও আবহাওয়া কত সুন্দর ছিল । চারিপাশে গাছ পালায় পরিপূর্ণ সেই ছায়াতলে ঠান্ডা পরিবেশে সবাই বিশ্রাম নিত। বর্তমান অনেক সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও মানুষের ভিতরে অস্থিরতার মুহূর্ত বিরাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতির জন্য আমরাই দায়ী মানুষের সুযোগ সুবিধা এবং চাহিদার জন্য গাছপালা কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে । আগের সেই সময় বর্তমান সময়ের সম্পূর্ণ বিপরীত।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে যেন আগের সময়গুলোতে ফিরে যাই।তখনকার সহজ সরল পরিবেশটাই আসলেই অনেক বেশি ভালো ছিল।
আপনি ঠিকেই বলেছেন আপু, আমাদের দেশটা গ্রীষ্ম প্রধান দেশ হয়ে গেছে। ঋতু বৈচিত্র আর নেই। প্রকৃতের এই পালা বদলের জন্য আমরা মানুষরাই দায়ী। প্রতিনিয়ত আমাদের আরাম আয়েশের জন্য পাহাড়-জঙ্গল-নদী-নালা-খাল-বিল ধবংস করে চলছি। তার মাসুল এখন দিচ্ছি। সামনে আরো দিতে হবে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঋতু বৈচিত্র্য তো হারিয়েই গিয়েছে। যেন এটা গ্রীষ্ম আর শীতকালের দেশ।
আগের আবহাওয়ার চেয়ে এখন আবহাওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আগে ফাল্গুন মাসে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতাম বাতাসে বাগানে বসে থেকে। এখন ফাল্গুনের সেইরকম বাতাস হয় না। বর্তমান যে সময় চলছে এই সময়ে বৃষ্টি পাতা হত এখন বৃষ্টিপাত নেই। একটানা প্রচন্ড গরম। আর এভাবে আবহাওয়া জেনো মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আগে যেই সময় যে আবহাওয়া লক্ষ্য করতাম এখন সেই সময় সেই আবহাওয়া লক্ষনীয় নয়। আগেকার গরমের দিনগুলো একরকম ছিল এখন আর একরকম।
এখনও ইচ্ছে করে আগেকার সময়তে ফিরে যাই। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আবহাওয়া নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার পিছনে গাছের অবদান অনেক। যত বেশি গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে নষ্ট করা হচ্ছে তত বেশি আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আপনার সুন্দর একটি বিষয়ে লেখালেখি দেখে ভালো লাগলো আপু।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু গাছপালা নিধনের কারণেই আবহাওয়ার বিরূপ অবস্থা।