কাজিনের বিয়ের দিনের কিছু মুহূর্ত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে ভিন্ন একটি বিষয় নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
আপনাদের মাঝে আজকে আমি শেয়ার করতে চলেছি আমার কাজিনের বিয়ের দিনের মুহূর্তগুলো। আপনাদের মাঝে হলুদের দিনের মুহূর্তগুলো করে শেয়ার করেছিলাম। তাই ভাবলাম ক্রমান্বয়ে আজ বিয়ের দিনের মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। যেহেতু বিয়ের দিন,সেই হিসেবে সবাই সকালবেলা তারাতারি উঠে গেল। আর যেহেতু বর আসবে একটার মধ্যে তাই সবাই সকাল সকাল কাজকর্ম সেরে ফ্রেশ হয়ে নিল। এর মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি মিতুকে গোসল করিয়ে তারপর পার্লারে নিয়ে যাওয়া হলো। যেহেতু আমি ঘুম থেকে দেরিতে উঠেছিলাম তাই আমার সাথে মিতুর দেখা হয়নি।
এর মাঝে আমরা ওঠার পর নাস্তা করলাম। তারপর বাইরে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম। বারোটার সময় আমরা সবাই রেডি হয়ে গেলাম। স্বাভাবিকভাবে যেদিন মেয়ের বাড়িতে বর আসবে সেদিন বাড়ির এবং এলাকার সকলকে বরযাত্রী আসার আগেই খাওয়ানো হয়। তাই আমরা রেডি হওয়ার পর পর আমাদের সবাইকে খাওয়ার জন্য ডাক দিল। তাই আবার আমরা সবাই মিলে খাওয়ার জন্য চলে গেলাম। তখনও কিন্তু মিতু বা বরপক্ষ কেউই আসেনি। বাড়ির এবং তাদের ঘরের সকল মেহমান সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করলে এরপর বরযাত্রী এল। বরকে রিসিভ করার জন্য আমি যেতে পারিনি কারণ নিভৃতকে ঘুম পাড়ানোর জন্য ঘরে গিয়েছিলাম।
যাইহোক পরবর্তীতে মিতুর ছোট মামাতো বোনেরা গিয়ে রিসিভ করল। এরপর আমরা সবাই সেখানে আবার উপস্থিত হলাম।মিতুকেও নিয়ে আসা হলো। অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করা হলে আমরা সবাই গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। সর্বোপরি বরযাত্রীদের খাওয়া দাওয়ার পর বিদায়ের পালা। তখন প্রায় পাঁচটা বাজে যাই।
যাইহোক পরবর্তীতে তাকে নিয়ে যাওয়ার পর আমরা আবার ঘরে ফিরে আসলাম। আর এভাবেই কেটে গেল সেদিন। বিদায় বেলা খুব বেশি কষ্টের হয় তবে সেটা কাউকে বলে বোঝানোর মত নয়। আপনাদের মাঝে এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে পেরে খুব ভালো লাগলো।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | বিয়েতে কাটানো মুহূর্ত -২ |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিয়েতে বেশ আনন্দ ফুর্তি করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু। তবে বিয়েতে সারাদিন সুখে কাটলেও বিদায়বেলাটা বেশ কষ্টের। আসলে একটা মেয়ে যখন তার নিজের জন্মভূমি ছেড়ে চলে যায় তখন সেই মেয়েই জানে তার কতটা কষ্ট হয়। আপনার কাজিনের বৈবাহিক জীবন শান্তিময় হোক।
কাজিনের বিয়ের দিনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। বিয়েতে আনন্দ উপভোগ করেছেন। দু'জনকে বেশ সুন্দর মানিয়েছে। দুজনের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আপনার কাজিনের বিয়ের মুহূর্তগুলো পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে যেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। সবাই মিলে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন। ঠিকই বলেছেন বিদায়ের মুহূর্ত খুবই কষ্টের। যখন নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে যায় তখন সে মুহূর্তে তার কাছে কেমন লাগে একমাত্র সেই জানে। এতসুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বিয়ে মানে আনন্দ বিয়ে মানে খুশি, আরে বিয়ের দিনে অনেক আত্মীয়র সমাগম হয়ে থাকে। ঠিক সেই মুহূর্ত আজ আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনার কাজিন এর বিয়ের দারুন একটা ভালো লাগার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে আপনার এই অনুভূতিগুলো পড়তে গিয়ে মনে হল যেন আমিও উপস্থিত ছিলাম এই বিয়ের আসরে। দোয়া করি যেন আপনার কাজীন সুখী হয়।