ভিন্ন ভিন্ন ছবিতে আজকের ব্লগ|| রেনডম ফুড ফটোগ্রাফি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে বেশ আনন্দ নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের সামনে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরব। সচরাচর তো আপনাদের মাঝে ফুল, ফল বা প্রাকৃতিক বিভিন্ন কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করি। আর আজ দ্বিতীয় বার কিছু ফুড ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হলাম। এখানে সবগুলো ফটোগ্রাফি কিন্তু আমার নিজের তৈরি করার রেসিপি থেকে নেয়া। তবে শুধুমাত্র দইয়ের ছবিটা আমি অন্য জায়গা থেকে তুলেছিলাম। যাইহোক লোভ লাগলে কিন্তু আমার কোন দোষ নেই, নিজ দায়িত্বে খেয়ে নিবেন,হাহাহা।
এখানে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটা হল একটা ডোনাট চপ। যদিও এখানে আমি ভিন্ন রকম কিছু উপাদান ব্যবহার করেছি।এর মাঝে মেইন উপাদানটা হলো কচু। যাইহোক রেসিপিটা অনেক আগেই তৈরি করেছিলাম। কিন্তু আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি। ছবিটা হঠাৎ চোখের সামনে পড়লো তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে ছবিটা শেয়ার করা যাক। আসলে এগুলো দেখতে এতটাই লোভনীয় যে ইচ্ছে করছে এখনই তুলে একটা খেয়ে ফেলি। দারুন লোভনীয় আর মজার একটা রেসিপি ছিল।
অনেকদিন আগে আমরা কয়েকজন একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। আর অনেকদিন আগে আমার হাজব্যন্ড বলেছিল এই দইয়ের কথা।এটা নাকি অনেক বেশি মজা। যদিও কখনো খাওয়া হয়নি। আর বাড়িতে এটা নিয়ে যেতে যেতে এটার অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে কারণ রাস্তার যে অবস্থা। যাই হোক তাই ভেবেছিলাম যখন বাজারে কোন সময় যেতে পারবো তখন এই দইটা খেতে পারবো। যাই হোক অনেকবার যাওয়ার পরও কিন্তু খাওয়া হয়নি। পরবর্তীতে সেদিন হঠাৎ করে মনে পড়ল সেই দইয়ের কথা, তাই খেয়ে নিলাম। আসলেই কিন্তু এটা মুখে লাগার মত ছিল, একদম ক্ষীরের দই।
আমার খুব প্রিয় একটা সবজি হলো কাঁঠালের বিচি। আর এটা বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়। যদিও ঢেঁকি শাক দিয়ে কাঁঠালের বিচি রান্না করাটা হলো বেস্ট একটা তরকারি। কিন্তু এ বর্ষাকালে ঢেঁকি শাক পাওয়া গেলেও আমাদের এদিকে তেমন একটা পাওয়া যায় না এখন। আগে এক সময় পাওয়া যেত, যেটা বর্ষাকালে সময় কাঁঠালের বিচি দিয়ে রান্না করে খেতে জাস্ট অসাধারণ লাগতো। যাইহোক এটা কিছুদিন আগেরই রেসিপি। শুটকি দিয়ে কাঁঠালের বিচি রান্না করেছিলাম।
সিদ্ধ আলু এবং সিদ্ধ ডিম দিয়ে তৈরি করা একটা মজার রেসিপি। বিশেষত নুডুলস দিয়ে কোট করার কারণে এটা অনেক বেশি ক্রিসপি আর খেতে মজাদার ছিল। এই রেসিপিটা যদিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। তবে ছবিগুলো কিন্তু এখন আমার কাছে রয়েই গেল। মাঝে মাঝে ছবিগুলো দিয়ে আপনাদের লোভ লাগিয়ে দেবো এজন্য মূলত ছবিগুলো রেখে দিলাম,হাহাহা। যাইহোক অনেকে কিন্তু এই রেসিপিটা দেখে খুব ভালো মন্তব্য করেছেন, যেটা দেখে খুব বেশি ভালো লেগেছিল।
এই রেসিপিটা হয়তো অনেকের পছন্দের, আবার অনেকের অপছন্দের। যদিও আমি করলা একদমই খেতে পারি না। কিন্তু আমার ফ্যামিলিতে আমার আম্মু আব্বু করলা খেতে পারে। যাই হোক একদিন একটা রেসিপি দেখেছিলাম যেখানে এভাবে করলা ফ্রাই করলে নাকি কোন রকম গন্ধ আর তেতো ভাব থাকে না। মাংস রান্না করলে ভাতের সাথে এটা মজা লাগে। রেসিপিটা করার পর মনে হল যে এতটাও খারাপ না। মাংস দিয়ে খাওয়ার সময় মনেই হয় না করলা খাচ্ছি। রেসিপিটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। তাই ভাবলাম মাঝে মাঝে মাংসের সাথে একদম কড়া ভাজি করে এটা করা যাবে।
আমসত্ত্ব দেখলেই মুখে পানি চলে আসে। আর যেহেতু এটা একদম কাঁচা আমের তার পাশাপাশি একদম সবুজ কালারের একটা আমেজ আছে মনে হয় যেন একদম কাঁচা আম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।কাঁচা আম দিয়ে তৈরি করলেও এই কালারটা হয় না। একটু ফুড কালার ব্যবহার করলেই মূলত এই কালারটা আসে। যাই হোক এটা খেতে কিন্তু দারুন মজা ছিল। আর তৈরি করাটাও বেশ সহজ। রেসিপিটা অবশ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। তবে ছবিটা আবারো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম হয়তো অনেকেই দেখেননি।
আমার কাছে একটু ফাস্টফুড আইটেমগুলো খেতে খুব বেশি ভালো লাগে। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমি ঝাল আইটেমগুলো তৈরি করি। এ ক্ষেত্রে পকোড়াকে বেশি প্রাধান্য দেই। বিভিন্ন রকম ভাবে আমি বিভিন্ন রকম পকোড়া তৈরি করেছিলাম। আর এটা হল সিদ্ধ ডিমের পকোড়া। এর আগে অবশ্য একটা সিদ্ধ ডিম এবং আলু দিয়ে তৈরি করেছিলাম। কিন্তু এটা শুধুমাত্র ডিম দিয়ে করেছি। যাই হোক উপরে একদম ক্রিস্পি ভাব এবং ভেতর একদম জুসি ভাব ছিল। এজন্য বেশি মজা লেগেছিল। আপনাদের মাঝে শেয়ার করার সুযোগ পাইনি,সময় পেলেই শেয়ার করব।
এই ছিল সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রেনডম ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আপু অলরেডি লোভ লেগে গেছে হি হি হি। আপনার শেয়ার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে দারুণ আপু। এত লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে কিভাবে লোভ সামলানো যাই বলেন তো? প্রত্যেকটি খাবারের ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এমন লোভনীয় দই দেখলে কি লোভ সামলানো যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকেই ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন, খাবার দেখলে লোভ সামলানো যায় না। আর এই ছবিগুলো আমি দেখলে বারবার খিদে পেয়ে যায়, হাহাহা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার বিভিন্ন খাবারের ফটোগ্রাফি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে জিভে জল চলে এসেছে। আসলে এই ধরনের খাবারগুলো অনেক রুচি সম্মত মুখরোচক। সত্যি আমসত্ত্ব দেখলে জিভে যেন জল চলে আসে তাই আমি দোকান থেকে কিনে খেলাম আপনার আমসত্ত্ব দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছিল তাই ধন্যবাদ।
আমার আমসত্ত্ব দেখে দোকান থেকে কিনে খেয়ে নিয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে এগুলো দেখতেই খুব লোভনীয় হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আপনি দেখছি বেশ কয়েকটি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমার লোভ লেগে গেল আপু। আপনার তোলা দইয়ের ফটোগ্ৰাফি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসনে দই আমার অনেক বেশি প্রিয়।
দই গুলো খেতে কিন্তু ভীষণ মজার ছিল ভাইয়া। আমি প্রথম দিন খেয়েই কিন্তু এটার ফ্যান হয়ে গেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দই এবং আমসত্তের ফটোগ্রাফি টা সবচেয়ে বেশি লোভনীয় লেগেছে আমার কাছে। প্রথম ফটোগ্রাফি টাও দারুন হয়েছে। এত লোভনীয় সব ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। ধন্যবাদ আপু এতো সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলে মাঝে মাঝে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক থেকে যায়। তখন চিন্তা করি ফটোগ্রাফি গুলো এমনিতে রেখে তো আর লাভ নেই, আপনাদের মাঝে শেয়ার করলেই ভালো লাগবে।
আপু প্রতিটি খাবার বেশ লোভনীয়। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ডোনাট রেসিপি, পরে দেখি খুব মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি।দেখেই লোভ লাগছে।আমসত্ত্ব গুলোর কালারটা দারুন। ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু প্রথমে যে ডোনাট রেসিপিটার কথা বলেছেন এটা অবশ্য আগে একবার শেয়ার করেছিলাম। তবে সামনে হয়তো চিকেন ডোনাট রেসিপি শেয়ার করব, ধন্যবাদ আপু।
https://x.com/bristy110/status/1807658331999494301
লোভনীয় সব খাবারের ছবিগুলো দেখে অসাধারণ লাগলো। খাবার গুলো দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে আপু। আপনি কিন্তু দারুণ রান্না করেন। আপনার শেয়ার করা ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে খাবার গুলো খুবই মজার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এই ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া খাবার দেখে যদি মনে হয় মজার হয়েছে তাহলে সেটাই অনেক কিছু।আর আমি চেষ্টা করি আমার রান্নাগুলোকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
খাবারের বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু। তবে দই আর ডোনাট চপ এর ছবি গুলো দেখে অনেক লোভনীয় লাগছিলো। যাই হোক , আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দইটা খেতে খুবই মজা ছিল,এখনো যেন মুখে লেগে আছে। ধন্যবাদ আপু।
প্রত্যেকটা খাবারে ফটোগ্রাফি দেখে যেন খেতে ইচ্ছা করছে এত মজাদার রেসিপি আপনি তৈরি করেছিলেন। আর এই খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলেন, এত মজার মজার খাবার দেখেই যেন খেতে ইচ্ছা করছে।
আরে ভাইয়া একদিন চলে আসেন,দাওয়াত রইলো।