জেনারেল রাইটিং||সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস,অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। কথাটা দ্বারা অনেক কিছুই বোঝানো হয়।আমরা আমাদের জীবনের বিভিন্ন অধ্যায়ে দেখেছি এই রকম ঘটতে।আশা করি আপনারাও আপনাদের আশেপাশে এমন কাউকে উপলব্ধি করেছেন।আমরা জীবন চলার ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক মানুষকে খুব কাছে থেকে দেখতে পারি। অতীত ও বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের অবস্থান চিন্তা করতে পারি।আজ এমনই কিছু অগোছালো কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
সৎ সঙ্গ সব সময় ভালো কিছু প্রদান করে থাকে। ধরুন দুজন বন্ধু একসাথে চলাফেরা করে তার মধ্যে যে সৎ থাকে সে কিন্তু নিজের সততা এবং ভালো উপদেশ দিয়ে আরেক বন্ধুকে নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে পারে। আর পাশের বন্ধুটি যদি ভালো মন-মানসিকতার মানুষ হয় তাহলে সেও সৎ বিষয়গুলো এবং ভালো বিষয়গুলোকেই ভালোভাবে আয়ত্ব করবে এবং খারাপ দিকগুলোকে বর্জন করবে। তখন দুজনের মাঝে ভালো বিষয়গুলোই বিদ্যমান থাকবে। খারাপ গুলোকে তারা সব সময় দমিয়ে রাখবে। কারণ যেহেতু তারা সৎ মন মানসিকতার লোক তারা সব সময় চাইবে ভালো কিছুই হোক সবার সাথে। তারা নিজেরা যেমন সৎভাবে চলবে, ভালো পথে চলবে ঠিক তেমনি অন্যদেরকেও সাহায্য সহযোগিতা করবে যাতে সবাই ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারে।
আমার পরিচিত এবং দেখা একটা মানুষের কথাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। সে তার উঠতি বয়সেই খুব বাজে একটা স্বভাবের সাথে জড়িয়ে পড়েছিল, অসৎ সঙ্গের সাথে মেলামেশা করে। আমাদের সমাজে যুব সমাজ যেভাবে বিভিন্ন রকম গ্যাং এর সাথে যুক্ত হয়ে নিজের জীবনটা ধ্বংস করে দেয়, ঠিক তেমনি ওই ছেলেটাও তার জীবনটাকে এরকম একটা দিকে ধাবিত করেছিল।কিন্তু পরবর্তীতে তার থেকে বয়সে বড় এক ভাই তাকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে এনেছিল। ছেলেটা অসৎ পথের দিকে ধাবিত হলেও সে কিন্তু ওই বড় ভাইকে অনেক বেশি শ্রদ্ধা করতো। যার কারনে তার বড় ভাইটা তাকে ভালো পথে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় এবং নীতি-নৈতিকতা সম্পর্কে জ্ঞান দান করে।
সে খারাপ পথ থেকে খুব সহজেই ভালো পথে চলে আসে এবং নিজেও ভালো কাজ সমূহ করে। নিজেও চেষ্টা করে যে বিপথে যাওয়া মানুষ গুলোকে ঐ পথ থেকে ফিরিয়ে এনে ভালো একটা জীবন দানে সহায়তা করার। তাহলে এখানে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন বড় ভাই ভালো এবং সৎ মন মানসিকতার হওয়ার কারণেই ছোট ভাইটাকেও ভালো পথে ফিরিয়ে এনেছে এবং অন্যদেরকে নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্য এই ছেলেটাকে নিজের মতো করে গড়ে নিয়েছে।এ তো গেল সৎ মানুষগুলোর অবদান যারা খারাপ পথ থেকে মানুষগুলোকে ভাল পথে ফিরিয়ে আনে নিজেদের সঙ্গ দিয়েই।
এখন আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করব কিছু খারাপ সঙ্গ মানুষকে কিভাবে জীবন শেষ করে দিতে বাধ্য করতে পারে। এটাও একটি ছেলের বিষয় নিয়েই। ছেলেটা মাত্র ১০ম শ্রেণীতে পড়ত। তখন থেকে তার কিছু বন্ধুবান্ধব ছিল যারা বিভিন্নভাবে নেশায় জড়িয়ে গিয়েছিল।সে ওই ছেলেদের সাথে মিশতে মিশতে নিজেও এক সময় নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। যাই হোক সে বাইরে নেশা করতো কিন্তু বাসায় এসে খুব ভদ্রভাবে চলাফেরা করত যেন সে কিছুই জানে না। সেজন্যই তার পরিবার কখনো টের পায়নি। ছেলেটা ধীরে ধীরে এভাবেই পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মিশে যেতে এবং নিজেকে নেশার জীবনে নিয়ে গিয়েছিল। আর এটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বন্ধুবান্ধবদের পাল্লায় পড়ে একদিন একটা জায়গায় গিয়ে অন্য ছেলেদের সাথে মারামারি করে এবং একপর্যায়ে ছেলের হাতে ছুরি দিয়ে কেটে ফেলে। অনেকটা অংশই কেটে ফেলেছিল এবং সেখানেই সে প্রচন্ড মার খেয়েছে। তারপর তার নামে মামলা করা হয় এবং তার পরিবারকে থানায় ডেকে নিয়ে বিভিন্নভাবে ছেলেটার শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এইদিকে এই ছেলেটার জীবনটা থেকেও না থাকার মত হয়ে গেল। পরবর্তীতে সে লজ্জায় নিজের জীবন দিয়ে দিলে এবং আত্মহত্যা করল। এই অসৎসঙ্গটাই তার জীবনের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো ছেলেটা পরিবারের একটিমাত্র সন্তান ছিল।
এ দুটি বিষয় উপলব্ধি করলে বোঝা যায় জীবন আপনার কাছে। আপনি সৎ ভাবে পরিচালনা করবেন নাকি অসৎভাবে পরিচালনা করবেন সেটা একদম আপনার নিজস্ব ব্যাপার। এ বিষয়টার উপরে আপনি আপনার জীবন পরিচালনা করতে পারবেন।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | জেনারেল রাইটিং |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গুণীজনেরা এজন্যই এই প্রবাদটি জারি রেখেছেন। কথায় আছে না সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে। সঙ্গ খারাপ হলে ভালো মানুষটিও খারাপে পরিণত হবে। আর যদি সঙ্গ ভালো থাকে অবশ্যই সেও ভালো কিছু অর্জন করতে পারবে। যাই হোক বাস্তবিক একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদান করার জন্য ভালো থাকবেন।
খুবই ভালো একটি টপিকের উপর আজকে লিখেছেন আপু। ভালো সঙ্গ মানুষকে অবশ্যই স্বর্গের পথে নিয়ে যায় আর খারাপ সঙ্গ অবশ্যই মানুষকে নরকের পথ দেখায়। আপনার গল্পটা পড়ে সত্যি শেষে খুবই খারাপ লাগলো পরিবারের একটি সন্তান তাও খারাপ সঙ্গ দোষে নিজের জীবন দিয়ে দিতে হলো। আমাদের সবার সবসময় উচিত সৎ মানুষের সঙ্গ দেওয়ার। সুন্দর একটি শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া এমন অনেক কিছুই তো আছে যেগুলো আমাদের সমাজে সচরাচর ঘটছে। আমরা হয়তো দেখছি না।
প্রচলিত প্রবাদ বাক্যগুলো খুবই সত্য ও সঠিক।একজন মানুষের সঙ্গই ঠিক করে দেয় সে জীবনের কোন পর্যায়ে পৌছাবে। আর বয়সন্ধিকালে তো সঙ্গ ঠিক করা খুবই কঠিন। কতজন যে এই সময়ে সঙ্গ দোষে ঝড়ে যায়। ছেলেটির জন্য খুবই খারাপ লাগল।ধন্যবাদ আপু সচেতনতা মূলক পোস্টটির জন্য।
জি ভাইয়া সঙ্গ যদি ঠিক থাকে তাহলে হয়তোবা জীবনটা হয় অনেক রঙিন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। প্রবাদ বাক্যটি আমার কাছে বেশ পছন্দ হয়েছে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। আসলে বাস্তব সময়ের সাথে পোষ্টের বেশ মিল রয়েছে। এখনকার ছেলেরা অল্প বয়সেই নেশার সাথে জড়িয়ে পড়ে আপু এই বিষয়টি আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছে। খারাপ সঙ্গ ভেঙে যদি ভালো সঙ্গের দিকে আমারা সবাই আসতে পারি তাহলে অবশ্যই নিজেকে ভালো করা সম্ভব। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জীবনে অনেক সময় এরকম অনেক মানুষ আসে যারা হয়তো ভালো নয়তো খারাপ। আর তাদের বেছে নেয়ার মাধ্যমে জীবনের গতিপথ নির্ধারিত হয়।
সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ কথাটি একদম বাস্তব। ঠিক বলেছেন যখন দুই বন্ধু একসাথে চলাফেরা করে তখন বন্ধুটি ভালো হলে সেই অন্য বন্ধুকে ভালো উপদেশ দেবে। আর যদি খারাপ বন্ধু হয় তাহলে তাকে খারাপের দিকে নিয়ে যাবে। যেমনটি ছেলেটি অসৎ লোকের সাথে চলাফেরা করে খারাপ হয়ে গেলে লাশ পর্যন্ত নিজেই লজ্জা নিজের জীবন দিয়ে দিলেন। এরকম অনেক ছেলে আছে সঙ্গ দোষের কারণে নষ্ট হয়ে যায়। খুব সুন্দর শিক্ষনীয় পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সময় জীবনটাকে কোন খারাপ দিকে নিয়ে গেলে সে জীবন আর রাখতে ইচ্ছে করে না। সঙ্গ দোষেই কিন্তু অনেকেই খারাপ হয়ে যায়, ধন্যবাদ আপু।
আপু আজ খুব চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করলেন।পড়ে ভীষন ভালো লাগলো। আপনি একটি উদাহরন দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়েছেছেন বিষয়টি। খুব ভালো লাগলো পড়ে । এটা খুব সত্যি কথাই ভালোর পাশে থাকলে ভালো ই হয়।আর খারাপের সংস্পর্শে থাকলে সেই মানুষটিও এক সময় খারাপ হয়েই যায়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর ভাবে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য ভাগ্য নেয়ার জন্য?
আসলে আপু আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এ কথা ঠিক যে সৎ ব্যক্তির সাথেই কেউ থাকলে সে অবশ্যই সৎ হয়ে যাবে। অন্যদিকে কেউ যদি খারাপ মানুষের সাথে মিশে তাহলে দেখা যায় সেই একসময় সে খারাপের দিকেই পরিণত হচ্ছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
পোস্টটা পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা ভালো কিছু করলে আমাদের জীবনে ভালো কিছুর প্রভাব পরে আর আমরা যদি খারাপ কিছু করি তাহলে আমাদের জীবনে সেই খারাপের প্রভাব ও পড়ে তাই আমাদের উচিত সবসময় খারাপটাকে বর্জন করে ভালোটাকে বরণ করে নেওয়া। আর অবশ্যই সঙ্গী নির্বাচনে সতর্ক হওয়া। কারণ একজন খারাপ সঙ্গী কখনোই আমাদের ভালো পন্থা দেখায় না। আপু আপনি খুবই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমরা যদি ভালো লোকের সঙ্গে চলাফেরা করি তাহলে আমাদের কাজকর্ম ভালোই হবে। একটা লোক যদি খুবই ভালো হয় আর সে যদি কিছু অসৎ লোকের সঙ্গে চলাফেরা করে তাহলে তার চরিত্র অনেকটা অসৎ লোকের মতই হয়ে যায়। যার একটি সুন্দর উদাহরণ আপনি পোষ্টের মধ্যে দিয়ে দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম একটি শিক্ষানীয় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।