বাউলার ডালের পেঁয়াজু তৈরির রেসিপি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করতে এসেছি। যদিও রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম রমজানের প্রথম দিকেই। কিন্তু সময়সল্পতা এবং বিভিন্ন কারণে আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়ে ওঠেনি। তাই ভাবলাম আজকে একটু ভিন্নতা নিয়ে এই পোস্ট শেয়ার করি। স্বাভাবিক ভাবে রমজান মাসে পেঁয়াজু একদম কমন একটা রেসিপি ইফতারের জন্য। আর এই পেঁয়াজু না খেলে আমার কাছে একদমই ভালো লাগেনা। পেঁয়াজু তৈরি করার পর ইফতার করে কিছু পেঁয়াজু রেখে দেই পরে খাওয়ার জন্য। কারণ মুচমুচে পেঁয়াজু খেতে এমনিতেই ভালো লাগে। তবে বাউলার ডালের পেঁয়াজু গুলো সব সময় একটু বেশি মুচমুচে হয় এজন্য খেতেও ভালো লাগে। যাইহোক চলুন আজকের রেসিপি শুরু করি।
বাউলার ডালের পেঁয়াজু তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ।
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| বাউলার ডাল | ২ কাপ |
| পেয়াজকুচি | আধা কাপ |
| কাঁচামরিচ কুচি | ৭/৮ টি |
| মরিচ গুড়ো | ১ চা চামচ |
| হলুদ গুড়ো | ১ চা চামচ |
| রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
| আদা বাটা | আধা চা চামচ |
| লবণ | ২ চা চামচ |
| জিরা গুড়া | ১ চা চামচ |
| সয়াবিন তেল | ভাজার জন্য |
রন্ধন প্রণালীঃ
প্রথম ধাপ |
|---|
প্রথমে আমি ডাল কয়েক ঘন্টার জন্য ভিজিয়ে রেখেছিলাম। তারপর ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে বেটে নিলাম।
 |  |
|---|
দ্বিতীয় ধাপ |
|---|
পেঁয়াজ এবং কাঁচা মরিচ কুচি করে কেটে নিলাম।
 |  |
|---|
তৃতীয় ধাপ |
|---|
বেটে রাখা ডালের মধ্যে পেঁয়াজকুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, হলুদ গুঁড়া, মরিচগুড়ো, লবন,জিরা গুড়ো, রসুন বাটা, আদা বাটা সবকিছু দিয়ে দিলাম।
 |  |
|---|
 |  |
|---|
চতুর্থ ধাপ |
|---|
সবগুলা মশলা উপকরণ একসাথে মাখিয়ে নিলাম। কড়াইতে তেল দিয়ে দিলাম। গরম হয়ে এলে এর মধ্যে পেয়াজু বড়া করে ধীরে ধীরে দিয়ে দিলাম। দুই পাশ ভালোভাবে ভেজে নিয়ে তেল ছাড়িয়ে তুলে নিলাম।
 |  |
|---|
 |  |
|---|
পরিবেশন |
|---|
এইতো তৈরি হয়ে গেল মজাদার এবং গরম গরম মুচমুচে পেঁয়াজু।
**
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
|---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
|---|
.png)
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গরম গরম পেঁয়াজু খেতে বেশ ভালোই লাগে। বিশেষ করে বিকেলের নাস্তায় পেঁয়াজু খাওয়া হয় মাঝে মধ্যে। পেঁয়াজু গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে আপু। খেতেও মনে হচ্ছে দারুণ হয়েছে। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও এককথায় চমৎকার হয়েছে। ধাপে ধাপে এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বিকেলে খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
@bristy দিদিভাই, রেসিপির ছবি গুলো দেখেইতো জিভে জল চলে এলো। আপনার দেওয়া পদ্ধতিতে আমি চেষ্টা করবো বানানোর।।
পেঁয়াজু আমার পছন্দের একটি খাবার ৷ বাইরে গেলে প্রায় পেঁয়াজু খাওয়া হয় ৷ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পেঁয়াজু তৈরির রেসিপি শেয়ার করেছেন , দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ অনেক সুন্দর এবং লোভনীয় লাগছে আপনার তৈরি রেসিপি ৷ ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
পেঁয়াজু খেতে আমার ভীষন ভাল লাগে। বাউলার ডাল আমি জানিনা তবে দেখে মনে হচ্ছে খেসারি ডাল। যাই হোক খুব সুন্দরভাবে পেঁয়াজু বানিয়ে রেসিপি শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
বাউলার ডালের পেঁয়াজু তৈরি করার দারুন একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের পেঁয়াজু গুলো যদি গরম গরম খাওয়া যায় তাহলে খুবই ভালো লাগে।
দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আসলে আপনার রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লাগে। খুবই সুন্দরভাবে ধাপে-ধাপে আমাদের সাথে শেয়ার করেন। যার মাধ্যমে রেসিপি আমরা শিখতে পারি।
উফ্ আপু! এই পেয়াজু দেখে নিজেকে আটকে রাখা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমার তো মনে হয় যারা যারা এই পোস্ট দেখেছে তাদের সবারই জিভ দিয়ে জল পড়েছে। হিহিহিহি। এমনি সময় বাড়িতে মা বানালে খাওয়া হয় এবং বাইরেও খাওয়া হয় অনেক সময়। কিন্তু এগুলো যে বাউলির ডাল দিয়ে বানানো হয় সেটা একদমই জানতাম না। খুব চমৎকার একটা উপস্থাপনা ছিল আপু।
পেয়াঁজু খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। ঠিকই বলেছেন আপু এটা বেশ মচমচে হয় তাই খেতে আরও অনেক বেশি ভালো লাগে। বাউলার ডাল দিয়ে আপনি আপনার আজকের পেঁয়াজু রেসিপিটি তৈরি করেছেন। নিশ্চয়ই খেতে খুব সুন্দর হয়েছিল ।প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। যা দেখে সহজেই রেসিপি তৈরি করা যাবে।
বাউলার ডালের পেঁয়াজু খেতে খুবই সুস্বাদ এবং মজাদার লাগে।বাউলার ডালের সাথে বিভিন্ন মসলাগুলো প্রস্তুত করে নেওয়ার বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।