ঈদ উপলক্ষে শপিং করা ও খাওয়া দাওয়ার কিছু মুহূর্ত।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১২/০৬/২০২৪) রোজ: বুধবার।
💞 শুভ রাত্রি 💞
দেখতে দেখতেই ঈদ সন্নিকটে চলে এসেছে। এদিকে মার্কেটে যাবো যাবো করে যাওয়া হচ্ছে না। কারণ আজ কয়েকটা দিন এতটাই গরম যে কারণে শপিং করতে বের হতেও ভয় লাগছে। এদিকে সময় তো আর থেমে থাকছে না। সময় তার গতিতে চলতে আছে এবং দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে। রাত পোহালে আর তিনদিন পরেই ঈদ। ঈদ মানেই শপিং করার একটা অন্যরকম বিষয়। তাই আজকে সকাল দশটার সময় বাসা থেকে রওনা হলাম শপিং করার জন্য। এরপরে গাংনী বাজারে গিয়ে প্রথমে স্মরণিকায় প্রবেশ করলাম। স্মরণিকার ভেতরে এন এস সু গার্ডেনে গেলাম। আমি মূলত জুতা গুলো এই এন এস সু গার্ডেন থেকে ক্রয় করে থাকি। তাই দোকানে প্রবেশ করেই উপরের এই ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। আপনারা উপরের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন বিভিন্ন কোয়ালিটির নতুন জুতা গুলো এসেছে।
এবার আপনারা উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমার দুই পায়ে দুই রকম জুতা পরা। প্রথম ফার্স্টে গিয়েই বা পায়ের জুতাটি আমার পছন্দ হয়। পরবর্তীতে এই জুতাটি আর নেয়া হলো না। পরবর্তীতে সেখানে আরো একটি কোয়ালিটির সু আমার পছন্দ হয়। আপনারা নিচে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এই এক জোড়া জুতা আমি ক্রয় করেছি। এটার মূল্য নিয়েছে আমার কাছ থেকে ৪৫০ টাকা।
এরপরে টাকা পরিশোধ করায় তারা আমার পছন্দের ক্রয় করা জুতোটি একটা শপিং ব্যাগে দিয়ে দেয়। আপনার উপরে ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন এন এস শো গার্ডেন এর একটি শপিং ব্যাগ। এরপরে জুতাটি নিয়ে ওখান থেকে চলে আসলাম। এরপরে আরো অনেক কিছু ক্রয় করার প্রয়োজন ছিল। তাই ভেবেছিলাম গাংনী থেকে ক্রয় না করে। এগুলো হাট বোয়ালিয়া থেকে ক্রয় করবো। আমার বাসা থেকে হাট বোয়ালিয়া এবং আপুর পাশে গাংনী এর দূরত্ব একদম সমান। তবে তুলনামূলকভাবে গাংনীর থেকে হাঁট বোয়ালিয়া বাজারে শপিং করে একটু ভালো লাগে। তাই আর দেরি না করে গাংনী থেকে সোজা বাসায় ব্যাক করলাম।
আজকের তুলনামূলকভাবে গরমটা অনেক বেশি । তারপরে বাসায় এসে আবার গোসল করলাম। গোসল করে রুমের মধ্যে গিয়ে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে একটু রেস্ট নিলাম। ঈদের দিন যেহেতু খুবই কাছে তাই ভাবলাম আজকেই সব কেনাকাটা শেষ করবো তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বিকেল বেলায় হাট বোয়ালিয়া যাবো। কেননা বিকেলের মুহূর্তে গরম থেকে কিছুটা হলেও বাচা যাবে। তাই বিকেল হতেই বাসা থেকে রওনা দিলাম হাঁটবোয়ালিয়া। আমি যখন মিনিবাসে করে হাট বোয়ালিয়া রওনা দি তখন উপরে যে ছবিটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটা আমার ফোনে ধারণ করি।
এরপর পাঁচটার সময় আমি হাট বোয়ালিয়াতে পৌঁছায়। এদিকে আবার সন্ধ্যার আগেই বাসায় ফিরতে হবে। তাই আর দেরি না করে মার্কেটে ঢুকে পড়লাম। মার্কেটে প্রবেশ করায় আমার একটি টি-শার্ট নজরে পড়ে। উপরে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সাদা রংয়ের একটি টি শার্ট ঝুলানো অবস্থায় আছে। তারপরে এটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি। উপরে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেই ছবিটি।
টি-শার্ট পছন্দ হওয়ায় দোকানে যে মামা ছিল তাকে বললাম এই টি-শার্টের আরো ভিন্ন কোয়ালিটি বের করেন। মানে কোয়ালিটি সিম থাকবে কিন্তু ভিন্ন কালার বের করতে বলেছিলাম। তাই তিনি আমাদের বেশ কয়েকটি কালার দেখালো। আমার সাথে আমার একটা ছোট কাকা গিয়েছিল। তাই সে বলল আমাকে কাকা তুমি যে কালার একটি শার্ট নিবা সেম একই কালারের আমারটা নিবা। প্রথমে আমার একটা নেভি ব্লু কালারের টি-শার্ট পছন্দ হলো। তারপরে দুইটা নেভি ব্লু টি শার্ট নিয়ে নিলাম। আর এ দুটি এক পাশে রেখে দিলাম। আমি বাসা থেকে প্ল্যান করেছিলাম দুটি টি-শার্ট ক্রয় করব তাই আরও একটি খয়েরি রঙের টি-শার্ট আমার পছন্দ হলো। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমার গায়ে একটি খয়েরি রঙের টি শার্ট। এরপরে মোট তিনটা টি শার্ট পছন্দ হলো। এরপরে সেগুলো পাশে রেখে প্যান্ট দেখলাম। প্যান্ট দেখে আর পছন্দ হলো না তাই নেওয়া হলো না। তাই তিনটা টি শার্টের দাম চেয়েছিল আমাদের কাছ থেকে ১৮০০ টাকা। অর্থাৎ ৬০০ টাকা পিস। পরে আমি ১৬০০ টাকা দিয়ে তিনটা টি ক্রয় করলাম। এর পরে তিনটা টি শার্ট এর টাকা দেওয়ার পরে আমাদের একটা শপিং ব্যাগে তিনটি টি শার্ট দিয়ে দিল। এদিকে গরমে আর বাচি না। কারণ মার্কেটে অনেক মানুষের ভিড়। আর এই সুযোগে প্রতিটা জিনিসের মূল্য অনেকটা বেশি। কেননা ক্রেতা অনেক বেশি হলে জিনিসের মূল্য এমনিতেই বেড়ে যায়। কিন্তু দাম যাই হোক । ঈদ বলে কথা শপিং তো করতেই হবে। তাই আজকে এভাবে কিছু শপিং ক্রয় করা হলো এখনো কিছু বাকি রয়ে গেছে। সেগুলো অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই পূরণ করে নিবো।
এরপর এই শপিং করে মার্কেট থেকে বের হয়ে তাও মনের মধ্যে একটা অশান্তি লেগেছিল। কেননা গরমের চাপ খুবই বেশি। তাই ভাবলাম একটু ঠান্ডা শরবত খাওয়া যাক। কেননা ঠান্ডা শরবত খেলে গরম থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে সাথে বেশ উপকার হবে। ত দুইজন ছিলাম তাই দুইটি ঠান্ডা খেয়ে নিলাম। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে পানির ফিল্টার। আর এতে খুব ঠান্ডা পানি আর রয়েছে। তাই ঠান্ডা পানির শরবত টা খেয়ে সত্যি বেশ ভালো লেগেছিল।
এদিকে কেনাকাটা প্রায় শেষ। তাই ভাবলাম এবার বাজারের মধ্যে গিয়ে কিছু ঝাল মুখ করা যাক। তাই বাজারে গিয়ে ১০০ গ্রাম বড়া ক্রয় করেছিলাম। বড়া খাওয়ার মুহূর্তে উপরের এই ফটোগ্রাফি গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে সন্ধ্যা হয়ে গেছে তারপরেও মার্কেটে চাপ কমেনি। আমার মনে হচ্ছিল যত সন্ধ্যা হচ্ছে ততই মার্কেটে ভিড় জমছে। কেননা এই গরমের কারণে কেউ দিনের বেলায় শপিং করতে বের হয়নি । তাই সন্ধ্যা হতে সবাই বেরিয়ে পড়েছে। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে গেছে বাসায় ফিরতে হবে। তাই আর দেরি না করে খুব দ্রুত একটি মিনি বাসে করে বাসায় ফিরলাম।
টেবিল-০১ | টেবিল-০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
ঈদ উপলক্ষে শপিং করতে গেছেন এবং সেখান থেকে বেশ অনেক কিছু ফটো ধারণ করেছেন। আপনার আজকের এই সুন্দর একটি ব্লগ দেখে বেশ ভালো লাগলো, অলরেডি আপনি ঈদের মার্কেট করে ফেলেছেন জেনে আরো ভালো লাগলো। আশা করব ঈদের দিন আপনার খুবই আনন্দে কাটবে। তবে এই বাজারটা তেমন আমার একটা পরিচিত নয়। অপরিচিত বাজারের কিছু দৃশ্য দেখতে পারলাম আপনার ব্লগের মাধ্যমে।
অবশ্যই আপু ঈদ মানে আনন্দ আর এ আনন্দের দিনে খুশি থাকাটাই হবে সবচেয়ে ভালো। ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ঈদের আগে আপনার শপিং এর অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার কেনাকাটার পছন্দ এবং দামের বিবরণও খুবই সাহায্যকারী। ঈদের দিন আপনার নতুন জুতা এবং টি-শার্টগুলো পরে আপনাকে নিশ্চয়ই দারুণ লাগবে। আশা করি ঈদের দিন আপনার খুব আনন্দে কাটবে। শুভেচ্ছা রইলো।
ভাইয়া আনন্দের দিন কাটানোর জন্য মূলত কেনাকাটা করেছি ধন্যবাদ।
অবশেষে আপনিও ঈদের কেনাকাটা শেষ করে ফেললেন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এখন জিনিসের যে দাম তাতে তো আপনি তো দেখছি কম দামের মধ্যেই ১৬০০ টাকা দিয়ে তিনটা গেঞ্জি কিনে ফেলেছেন। খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখছি ঈদের কেনাকাটা করার শেষে।
ধন্যবাদ আপু। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কিছুদিন আগে আমিও একটা গেঞ্জি কিনতে পেরেছি। যাই হোক ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে দেখে খুবই ভালো লাগলো। আজকের কেনাকাটা একটু আগে থেকে করতে পারলে খুবই ভালো হয়। আর এদিকে তো ঈদের দিন চলে এসেছে। আশা করি ঈদের দিন খুব ভালো কাটবে। রোজার ঈদে কিন্তু একসাথে একই ঈদের ময়দানে ছিলাম। এবার হয়তো হচ্ছে না। ইনশাল্লাহ পরবর্তীতে একত্রে আবার সালাত আদায় করতে পারবো।
কেনো ভাইয়া? এই ঈদে আপনি কোথায় থাকবেন এবং ঈদ উদযাপন কোথায় করবেন?
ওরে বাবা আপনি তো দেখছি একসাথে ঈদের কেনাকাটা আবার খাওয়া-দাওয়া দুটোই শেষ করে ফেলেছেন। অনেকদিন থেকে ভাবছি ঈদে কিছু কেনাকাটা করবো কিন্তু সময়সূচি কোনটাই হচ্ছে না তাই কিছু কিনতে পারছি না। শনিবারে একবার মার্কেটে যেতে হবে।
আগামী শনিবারে আপনি মার্কেটে যাবেন বিষয়টা জানতে পেরে খুশি হলাম। আশা করি এ বিষয়ে আপনার একটি পোস্ট দেখতে পাবো। ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আসলে ঈদ চলে আসলেই শপিং একটা ধুম পড়ে যায়।তবে, ঈদুল ফিতরের থেকে ঈদুল আজহার মধ্যে একটু কম কেনাকাটা করে মানুষ। আপনি দেখছি ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেশ কিছু জিনিস কেনাকাটা করেছেন। আপনার কেনাকাটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।আর কেনাকাটা শেষে অনেক কিছু খাবার খেয়েছেন, এটা বেশ ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া ঈদ মানেই শপিং। ধন্যবাদ।
ঈদের শপিংটা তাহলে আপনি করেই নিয়েছেন, এটা দেখে সত্যি খুবই ভালো লেগেছে। আপনার কেনাকাটা করার মুহূর্তটা আমার কাছে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। আসলে ঈদের আনন্দটা সব থেকে আলাদা হয়ে থাকে। এই সময় শপিং না করলে তো একেবারেই ভালোই লাগেনা। আপনার কেনা জুতো কিন্তু অনেক সুন্দর। নেভি ব্লু কালারটা সত্যি অনেক সুন্দর। এই কালারের টি-শার্ট ও খুব সুন্দর লাগে। আপনার কাটানো মুহূর্তটা এত সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন নেভি ব্লু টি শার্টটা অনেক সুন্দর দেখেই পছন্দ হয়েছিল তাই নিয়ে নিলাম। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে উৎসাহিত দেওয়ার জন্য।