কক্সবাজার ভ্রমণ [পর্ব:-১১] ~ " সকলে মিলে সমুদ্রসৈকতে অবস্থান "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে এই ভ্রমণের অন্য পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে এর আরো একটি পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই ভ্রমণের সবগুলো পর্ব খুব ভালোভাবে গুছিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
এই ভ্রমণের পর্ব একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে যাচ্ছি৷ আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে আমি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ হয়তো @bristy1 আপু ও @nevlu123 ভাইয়া ওনাদের মাধ্যমে আমাকে ওনাদের পোস্টে অনেকেই দেখেছেন। তাই আজকে আমি আমার নিজের এই পোস্টের একাদশ পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি৷ আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আশা করি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে সবকিছু দেখানোর।
আজকে আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ এর পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। আজকে আমি একেবারে ভিন্ন কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ পূর্ববর্তী পর্বগুলোতে আপনারা দেখেছিলেন যে আমরা কক্সবাজারে অবস্থান করেছিলাম এবং বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করার কিছু মুহূর্ত আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম৷ আজকে শেয়ার করব যখন আমরা সেখানে অবস্থান করি এবং বিকেলবেলা যখন বের হয়ে যাই৷ তখনকার কিছু মুহূর্ত এবং সেখানে গিয়ে অনেক সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করি যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব৷ প্রথমেই আমরা বাসা থেকে বের হয়ে যাই৷ বাসা থেকে অল্প একটু সামনে গেলে যে সমুদ্র সৈকত রয়েছে সেটি দেখা যায় এবং সেই সমুদ্র সৈকতে অনেক মানুষ ছিল৷ আমরা যখন বিকেলবেলা গিয়েছিলাম তখন এত বেশি পরিমাণে মানুষ ছিল যে একেবারে বলার বাইরে৷ আমরা একটু বিকেল করে গিয়েছিলাম যাতে করে মানুষজন কম থাকে৷ তবে সেখানে গিয়ে দেখি তো মানুষজনের অভাব নেই৷ আরও সেদিন বন্ধের দিন ছিল৷ ফলে সকলে সেখানে এসেছিল এবং সকলে সেখানে অনেক মজা করছিল। আমরাও সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সমুদ্র সৈকতের যে সমুদ্রের ঢেউ রয়েছে সেগুলো দেখছিলাম।
এরপর আমরা একেবারে ক্লান্ত থাকার কারণে আর সামনের দিকে এগোইনি৷ যখন আমরা বালুর উপর দিয়ে হাঁটছিলাম তখন অনেক ভালো লাগছিল৷ বালির উপর দিয়ে হাঁটতে অনেকটা দূর পর্যন্ত হেঁটে চলে গেলাম৷ যখন সবগুলো আমরা সেখানে অনেকগুলো মানুষকে এখানে একসাথে দেখতে পাই তখন সেই মুহূর্ত একেবারে অন্যরকম ছিল৷ আমরা সকলেও সেখানে গিয়েছিলাম এবং আমাদের মত অনেকেই এরকম গ্রুপ আকারে সেখানে ছিল। আবার অনেকে একাও ছিল। একইসাথে সেখানকার বাসিন্দারাও সেখানে হাঁটাচলা করছিল৷ সেখানে যখন আমরা গিয়েছিলাম তখন একটু হাঁটাচলা করার পরেই সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছিল৷ সন্ধ্যা হয়ে যাওয়া পর পর্যন্ত আমরা সেখানে বসে ছিলাম এবং ঘোরাঘুরি করার পরে কিছু খাওয়া দাওয়া নাস্তা করে নিলাম৷ সেখানকার যারা রয়েছে তারা এদিক সেদিনে খেলা করছিল৷ তারা যেভাবে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছিল সে বিষয়টিও মনের মধ্যে ধাক্কা দিয়েছিল৷ আসলে অনেক মানুষ অনেক ধরনের কাজ করে তাদের অতিবাহিত করে৷
এরপর আমরা সামনের দিকে হাঁটতে থাকি। হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির মধ্যে সকলের পা একেবারে ঢুকে যাচ্ছিল৷ সেই মুহূর্ত একেবারে অন্যরকম ছিল৷ আগে কখনো এরকম বালির মধ্যে হাটা হয়নি৷ যখন প্রথম বালির উপর দিয়ে হাঁটছিলাম তখন সকলের কাছে অনেক মজা লাগছিল। সকলে খুব সুন্দরভাবে বালির উপর দৌড়াদৌড়ি করছিল৷ আর নিভৃতের কথা তো আর কি বলব৷ সে তো একেবারেই সেখানে গিয়ে খুশি হয়ে গিয়েছিল৷ কারণ সে আগে কখনোই এরকম বালির মধ্যে হাটেনি৷ কখনো তাকে বালির মধ্যে হাঁটার জন্য কেউ নিয়েও যায়নি৷ যখন সে কক্সবাজারের বালির উপর দিয়ে হাঁটছিল৷ তখন সে যেমন মজা পাচ্ছিল আমরা সকলে অনেকটা মজা পেলাম৷ এরপর হাটতে হাঁটতে আমরা আবার রাস্তায় উঠে পড়লাম এবং বাসায় চলে গেলাম। অনেকটাই কান্ত ছিলাম সবাই। তাই তেমন একটা ঘুরতে ইচ্ছা করছিল না। তাই সকলে মিলে আবার বাসায় চলে গেলাম৷ আজকে এই পর্যন্তই৷ পরবর্তীতে আমি আপনাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ১৬.০৬.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1802164802523209755?t=5QPm2ZAXLoNZvilD9QjM8g&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভালোবাসা সবসময় আমাকে সাপোর্ট দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য।
অনেকদিন পর আপনার কক্সবাজার ভ্রমণের পর্বটি দেখতে পেলাম। হয়তোবা এর আগে আপনি শেয়ার করেছেন কিন্তু আমি দেখি না। তবে আজকের পর্বটি দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। বালুর উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আপনারা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন আর বাসায় চলে যাওয়ার কারণে বেশি একটা ঘুরতে পারেননি। তবে আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
চেষ্টা করব অতি তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করার।
আপনার আজকের ব্লগটি পড়ে অনেক ভাল লেগেছে। সত্যিই আপনার অনেক আনন্দ করেছেন সবাই মিলে কক্সবাজার ঘুরতে এসে। তবে ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে বেশ আনন্দ এবং এনজয় করতে পেরেছি আমিও। আর অনুভূতিগুলো অসাধারণ ছিলো আপনার।
খুব খুশি হলাম আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে। আপনিও ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বেশ আনন্দ পেয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো ।
আপনাদের কক্সবাজার ভ্রমণ পোস্ট করে অনেক কিছু জানতে পারলাম ভাইয়া। আমারও অনেক দিনের ইচ্ছে রয়েছে এই জায়গাতে ভ্রমণ করতে যাব। সেখান থেকে অনেক অনেক ছবি ধারণ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। খুব সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করেছেন।
সময় করে সেখানে যেতে পারেন। খুব সুন্দর একটি জায়গা।
আপনি আপনার ভাইয়া ও আপুর সাথে কক্সবাজারের ঘুরতে গেছেন, এ বিষয়ে আমি আপনার অনেকগুলো পোস্ট পড়েছি। আজকে আমি আপনার ১১ তম পোস্ট পড়লাম। আজকে দেখলাম আপনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অনেকগুলো ফটোগ্রাফি একসাথে শেয়ার করেছেন।আপনারা যখন বিচে গিয়েছিলেন তখন আশেপাশে প্রচুর মানুষ ছিল। আসলে তখন মৌসুম ছিল। আপনার অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
চেষ্টা করেছি কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার ।
সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। আমার তো সমুদ্র সৈকতে গেলে ফিরে আসতেই ইচ্ছে করে না। সমুদ্রের গর্জন শুনতে এবং ঢেউ দেখতে যে কি ভালো লাগে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। যাইহোক আপনারা সমুদ্র সৈকতে দারুণ সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে, কক্সবাজার ট্যুরে গিয়ে বেশ মজা করেছেন আপনারা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব খুশি হলাম আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।