কক্সবাজার ভ্রমণ [পর্ব:-০৩] ~ " জাম্বুরী পার্ক আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম এ আরো কিছু সময় "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ । আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম নতুন আরেকটি পোস্ট। আজকে আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণের পর্ব নিয়ে চলে আসলাম।
এই ভ্রমণের পর্ব একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে যাচ্ছি৷ আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে আমি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ হয়তো @bristy1 আপু ও @nevlu123 ভাইয়া ওনাদের মাধ্যমে আমাকে ওনাদের পোস্টে অনেকেই দেখেছেন। তাই আজকে আমি আমার নিজের এই পোস্টের তৃতীয় পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি৷ আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আশা করি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে সবকিছু দেখানোর। তাহলে চলুন শুরু করা যাক৷
আজকে আবার আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণের পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম৷ আজকে এর তৃতীয় পর্বের মধ্যে আমি আপনাদের মাঝে আরো কিছু ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবো৷ এই ভ্রমণের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের মধ্যে আমি আপনাদের মাঝে অনেক কিছু ফুটিয়ে তুলেছিলাম৷ যা আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লেগেছে৷ তাই আজকে এর তৃতীয় পর্ব নিয়ে চলে আসলাম৷ আশা করি আজকের এই পর্বটি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ গত পর্বে আপনারা জাম্বুরি পার্কে অবস্থান করার কিছু মুহূর্ত দেখেছিলেন৷ আজকে সেখানে ফুচকা খাওয়ার যে মুহূর্ত আমরা উপভোগ করেছিলাম সেটি আপনাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব৷
এখানে আমরা সকলে অনেক ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এই পুরো পার্কের সবগুলো গেইট একটির পর একটি হাটাহাটি করলাম৷ খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করলাম৷ সেখানে অনেকটাই রোদ ছিল৷ ধীরে ধীরে যখন সন্ধ্যা নেমে আসছিল তখন কিছুটা ভালো লাগছিল৷ একইসাথে যখন সে পার্কের সবগুলো সৌন্দর্য উপভোগ করা হয়ে গেল এরপর সে পার্ক থেকে বের হয়ে গেলাম৷ সেখানে যে দোকানদাররা ছিল সেই দোকানদাররা খুব ভালোভাবে ডাকছিল যাতে করে তাদের দোকানগুলোতে নাস্তা করে৷ এরপর আমরা একটি কফি শপে প্রবেশ করলাম৷
একটি কফি শপে প্রবেশ করার পরে সেখানে খুব সুন্দর ভাবে সবকিছু ডেকোরেশন করা হয়েছিল৷ সেখানে একটি টেবিলে গিয়ে সকলে মিলে বসে পড়লাম এবং সেখানকার যে ফুচকা ছিল সেই ফুচকা অর্ডার করে দিলাম৷ সে ফুচকা অর্ডার দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সে ফুচকা চলে আসলো৷ সকলে ফুচকা খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলাম৷ সেখানে অনেক মানুষই ছিল এবং অনেকে অনেক ধরনের খাবার খাচ্ছিল৷ তার মধ্যে বেশিরভাগ মানুষজনই এখানকার ফুচকা খেতে দেখা যাচ্ছিল৷
এরপর আমরা ফুচকা খাওয়া শুরু করলাম৷ একেবারে অসাধারণ ও সুস্বাদু ছিল৷ আমাদের এলাকার যে সকল ফুচকা গুলো রয়েছে সেই ফুচকা থেকে এগুলো এতটাই সুস্বাদু যা মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না৷ আমাদের এখানে যে সকল ফুচকা দেওয়া হয় সেখানকার ফুচকা থেকে এর পরিমাণটা অনেক বেশি এবং স্বাদতো বেশি বটেই৷ এখানে ফুচকা খাওয়ার পরে এতটাই ভালো লাগলো যে আবার ফুচকা অর্ডার দিয়ে দিলাম এবং সকলে ফুচকা খাবার পরে সেখান থেকে বের হয়ে পড়লাম৷
এরপর সকলে মিলে সেখান থেকে বের হয়ে আবারো পার্কের ভেতরে প্রবেশ করলাম৷ সেখানে ধীরে ধীরে সকল লাইটগুলো জানানো হচ্ছিল৷ লাইট জানানোর পর পর সেখানে মানুষের আনাগোনা একটু বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ আবার আমাদের মত যারা অনেক আগে এসেছিল তাদের মধ্যে অনেকেই সেখান থেকে চলে যেতে শুরু করেন৷ আজকে এই পর্যন্তই৷ পরবর্তীতে আবারও এই পার্কে উপভোগ করার কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করব৷
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
মোবাইলের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ |
মডেল | এ ১৩ |
ক্যাপচার | @bijoy1 |
অবস্থান | ফেণী, বাংলাদেশ |
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
https://twitter.com/bijoy1__2024_SB/status/1779716108683227369?t=iH8jsEglkOlywbUHic7GAA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সব সময় আপনার এই মুল্যবান সাপোর্ট আমাকে কাজ করার প্রতি অনেক অনুপ্রাণিত করে।
চট্টগ্রামের কাটানো কিছু সময় আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। কফি শপে প্রবেশ করে আপনারা ফুচকা খেয়েছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক আনন্দের সাথে সময়টা কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্যটি পড়ে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য৷
বেশ ভালোই লাগছে ভাইয়া কক্সবাজারের এমন পর্ব ভিত্তিক আলোচনা। এর মধ্য দিয়ে আমরা আপনাদের কক্সবাজার ভ্রমন পর্বের পুরো গল্পটিই জানতে পারবো। তবে জাম্বুরি পার্কের ফুচকার পরিবেশন দেখেই বেশ বুঝা যাচ্ছে যে খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। অপেক্ষায় রইলাম আগামী পর্ব পড়ার।
খুবই ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্যটি পড়ে। পরবর্তীতে আরো কিছু পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করবো৷
জাম্বুরি পার্ক ভ্রমণের আগের পর্ব গুলো দেখেছিলাম। আজকের ৩ নং পর্ব দেখে ভালো লাগলো। ঠিক তাই, এই পার্কের বেশ কয়েকটি গেট রয়েছে। আপনার সবগুলো গেটের আশেপাশে হাটাহাটি করেছেন। তারপর সবাই মিলে ফুচকা খেয়েছেন। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। ফটোগ্রাফি গুলোও ভালো ছিল।
একদম ঠিক বলেছেন। এই পার্কে সবগুলো গেইট আমার ঘোরা হয়ে গিয়েছে এবং ঘোরার পরে অনেকটা ক্লান্ত ছিলাম তাই কিছুটা নাস্তা করে নিলাম।
আপনারা পার্কের মধ্যে ঘুরোঘুরি করেছেন এবং একই সাথে খাওয়া-দাওয়া করেছেন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। ঘোরাঘুরি করার শেষে খাওয়া-দাওয়া করলে যেন মনটা ভালো হয়ে যায়। আর আপনারা তো দেখছি অনেক লোভনীয় ভাবে ফুচকা খেয়েছেন।
একেবারে ঠিক বলেছেন৷ এতক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পরে খাওয়া দাওয়া করলে মনটা এমনিতে অনেক ভালো হয়ে যায়৷
অনেক সুন্দর একটি ভ্রমণের পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনার পোষ্টের লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে পার্কের পরিবেশটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। সুন্দর পার্ক ভ্রমণের সাথে সাথে বেশ সুস্বাদু খাবার খেয়েছেন আপনারা। যাহোক অনেক সুন্দর একটি ভ্রমণের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ভালো আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে৷ খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার মন্তব্য৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
জাম্বুরী পার্ক ভ্রমণের তৃতীয় পর্বটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাই। যদিও এর আগে দুটি পর্ব আমি পড়িনি, তবে এই পর্বটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি, বৃষ্টি আপু আর নেভলু ভাইয়ারা একসাথে অনেক মজা করেছেন। ফুচকা গুলো আসলেই অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে আর খেতেও দেখছি খুবই সুস্বাদু ছিল। যা দেখে জিভে জল চলে আসছে। সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনার সুন্দর মন্তব্য আমার এই পোস্টে ফুটিয়ে তোলার জন্য।
আপনার কক্সবাজার ভ্রমণ দ্বিতীয় পর্বে চট্টগ্রাম জাম্বুরী পার্ক আগ্রাবাদে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। আজকে দেখলাম সেখানের এক রেস্টুরেন্টে বসে ফুচকা খেলেন। সবাই কে নিয়ে খুব সুন্দর একটি মূহর্ত ক্যামারা বন্দি করলেন। এই গুলো স্মৃতি হিসাবে থাকবে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য৷ পরবর্তীতে আরো অনেক কিছু দেখানোর চেষ্টা করবো৷