কক্সবাজার ভ্রমণ [পর্ব:-১৩] ~ " বিখ্যাত রাজা চা খেলাম "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে এই ভ্রমণের অন্য পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে এর আরো একটি পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই ভ্রমণের সবগুলো পর্ব খুব ভালোভাবে গুছিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
এই ভ্রমণের পর্ব একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে যাচ্ছি৷ আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে আমি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ হয়তো @bristy1 আপু ও @nevlu123 ভাইয়া ওনাদের মাধ্যমে আমাকে ওনাদের পোস্টে অনেকেই দেখেছেন। তাই আজকে আমি আমার নিজের এই পোস্টের ত্রয়োদশ পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি৷ আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আশা করি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে সবকিছু দেখানোর।
আজকে আবার এই ভ্রমনের আরো একটি পর্ব নিয়ে চলে আসলাম। আপনারা সকলেই জানেন যে আমরা সকলে মিলে কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সেই কক্সবাজার ভ্রমণের পর্ব আমি আপনাদের মাঝে ধীরে ধীরে শেয়ার করে যাচ্ছি। আপনারা সকলেই ভ্রমণের পর্বগুলো অনেক উপভোগ করছেন৷ তাই আজকে আরও একটি পর্ব নিয়ে চলে আসলাম। আজকের দিনের মুহূর্তটা একেবারে অন্যরকম এবং সেই মুহূর্ত আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো৷ তাহলে চলুন শুরু করা যাক৷ প্রথমে গতদিনের কথা কিছু বলে নেওয়া যাক। আমরা যখন বিচ থেকে ঘুরে আসার সময় আচার নিয়ে বাসায় চলে এসেছিলাম সেই আচারগুলো বাসায় অনেক মজা করে খেয়েছিলাম। একইসাথে বাসায় আসার পূর্ববর্তী সময় আমরা অনেকক্ষন বাইরে ছিলাম এবং বাসায় এসে সকলে ফ্রেশ হয়ে নেওয়ার পরে আবার বাইরে চলে গেলাম। বাইরে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে আবার বাসায় চলে আসলাম। এরপর দিন আমরা সকলে প্রস্তুতি নিলাম যে আমরা বাইরে ঘুরার জন্য যাব। তখন সেখানে আমরা একটি বিচের পাশের যে সকল দোকানগুলো রয়েছে সেখানে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে দেখি যে বিখ্যাত রাজা চা রয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের দোকান রয়েছে। সেখানে যে ভিন্ন ধরনের শপটি রয়েছে সেখানে রাজা চা দেখার কারণে একটু আগ্রহ জন্ম নিল। সেখানে যে ফটোগুলো ছিল সেখানেও খুব সুন্দরভাবে অনেক কিছুই দেখানো হয়েছিল৷ তাই সেখানে প্রবেশ করলাম চা খাওয়ার জন্য৷
এরপর আমরা সকলে মিলে ভিতরে প্রবেশ করলাম এবং ভিতরে গিয়ে অনেক কিছুই দেখতে পাই এবং সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু জিনিস ছিল যা একেবারে অন্যরকম ছিল। একইসাথে চারপাশে তাকিয়ে দেখি যে অনেক বড় বড় যে সকল ব্যক্তি রয়েছেন তারা এই রাজার তৈরি করার চা খেয়েছিলেন। আমাদের দেশের যে স্পিকার রয়েছেন তিনিও এই রাজার বানানো চা খেয়েছিলে। একইসাথে এখানে অন্যান্য কিছু বড় বড় ব্যক্তিদেরকে দেখানো হয়েছে এবং ওই রাজাকেও দেখানো হয়েছিল যে এই চা তৈরি করেছে এবং সে অনেক জায়গা থেকে অনেক বড় বড় পুরস্কার অর্জন করেছে৷ সব কিছু এখানে খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। একই সাথে সেখানে আশেপাশে অনেকগুলো দোকান ছিল যে সকল দোকানে কম মানুষ ছিল না ৷ তবে এই রাজা চায়ের দোকানে যেন মানুষের কোন কমতি নেই৷ আমরা ভেতরে গিয়ে বসে থাকাকালীন সেখানে বাইরে দেখি অনেক মানুষ এসেছে এবং তারা এখানে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছে এবং তারা অনেকেই সেখানে ছিল৷
এরপর আমাদের সকলের জন্য চা অর্ডার দিয়ে দিলাম এবং সেখানে চা অর্ডার দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে আমাদের চা চলে আসলো৷ সেই চা খুব সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করা হয়েছিল। এটি তৈরি করার পদ্ধতি আমি অনেক জায়গায় দেখেছি৷ তবে বাস্তবে এরকম একটি সুন্দর পদ্ধতি নিজ চোখে দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দর ভাবে তারা এটি তৈরি করেছিল এবং ডেকোরেশনও অসাধারণ হয়েছিল। পরবর্তীতে যখন আমি এটি খেয়ে নিলাম তখন আমার নিজের কাছে অনেকটাই ভালো লাগছিল৷ এরপর যখন আমাদের কাছে চা চলে আসে এবং এই চা খাওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করলাম তখন নিজের কাছে অনেকটা ভালো লাগছিল৷ এরকম সুস্বাদু একটি চা খেতে পেরে খুবই ভালো লাগছিল৷ একইসাথে এই চা খাওয়ার মুহূর্ত একেবারে অন্যরকম ছিল৷ আগে কখনো আমরা এরকম চা খাইনি এবং এই চায়ের যে নাম রয়েছে তাও একেবারে ইউনিক ছিল। এরকম নামের চা কখনোই খাওয়া হয়নি। আর কখনো এই চা সম্পর্কে জানাও ছিল না। এই প্রথম যখন আমরা এটি সম্পর্কে জানতে পারি এবং এটি খাওয়ার জন্য একটু আগ্রহ জন্ম নিলো এবং এটি খাওয়ার পরে যত বেশি পরিমাণে সুস্বাদু মনে হচ্ছিল তা একেবারে অন্যরকম ছিল৷ আপনারা যদি কখনো সেখানে যান তাহলে অবশ্যই এই চা ট্রাই করে দেখবেন৷ খুবই সুস্বাদু একটি চা ছিল। আজকে এই পর্যন্তই। পরবর্তী পর্বে আবারো দেখা হবে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ৩০.০৬.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1807253067462840831?t=rt6HIMAG0RuYSeVQRrw9ew&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভালোবাসা সবসময় আপনার প্রতি আমাকে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য৷
ভাইয়া আপনার বিখ্যাত রাজা চা খাওয়ার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। যেখানে দেশের রাষ্ট্রপতি চা খেয়েছে,সেটা তো অবশ্যই বিখ্যাত। আর শপটাও রাজার বাদশাদের বিভিন্ন জিনিষ পত্র দিয়ে সাজিয়েছে। শপটা দেখে ভালোই লেগেছে। ধন্যবাদ।
অনেক খুশি হলাম আপনার এই মন্তব্য পড়ে৷ আসলে অনেক ইউনিক কিছুই তারা এখানে রেখেছে৷
আপনার কক্সবাজার ভ্রমণের আরো একটা পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আজকের বিখ্যাত রাজা চা খাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে। চা টা দেখতে তো খুবই লোভনীয় লাগছে। বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ডেকোরেশন করেছে যা দেখতেও ভালো লাগছে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক ভালো লাগলো আপনার এই মন্তব্য পড়ে৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
বাহ কক্সবাজারে এসে খুব সুন্দর সুন্দর সময় কাটালেন আপনারা। প্রতিনিয়ত কক্সবাজারের ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করে যাচ্ছেন বেশ ভালো লাগে পড়তে। আমার নিজেরও ভালো লাগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যেয়ে সময় কাটাতে। কারো কাছ থেকে যদি কক্সবাজারের কোন ভ্রমণ পোস্ট দেখি আগ্রহ নিয়ে পড়ে থাকি। আপনারা তো বিখ্যাত রাজা খেলেন। আর ভিতরে প্রবেশ করে খেলেন চা। চায়ের কালার গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন আপনারা।
খুব সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার নিজের এলাকার কথা অন্যদের কাছ থেকে পড়তে ভালো লাগে শুনে খুব খুশি হলাম৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুকলে এখন নানারকম বিখ্যাত চা দেখা যায়। আপনি কক্সবাজার ভ্রমণ করতে গিয়ে বিখ্যাত রাজা চা খেয়েছেন এবং সেই চা খাওয়ার অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার পোস্টের মাধ্যমে চা তৈরি করা নানা রকম সরঞ্জাম দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক খুশি হলাম আপনার এই মন্তব্য পড়ে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুশি হয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।