গল্প:- ছোটবেলার ভুতের গল্প ( প্রথম পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। আর কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো আমাদের নিজেরাও জেনে রাখা ভালো। আর আমি আজকে আপনাদের মাঝে আমার এক বড় ভাইয়ের সাথে ঘটে যাওয়া একটি অলৌকিক ঘটনা শেয়ার করব। এরকম কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো আমরা অনেকেই বিশ্বাস না করলেও আসলে কিন্তু এই বিষয়গুলো আমাদের সাথে ঘটে যায়। যাইহোক আশা করি আবার আজকের এই গল্পটি শুনে আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
আমাদের পরিবারের আমার বড় চাচাতো বোনের হাজবেন্ডের কাছ থেকে শোনা এই গল্প। চাচাতো বোন আমাদের পরিবারের সবার বড় মেয়ে ছিল। তাই চাচাতো বোনের হাজবেন্ড ও আমাদের পরিবারের সবার বড় ভাইয়া অথবা দুলাভাই ছিল। আমাদের এদিকে বড় বোনের হাসবেন্ড কে অনেকেই দুলাভাই বলে। কিন্তু আমরা বড় বোনের হাসবেন্ড হলেও তাকে ভাইয়া বলতাম সবাই। আগেকার দিনে প্রতিটি মানুষের ঘরে টেলিভিশন থাকতো। এখনো প্রায় মানুষের ঘরে এই টেলিভিশন রয়েছে। আমাদের এদিকে টেলিভিশন বললেও কিছু কিছু মানুষ কিন্তু টিভি বলতো।
আমরা নিজেরাও ছোটবেলায় টেলিভিশনকে অনেকবার টিভি বলতাম। আগে যখন কারেন্ট থাকতো না প্রতিটি ঘরে কিন্তু সবাই বসে বেশ ভালোভাবে আড্ডা দিত। কেউ ছাদে গিয়ে আড্ডা দিত আবার কেউ বাহিরে বিছানা করে বসে একসাথে আড্ডা দিত। এখন কিন্তু কারেন্ট চলে গেল এরকম সবাইকে একসাথে আড্ডা দিতে দেখা যায় না। কারণ ছোট বড় সবার সাথেই এখন ফোন থাকে। তাই যখনই এই ছোটবেলার কিছু কাটানো সুন্দর কিছু মুহূর্ত মনে করে তখন কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আমি চাই এখনো সবার মাঝে এই ছোটবেলা স্মৃতিগুলো বেঁচে থাকুক।
যাইহোক তাহলে চাচাতো বোনের হাজবেন্ডের কাছ থেকে শোনা গল্পটি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আসলে আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমরা সবাই কারেন্ট থাকলে একসাথে বসে টেলিভিশন দেখতাম। কারণ টেলিভিশন দেখতে তখন কিন্তু বেশ ভালো লাগতো। আর একদিন আমার চাচাতো বোনের হাজবেন্ড ও আমাদের সাথে বসে টেলিভিশন দেখতে লাগলো। কারণ ভাইয়া যখনই আমাদের বাড়িতে আসতো তখনই আমাদের সাথে অনেক মজা এবং হাসিখুশি ভাবে কথা বলতো। একদিন যখন আমরা সবাই একসাথে বসে টেলিভিশন দেখতে লাগলাম তখন হঠাৎ করে কারেন্ট চলে গেল।
তখন আমরা প্রায়ই অনেকটাই ছোট ছিলাম। আমরা চার পাঁচ জন চাচাতো ভাই বোন একসাথে মিলে ভাইয়াকে বলতে লাগলাম। কারেন্ট যখন চলে গিয়েছে আপনি তাহলে আমাদের আজকে গল্প শোনান। তখন ভাইয়া ও হাসতে হাসতে বল আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে তোমাদেরকে আজকে একটি আমার ছোটবেলায় ঘটে যাওয়া গল্প বলবো। এমনিতে ভাইয়া যখনই আমাদের বাড়িতে আসতো তখনই আমাদেরকে অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প শোনাত। তখন আমরা সবাই চুপ করে বসে থাকলাম। আর ভাইয়া গল্প শুরু করল।
ভাইয়া বলতে লাগলো ছোটবেলায় ভাইয়াদের দাদুর বাড়ির পাশেও নাকি ছোট্ট একটি নদী ছিল। ছোটবেলায় এমনিতেই সবাই খাল বিল নদীগুলোতে অনেক মাছ ধরত। তখন ভাইয়া কিন্তু তার আব্বুর সাথে নাকি মাছ ধরতে যেত। সন্ধ্যার পরে একটু বেশি নাকি ওখানে মাছ পাওয়া যেত। তাই তারা লাইট নিয়ে তখন মাছে ধরতে যেত। প্রায় সময় ভাইয়া তার বাবার সাথে এভাবেই মাছ ধরে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসতো। কিন্তু কিছুদিন ধরে ভাইয়া আর ভাইয়া বাবা লক্ষ্য করল তারা মাছ ধরে ঝুড়িতে রাখলেও কিন্তু তাদের মাঝে গুলো বাড়িতে নিয়ে যাবার পরে আর দেখা যায় না।
এভাবেই বেশ কয়দিন কেটে গেল। একই রকম ভাবে প্রায় অনেকদিন তারা মাছ ধরলো কিন্তু বাড়িতে নিয়ে যাবার পরে তাদের মাছগুলো ঝুড়িতে আর থাকে না। তখন একদিন ভাইয়ার বাবা আর তার মা বসে চিন্তা করতে লাগলো তারা কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে প্রচুর মাছ পায়। কিন্তু বাড়িতে ঝুড়িটা কিন্তু খুব যত্নে নিয়ে আসে। কিন্তু তাও তাদের মাছগুলো কোথায় চলে যায়। এটা নিয়ে ভাইয়ার বাবা আর মা একটু চিন্তা করতে লাগলো। তারপর ভাইয়ার মা তাদেরকে একদিন সন্ধ্যায় মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বলল তোমরা যখন আজকে মাছ ধরবে তখন খেয়াল করবে আশেপাশে কিছুর শব্দ শুনতে পাও কিনা। যাই হোক পরবর্তীতে ভাইয়াদের সাথে কি ঘটে গেল সেই পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। আশা করি আজকের পর্বটা আপনাদের বেশি ভালো লাগবে। ( প্রথম পর্ব )
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1812475718892412969?t=Ew2kLK3fmf989ev2QFUAhg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভূতের গল্প গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে শুনতে এবং পড়তে। ভাইয়ার কাছ থেকে শোনা ভুতের একটা গল্প আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করতেছেন। আমার কাছে এই গল্পটার প্রথম পর্ব পড়তে অনেক ভালো লেগেছে। ছোটবেলার ওই দিনগুলো সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। কারেন্ট চলে গেলে সবাই মিলে আড্ডা দেওয়ার মধ্যে আলাদা আনন্দ ছিল। যাইহোক ভাইয়াদের সাথে পরবর্তী দিনে কি হয়েছে এটা জানার জন্য তো অনেক বেশি আগ্রহ জন্মেছে। মাছ গুলো কোথায় যাচ্ছে এটাই তো বুঝতে পারতেছি না। আশা করছি পরবর্তী পর্বে তা জানতে পারবো।
ঠিক বলেছেন ছোটবেলায় সবাই মিলে কারেন্ট গেলে অনেক আড্ডা দেওয়া হতো। আর চেষ্টা করব পরবর্তী পর্ব খুব দ্রুত আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
ছোটবেলায় আমরাও টেলিভিশনকে টিভি বলতাম।আর মানুষের মুখে গল্প শুনতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে।আপনার এক বড় ভাইয়ের মুখে গল্প শুনে ভালো লাগলো।আমার তো মনে হচ্ছে মেছো ভূতে সব মাছ নিয়ে মনে হয় পালাই।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আর পরবর্তী পর্ব দ্রুত শেয়ার করার চেষ্টা করব
আগেকার দিনে রাতের বেলায় মাছ ধরতে যাওয়ার গল্প এরকম আমিও শুনেছি । আপু আপনার গল্পটি বেশ ভালো লাগছিল। নিশ্চয়ই মাছগুলো ভূতে খেয়ে নিয়েছে। যাই হোক পরবর্তী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম । আশা করি তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন । ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের সুন্দর মন্তব্যগুলো পেলে ভালো পোস্টগুলো করার উৎসাহ আরও বেড়ে যায়
আপনার ভূতের গল্প শুনে তো আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। ছোটবেলা অনেকের কাছে শুনেছি রাত্রেবেলা মাছ ধরলে মাছগুলো নাকি খারাপ কি যেন খেয়ে ফেলে। এবং কিছু বলে তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। যেহেতু আপনার চাচাতো বোনের হাজব্যান্ড এর কাছে গল্পটি শুনেছেন। তবে গল্পের মধ্যে কোন রহস্য আছে। যদি আপনার প্রথম পর্বে এখনো সেই রহস্য বোঝা যায় নাই। আশা করি পরের পর্বে বোঝা যাবে কি রহস্যটি। এবং পরে পর্বটি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
ঠিক বলেছেন গল্পগুলোর মাধ্যমে কিছু টুইস্ট রাখলে পরবর্তী পর্ব পড়তে বেশি ভালো লাগে।
আপনার চাচাতো বোনের বরে কে আপনারা ভাইয়া ডাকতেন আমাদের এদিকেও ভাইয়া ডাকে তবে আগের দিনের মানুষেররা দুলাভাই ডেকে থাকেন। আমাদের এলাকায় ও টিভি বলে অনেকেই সংক্ষেপে টেলিভিশনকে।আপনার ভাইয়ার কাছে শোনা গল্পটি মনে হয় ভয়ংকর হবে।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ গল্পটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আমাদের এদিকেও টেলিভিশনকে আমরা টিভি বলি। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ