আবারো ঢাকায় ফেরা ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমি গতকাল নীলফামারী থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। ঈদের ছুটিতে পরিবারের সাথে ঈদ করার জন্য নীলফামারী গিয়েছিলাম। ঈদের ছুটি শেষে আবারও নীলফামারী থেকে ঢাকায় আসার অনুভূতি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
আমার ভার্সিটিতে খেলা শুরু হয় গতকাল থেকে অর্থাৎ ১৬ তারিখ থেকে। তাই ১৫ তারিখ রাতে বাসের টিকিট কাটি। ঈদের সময় কোন বাসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল না তারপরেও অনেক কষ্ট করে কোন মতো একটি বাসের টিকিট সংগ্রহ করি। আর ট্রেনের টিকিট তো ১০ দিন আগেই সোল্ড আউট হয়ে যায়। শ্যামলী বাস নিলফামারী থেকে ঢাকা নতুন বাজার হয়ে যায় কিন্তু শ্যামলে বাসের টিকিটও পাই না। শেষমেষ অনেক কষ্ট করে তয়েজ বাসের একটি টিকিট সংগ্রহ করি। টিকিটের দাম ও নরমাল দামের থেকে অনেক বেশি ছিলো। যাইহোক আমার বাস ছিলো ১৫ তারিখ রাত ৯ টায়। আমি ৯ টার ২০ মিনিট আগেই নীলফামারী বাস টার্মিনালে পৌঁছে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের বাসটিও চলে আসে। বাসে আমার সিট ছিলো একদম শেষের দিকে। বাসের শেষ এর দিকে এতো লম্বা জার্নি করা আসলেই অনেক কষ্টের। তবে কিছু করার নেই যে করেই হোক ঢাকা আসতে হবে।
ঈদের ছুটি শেষে আবারো সেই ভার্সিটি লাইফে ফেরার প্রস্তুতি। সত্যি কথা বলতে বাসা থেকে আসতেই ইচ্ছে করছিল না। বাসায় পরিবারের সবাই মিলে একসাথে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। বাসা থেকে আসার সময় অনেক খারাপ লাগে। পরিবার ছেড়ে, পরিচিত শহর ছেড়ে দূরে থাকাটা আসলেই অনেক কষ্টের। ঢাকায় আমি সবথেকে বেশি মিস করি আমার আম্মুকে। আমি বাসা থেকে ঢাকা আসার সময় মায়ের মুখের দিকে তাকানো যায়না,আমার ও খুব খারাপ লাগে।
যাইহোক রাত নয়টার বাস ৩০ মিনিট লেটে অর্থাৎ রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে নীলফামারী বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা গাবতলী এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাসটি সৈয়দপুর পার হওয়ার পরে সামনে অনেক জ্যাম থাকায় বাসটি পারবতিপূর রোডে ঢোকায়। সাধারণত বাসগুলো রংপুর হয়ে যায় কিন্তু রংপুর রোডে জ্যাম থাকায় গাড়িটি রুট চেঞ্জ করে পারবতিপূর হয়ে যায়। পারবতিপূর রোডে জ্যাম না থাকায় বাসটি যথাসময়ে বগুড়ায় প্রবেশ করে। বগুড়ায় এখনো পুরোপুরি রাস্তার কাজ শেষ হয়নি তাই বগুড়ায় একটু জ্যাম ছিলো। বগুড়া শহর পার হয়ে প্রায় রাত দুটোয় বাসটি পেন্টাগন ফুড ভিলেজে পৌঁছায়।
ফুড ভিলেজে খাওয়ার বিরতি দেয় ২৫ মিনিট। খাওয়া দাওয়া করে নিজের সিটে যেয়ে বসি। এরপর কিছুক্ষণ পরে বাসটি আবার রওনা দেয়। আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসছিলো। আমি কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে পরি। ঘুম ভাঙার পরে দেখি সাভারে পৌঁছে গেছি। এরপর আর ঘুমাই না। বাসটি ভোর ৬ টায় গাবতলি পৌঁছায়। আমি গাবতলিতে নামি। গাবতলি থেকে অছিম বাস নতুনবাজার এ যায়। আমি গাবতলিতে নেমে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে একটি অছিম বাস আসে। আমি বাসটিতে উঠি, যেহেতু ভোর বেলা ছিলো বাসটিতে তেমন মানুষ ছিলো না ও রাস্তা ও ফাকা ছিলো। রাস্তা ফাকা থাকায় ৪৫ মিনিটের মধ্যেই গাবতলি থেকে নতুনবাজার চলে আসি। নতুন বাজার থেকে একটি রিক্সা করে বাসার সামনে এসে নামি।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঈদের সময় বাসের টিকিটের বেশ চাহিদা থাকে। সেজন্য তারাও দাম বাড়িয়ে দেয়। এটাই তাদের বিজনেস পলিসি। ঈদ শেষে বাড়ি ছেড়ে পরিবার ছেড়ে আবার ঢাকা ফেরার ব্যাপার টা সত্যি খুব কষ্টের। ব্যাপার টা দারুণ পেইন দিয়ে থাকে। ঈদের মধ্যে হওয়াই রাস্তায় জ্যাম বাঁধা স্বাভাবিক। যাইহোক সবমিলিয়ে সুস্থ্যভাবে ঢাকায় পৌছে গিয়েছেন এটা দেখে ভালো লাগল।
ঈদের ছুটি শেষে এখন প্রত্যেকেই তাদের কর্মস্থলে চলে যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি আপনার ইউনিভার্সিটি খোলার কারণে আপনাকে খুবই তাড়াতাড়ি ঢাকায় চলে যেতে হয়। বেশ কয়েকদিন আগে আমি ঢাকা যাওয়ার সময় পেন্টাগন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে সেহেরি করেছিলাম। আপনি ও দেখছি এই হোটেলের মধ্যে খাওয়া দাওয়া করছেন। আপনি ঠিক ভাবে ঢাকায় পৌঁছেছেন জেনে অনেক বেশি ভালো লাগলো।