ক্রিয়েটিভ রাইটিং: অন্ধকারে আলো।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট করবো। ক্রিয়েটিভ রাইটিং লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। লিখতে এবং পড়তে দুইটাই আমি অনেক পছন্দ করি। এই কমিউনিটির অনেকেই সুন্দর সুন্দর লেখা পোস্ট করে। আমি মোটামুটি সবার লেখা পড়ার চেষ্টা করি। সবাই খুব দারুন দারুন বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে।
রাতে নেমেছে অন্ধকার, যেন মেঘে ঢেকে গেছে চাঁদ। শহরের আনাচে-কানাচে সবকিছু যেন থেমে আছে সবকিছু একদম নিশ্চুপ। একদম চুপচাপ তবে সেই অন্ধকারের মধ্যে জেগে আছে একটি মন যা হাল ছাড়তে রাজি নয়। জেগে আছে অনিন্দ্য আর আরমান।অনিন্দ্য আর আরমান ছোটবেলা থেকেই বন্ধু। একই স্কুলে পড়াশোনা করে একই মাঠে খেলা আর একসঙ্গে বেঁচে থাকার প্রতিজ্ঞা। অনিন্দ্য খুবই সাহসী আর আরমান বেশ বুদ্ধিমান। তারা দুজনই একে অপরের পরিপূরক।একদিন রাতের আঁধারে, অনিন্দ্য আর আরমান শহরের বাইরে একটি পাগলা বাড়িতে চলে গেল। সবাই বলে ওই বাড়িতে ভূত আছে। কেউ রাতে সেখানে যেতে সাহস পায় না। কিন্তু অনিন্দ্য আর আরমান ভয় পায় না। তাদের মনে সাহস আর বন্ধুত্বের জোর আছে।বাড়ির গেটে পা দিয়ে তারা বুঝতে পারল এখানে কিছু একটা অস্বাভাবিক। ঘরের দরজা খুলে ঢুকতেই তারা দেখতে পেল এক বৃদ্ধা তাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে। বৃদ্ধার চোখে অদ্ভুত এক আলো, যেন অনেক গল্প বলতে চায়।বৃদ্ধা বলল, "তোমরা কি ভূতের গল্প শুনতে চাও?"অনিন্দ্য সাহস করে বলল, "হ্যাঁ, শুনব। কিন্তু আপনার পরিচয় কি?"
বৃদ্ধা মৃদু হেসে বলল, আমি এই বাড়ির প্রহরী। আমার কাজ হলো যারা সাহস করে এখানে আসে তাদের সাহসিকতার পুরস্কার দেওয়া।অনিন্দ্য আর আরমান বিস্মিত হলো। "পুরস্কার?" তারা একসঙ্গে জিজ্ঞাসা করল।
বৃদ্ধা বলল, হ্যাঁ সাহস আর বন্ধুত্বের পুরস্কার। তোমরা সাহস করে এখানে এসেছো আর তোমাদের বন্ধুত্ব সত্যি মজবুত। তাই আমি তোমাদের একটি রহস্যময় মণি দিতে চাই যা তোমাদের সব ইচ্ছা পূরণ করতে পারবে। তবে মনে রেখো, এটি কেবল তখনই কাজ করবে যখন তোমরা একে অপরের পাশে থাকবে।অনিন্দ্য আর আরমান মণিটি হাতে নিয়ে খুব খুশি হলো। তারা প্রতিজ্ঞা করল, যত সমস্যাই আসুক না কেন, তারা একে অপরের পাশে থাকবে। বৃদ্ধা হেসে বলল, এখন তোমরা ফিরে যাও। মনে রেখো সাহস আর বন্ধুত্বের জোরেই পৃথিবী জয় করা যায়।
রাতের অন্ধকারে তারা ফিরে গেল শহরে, হাতে রহস্যময় মণি আর মনে সাহস আর বন্ধুত্বের অটুট বন্ধন। এই অন্ধকারেও তারা খুঁজে পেল আলো, যা তাদের জীবনকে নতুন রঙে রাঙিয়ে দিল। এইভাবে অনিন্দ্য আর আরমানের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হলো, আর তারা জানল সত্যি বন্ধুত্বই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সম্পদ।
সত্যিকারের বন্ধুত্ব এবং সাহসিকতা যে কোনো প্রতিকূলতা জয় করতে পারে। বন্ধুরা একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব হয়। অনিন্দ্য এবং আরমানের গল্পের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, বন্ধুত্বের শক্তি এবং সাহসিকতার জোরেই জীবনের সব সমস্যার সমাধান করা যায়।
পোস্টের ধরন | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
লেখা | মোঃ আশিকুর রহমানর |
ডিভাইস | গ্যালাক্সি এ ১৫ |
লোকেশন | কালীগঞ্জ |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ ভাইয়া দারুন একটা গল্প লিখেছেন তো। প্রথমে ভাবলাম হয়তো ভূতের ভয়ংকর কিছু বা তারা কোনো বিপদে পড়েছে এরকম কিছু লিখবেন। পরে তো দেখলাম তারা একদম রহস্যময় মণি পুরষ্কার পেয়ে গেল, তাদের বন্ধুত্ব আর বিশ্বাসের কারণে। তবে সত্যি বলতে আমি একদম খাঁটি বন্ধুত্ব দেখেছি যারা রক্তের থেকেও বেশি আপন এবং একে অপরের পাশে বিনা কারণে দাঁড়ায়। আর এমন বন্ধুত্বগুলো আসলেই বন্ধুত্বের আইডল হিসেবে পরিচিত। অনিন্দ্য আর আরমানের বন্ধুত্ব এবং সাহস দেখে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে গঠন মূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।