নিজ পুকুরে বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরার অনুভূতি ।

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।

প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, নিজ পুকুরে বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরার অনুভূতি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

আসুন শুরু করি

মাছ ধরতে সবারই খুব বেশি ভালো লাগে। আসলে মাছ ধরতে ভালো লাগে না এমন মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যায় না। গ্রামাঞ্চলে যারা বসবাস করে তারা প্রায় সময়ে খাল, বিল, পুকুর, জলাশয়ে মাছ ধরে থাকে। শহরে যারা থাকে তাদের মাছ ধরার সুযোগ হয় না। মাছ ধরার ইচ্ছা থাকলে ব্যস্ততার কারণে অনেকের মাছ ধরাতে পারে না। মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করার আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে নিজের কাছে খুবই ভালো লাগে। মনে মনে ইচ্ছে জাগে নিজে পুকুরে নেমে মাছ ধরি। মাছ ধরার আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। মাছ ধরার আনন্দটা বেশ দুর্দান্ত।

আর তা যদি নিজ পুকুরের তাহলে তো আনন্দ অনেক গুণে বেড়ে যায়। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ধান ক্ষেতের মাঝে আমাদের একটি পুকুর রয়েছে‌। কয়েক বছর আগে জমিন কেটে পুকুর তৈরি করা হয়েছে। এই বছর দুই বার পুকুরে বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়েছে। নিজ পুকুরে মাছ ধরতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। সত্যি কথা বলতে আমার মাছ খাওয়ার চেয়ে মাছ ধরতে আনন্দ অনেক বেশি হয়ে থাকে। মাছ ধরার অনুভূতি সত্যি বলে বুঝানো যাবে না। পুকুরে বেড় জাল দেওয়ার জন্য জেলদের দুদিন আগে খবর দেওয়া হলো। তারা দুদিন পরে আসলো পুকুরে বেড় জাল দেওয়ার জন্য।

পুকুর বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরা হবে এই ভেবে মনের মাঝে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করতেছে । সকাল দশটায় ৭ জন জেলে আসলো । আমাদের পুকুর ধান ক্ষেতের মাঝে অবস্থান করার কারণে কোন বড় জাতের মাছের পোনা ছাড়ি নি। তাই ছোট মাছ বা পাঁচ মিশালী মাছ পাওয়া গেলো। এই মাছ গুলো প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদন হয়েছে। ছোট মাছের মধ্যে মলা, ঢেলা, পুঁটি কাছকি ইত্যাদি মাছ পেলাম। ৭ থেকে ৮ কেজি ছোট মাছ পাওয়া গেল। নিজের পুকুরের এতো মাছ দেখে সত্যি নিজের কাছে খুব ভালো লাগছে। জেলেদের পুকুর বেড় দেওয়ার জন্য ৬০০ টাকা দেওয়া হলো। আমার আম্মা ছোট মাছের চচ্চড়ি খুব পছন্দ করে।

একটু পেঁয়াজ এবং ঝাল বেশি করে দিয়ে চচ্চড়ি তৈরি করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। নিজ পুকুরের মাছ খাওয়ার স্বাদ অন্যরকম হয়ে থাকে। ছোট মলা, ঢেলা মাছ রান্না করলে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে। নিজ পুকুরে বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরার মুহূর্ত গুলো বেশ সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছি । কাঙ্খিত আশা অনুযায়ী মাছ পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। মাছ বেশি পাওয়ার কারণে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে কিছু মাছ দেওয়া হলো। আত্মীয়-স্বজনেরা মাছ পেয়ে খুব খুশি হলো।

আসলে পুকুরের তাজা মাছ পেলে সবাই কাছে খুব ভালো লাগে। বড় মাছ থেকে ছোট মাছ অনেকে খুব পছন্দ করে থাকে। নিজ পুকুরে বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরার মুহূর্ত সুন্দর ভাবে কাটিয়েছি।

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

পোস্ট বিবরণ :-

শ্রেণী	কবিতা
ক্যামেরা	realme C55
পোস্ট তৈরি	@ah-agim
লোকেশন	ফেনী, বাংলাদেশ

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের কবিতা আরো উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।

আমার পরিচিতি

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।