আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -৩৪
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
শৈশব নিয়ে মজার কোন কৌতুক বা হাসির অনু গল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
অনুগল্প:
ছোটবেলায় একদিন আমার জেঠুর মেয়ে ও কাকার মেয়ের সঙ্গে মাছ ধরা নিয়ে ঝগড়া বাধলো।বড়শি দিয়ে মাছ ধরার পালা।প্রথমে জেঠুর মেয়ে কিছুক্ষণ ট্রাই করলো কিন্তু কোনো মাছ ধরতে পারলো না।এরপর কাকার মেয়ে মাছ ধরার জন্য বসলো, যেই মাছ বড়শিতে ঠোকর দিল ।ওমনি ছিপ পিছন দিকে সজোরে দিল টান আর বড়শি গিয়ে বাধলো জেঠুর মেয়ের কপালে।জেঠুর মেয়ে তো হাউমাউ করে কান্না করতে শুরু করে দিল,এরপর ওর মা এসে ছাড়িয়ে দিল।যাইহোক বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে অন্যের কপাল ধরলো আমার কাকার মেয়ে।কিছুটা ভয় পেলুম আবার হাসিও।
ছোটবেলায় একবার আমার জেঠু মশাই আমাদের সকলের জন্য ঈদের জামাকাপড় কিনে এনেছিল। তার মধ্যে আমার জন্য শার্ট প্যান্ট এবং আমার জ্যাঠাতো বোনদের জন্য জামা কিনে এনেছিল। আমার জন্য যে শার্ট এনেছিল সেটি আমার পছন্দ হয়নি ।আমি জেঠু মশাইকে বললাম এখান থেকে আমাকে লালটা দাও আমার লাল টা চাই। তখন সবাই হাসতেছিল কারণ লাল যেটি আমি চাচ্ছিলাম সেটি ছিল মেয়ের জামা।
শৈশবের কম বেশি অনেক মজার মজার ঘটনা সবারই থাকে। আমার জীবনেও রয়েছে সেখান থেকে একটি ঘটনা আজ আমি সবার সাথে শেয়ার করছি। বয়স তখন বেশি না সাত কি আট হবে। সময়টা গরম কাল ছিল । তাছাড়া আম-কাঁঠাল লিচুর সিজন শেষের দিকটাতেও ছিল তখন। যেহেতু ফলের সিজন শেষের দিকে ছিল তাই গাছের সেরা কিছু লিচু তুলে রেখে দিয়েছিল অন্য আরেকটা রিলেটিভকে দেওয়ার জন্য। এই সেরা লিচুগুলো তুলে রাখা দেখে আমার খুব লোভ হয়। সুযোগের অপেক্ষায় থাকি কখন সুযোগ পেয়ে সেরা লিচুগুলো থেকে কিছু লিচু খাব এই ভেবে। সুযোগ পেয়ে পরের দিন দুপুরবেলায় সবার অনুপস্থিতি বুঝে ১২ থেকে ১৫ টা লিচু নিয়ে খাটের তলায় লুকিয়ে খাওয়া শুরু করে দি। প্রায় খাওয়া শেষের দিকে হবে এমন সময় ঠাকুরমার কাছে হাতেনাতে ধরা খেয়ে যাই। সে কি লজ্জাকর পরিস্থিতি! সেইবার সবাই আমার অনেক মজা উড়িয়েছিল । সেই কথা ভাবলে এখনো হাসি পায়। 🤪🥲
তখন আমার বয়স ৫/৬। আগেকার দিনে বিয়ের ভিডিও করে রাখা হত, তারপর সেই ভিডিও সবাই মিলে দেখা হত।এমনি একদিন আমার বাবা মায়ের বিয়ের ভিডিও দেখা হচ্ছিল সবাই মিলে। হঠাৎ আমার মনে হয়,"কি রে আমার বাবা মা আমাকে ছাড়াই বিয়ে করে নিল।এত বড় অনুষ্ঠান হল অথচ কোথাও আমি নেই। সেই যে কান্না শুরু করলাম সবাই হাজার বুঝিয়েও থামাতে পারে না। তারপর অনেক ঝামেলার পর থামি। এখনো বাড়ির লোকেরা এটার জন্য মজা নেয়।
ছোটবেলায় একদিন মামা আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। প্রতিবারই যখন মামার বাড়ি থেকে কেউ বেড়াতে আসে ,তখন যাওয়ার সময় আমার কাছে কিছু টাকা দিয়ে যায় ,কিছু কেনার জন্য। আমি প্রতিবারই না না বলি, কিন্তু মনে মনে খুব ইচ্ছা থাকে ,দুবার সাধলেই নিয়ে নেব। কিন্তু ওই দিন মামা দরজা দিয়ে বেরিয়ে জুতো পড়ে প্রায় চলেই যাচ্ছে ,কিন্তু টাকা আর দিচ্ছে না ।আমিও মামার পিছন পিছন যাচ্ছি ,যে কখন টাকা দেবে ! কিন্তু দিচ্ছে আর না ।তারপর দেখি জুতো পড়ার পর বলছে, আমি তো ভুলেই গেছিলাম, এই নে এই টাকা দিয়ে তুই কিছু কিনে খাস ।এদিকে মনে মনে আমার তো টাকা নেওয়ার খুব ইচ্ছা। তবুও আবার মুখে বলছি ,না না আমার এসব লাগবে না। তারপরে জোর করে আমার হাতে যখন টাকাটা গুজে দিল ,মনে মনে তো খুব খুশি হয়ে ঘরে ঢুকে পড়লাম ।কিন্তু মুখে এমন ভাব দেখাতে থাকলাম ,যে থাক আমার এটা না হলেও হতো। কি দরকার ছিল! হি হি হি।
একদিন বাজার থেকে পাচঁ কেজি চাউল কিনে সাইকেলের পেছনে রেখে পুরো পথ সাইকেল চালিয়ে বাসায় পৌছে দেখি সাইকেলের পেছনে শুধু ব্যাগটাই আছে, চাউল আর নেই। সেটা দেখে মাথায় হাত দিয়ে আমি বেহুশ হয়ে গেছিলাম,হা হা হা। 😂😂😂
ওই ৫ কেজি চাল ভাই রাস্তায় খেয়ে নিয়েছিল! হেহেহে🤣🤣