বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি @shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমার শরীর ভালো নেই। সেই সাথে মন ভালো নেই। হঠাৎ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখে খুবই খারাপ লাগলো। বৃদ্ধাশ্রমের একটি প্রতিবেদন ছিল। আর সেই প্রতিবেদন দেখেই একটি পোস্ট লিখতে চলে এলাম। তো বন্ধুরা চলুন আমার আজকের লেখা পড়ে নেওয়া যাক।

বৃদ্ধাশ্রমের আর্তনাদ আমরা বুঝতে পারি না। যেই মানুষটি পরিবারের আপন মানুষ, কাছের মানুষ সবাইকে ছেড়ে বৃদ্ধাশ্রমের চার দেয়ালের মাঝে আশ্রয় নিয়েছে সেই মানুষটির অসহায়ত্ব আমরা হয়তো বুঝতে পারি না। বৃদ্ধাশ্রমের মানুষের কষ্ট হয়তো আমরা বুঝতে পারি না। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা দুবেলা না খেয়ে থাকতে রাজি আছে কিন্তু তার প্রিয় পরিবার ছেড়ে থাকতে রাজি নয়।

এমন অসহায় বৃদ্ধ মা-বাবা আছেন যারা না খেয়ে থাকলেও কখনো সন্তানকে দোষারোপ করেন না। সন্তানের মুখ দেখলেই তাদের সব দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়। তারা সন্তানদের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করেন। এতেই তাদের সুখ রয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় সন্তানরাই তার বাবা-মায়ের থেকে দূরে থাকতে চায়। তারা সন্তানের কোন দায়িত্বই পালন করে না। এমন কি বৃদ্ধ বাবাকে শেষ বয়সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে। কিংবা বের করে দিয়ে থাকে।

আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা আর্থিকভাবে অনেকটাই সচ্ছল। কিন্তু বাবা-মায়ের জায়গা হয় না তাদের ওই বড় বাড়িতে। শেষ ঠিকানা হয় তাদের বৃদ্ধাশ্রম। বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে সেই বাবা-মায়ের চোখ ছলছল করে। দুঃখে কষ্টে বুকটা ফেটে যায়। কিন্তু কাউকে বোঝাতে পারেনা। নিজের আপন মানুষগুলো যখন বুঝতে চায় না তখন নিজের দুঃখ অন্য কাউকে বোঝাতেও তারা চায় না। কখনো কখনো নিজের চাপা কষ্ট বুকে চেপে রাখে।

হয়তো প্রিয় সন্তান কিংবা নাতি নাতনিকে দেখার জন্য দুচোখ পলকহীন ভাবে তাকিয়ে থাকে। মনে করে আজকে বোধহয় তার প্রিয় মানুষগুলো তাকে দেখতে আসবে। এভাবে সময় চলে যায় কিন্তু তারা দেখতে আসে না। হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা কর্তৃপক্ষকে কিছু টাকা দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করে ফেলে। তাদের আপন মানুষগুলোকে বুঝতে চায় না। এমনকি তাদের সাথে দেখা করার সময় পর্যন্ত হয় না। সেই সন্তানগুলোকে বাবা-মা অনেক আদর যত্নের লালন করেছে। কিন্তু দিনশেষে সেই সন্তানরাই হয়তো তাদের কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিটি বাবা-মায়ের চোখের কান্না যেন এক একটি হাহাকারের গল্প। এক একটি আর্তনাতের গল্প।