নৌকা ভ্রমণের গল্প।

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে ঘটনা শেয়ার করব। নৌকা ভ্রমণের গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। কয়েক দিন আগে অনেকজন বন্ধু মিলে নদীর ভ্রমন করতে গিয়েছিলাম সেই গল্পই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের সবার সাথে নৌকা নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার একটি ঘটনা শেয়ার করব। অনেকদিন আগে আমাদের বাড়ির পাশে একটি ছোট নদী রয়েছে সেখানে গিয়েছিলাম আমার বান্ধবীদের সাথে। নদীটি নাম হচ্ছে ফেনী ছোট নদী এবং এটি আমাদের বাড়ি থেকে অল্প একটু দূরে। এই ছোট পেনি নদী ফেনী জেলার মধ্যে অন্যতম একটি নদী। এই নদীতে মানুষ মাছ ধরে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করে।

এই নদীতে আমি আমার বন্ধুদের সাথে অনেকদিন আগে নৌকা ভ্রমনে গিয়েছিলাম। আমরা সবাই সর্বপ্রথম স্কুল থেকে এসে একসাথে হলাম। তারপর সবাই মিলে উদ্যোগ নিলাম যে আজকে সবাই নৌকায় উঠবে এবং নৌকা ভ্রমন করব। উদ্যোগ নেয়া কমপ্লিট কিন্তু বিষয় হচ্ছে নৌকা চালানোর নৌকা চালাবে কে। পরবর্তীতে আমরা এটা নিয়ে চিন্তা করতে করতে আমাদের মধ্য থেকে একজনকে প্রস্তুত করলাম যে নৌকা চালানোর জন্য।

পরবর্তীতে আমরা সবাই নদীর পারে গেলাম এবং দেখলাম নদীর পাড়ে অনেকগুলি নৌকা মানুষ এবার থেকে ওপার পার হচ্ছে এবং অনেকগুলি নৌকা মাছ ধরার জন্য এদিক সেদিক যাচ্ছে আবার অনেকগুলি নৌকা নদীর তীরে বসে আছে। আমরা একটি নৌকাটি ভাড়া করলাম সবাই মিলে তারপর নৌকাতে উঠলাম এবং আমাদের মধ্যে একজন সিলেক্ট করলাম নৌকা চালানোর জন্য। তার হাতে নৌকার বৈঠা তুলে দিলাম।

যারা প্রতিনিয়ত নৌকা চালায় তারা অনেক সুন্দর ভাবে নৌকা চালাতে পারে। কিন্তু যারা হঠাৎ করে একদিন নৌকা চালায় তাদের চালানোর মধ্যে একটু সমস্যা হয় ঠিক ওই রকমই আমাদের মধ্যে প্রবলেম হয়েছিল। আমার বন্ধু বৈঠা নিয়ে নৌকা চালানোর জন্য চেষ্টা করতেছিল কিন্তু নৌকাটি একটু সামনে যাচ্ছে না এবং ঘুরতেছে না। এটাই স্বাভাবিক কারণ যারা পেশাগত চালক আর যারা সাধারণ মানুষ তাদের মধ্যে তো পার্থক্য থাকারই কথা । তো পরবর্তীতে আমরা অনেক কষ্টে নৌকাটি নিয়ে একজনের উপর একজন বৈঠা নিয়ে নৌকা চালাতে লাগলাম। এমন একটু পর একটু সামনে গিয়ে নদীটির মধ্যে ঘুরে ফিরে আসলাম।

নদী আমরা তেমন বেশি দূর যেতে পারিনি।একটু গিয়ে পরবর্তীতে সবাই মিলে আবার দিনে চলে আসলাম। কারণ নদীর মধ্যে পানির স্রোত অনেক বেশি ছিল। পানি স্রোত যখন বেশি থাকে তখন খুবই রিস্কি হয়ে যায় নৌকা চালানো । পরবর্তীতে আমরা সবাই পুনরায় তীরে এসে আমরা সবাই সবার বাড়িতে চলে গেলাম।

আমার পরিচয়

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।