ফোটোগ্রাফি সিরিজ : "কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম পরিদর্শন" - পর্ব ০৭
আজকে আমার বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম পরিদর্শনের সপ্তম পর্ব । আর মাত্র একটি পর্ব বাকি আছে এই সিরিজ ফোটোগ্রাফি পোস্টের । আগামীকালই তাই শেষ হতে যাচ্ছে এই সিরিজটি । বিশাল বড় এই মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামটি ঘুরে ঘুরে দেখতে আমাদের সবারই খুব ভালো লেগেছিলো । বিশেষ করে টিনটিনের । সে বিশাল এক্সসাইটেড ছিল । এতো এতো রং বেরঙের মাছ দেখতে পেয়ে তার খুশির আর শেষ ছিল না ।
হয়তো সবারই রঙিন চিত্র বিচিত্র মাছ দেখলে মনে আনন্দের ঢেউ জাগে, কিন্তু মাছ দেখলেই আমার তার সৌন্দর্য্যের চাইতে খাওয়ার কথাটাই সর্বাগ্রে মনে আসে । মাছপ্রেমী মানুষ আমি, কিন্তু সেটা মাছের সৌন্দর্য্যে বিমোহিত হয়ে নয়, তাদের স্বাদে বিমোহিত হয়ে ।
এই পর্বের উল্লেখযোগ্য সামুদ্রিক প্রাণীরা হলো - টাইগার শার্ক, সামুদ্রিক বিশালকায় কচ্ছপ Green sea turtle, টাইরা ব্যাটফিশ (Teira batfish), শংকর মাছ (স্টিং রে ), বারামুন্ডি (ভেটকি), Reticulate whipray (এক প্রজাতির স্টিং রে), রাইনোবাটোস (Rhinobatos) এবং দৈত্যাকার গ্রপার (Goliath Grouper) ।
এদের মধ্যে এক শংকর মাছ আর ভেটকি ছাড়া আর কোনো সামুদ্রিক প্রাণী একদম খালি চোখে দেখার কোনোদিন সৌভাগ্য হয়নি । এবারই ফার্স্ট দেখা পেলাম তাদের । কি সৌভাগ্য !
প্রথমেই আসি টাইগার শার্কের কথায় । সমুদ্রের সব চাইতে হিংস্র প্রাণীদের মধ্যে একটি হলো টাইগার শার্ক । এরা অতিকায়, হিংস্র, রক্তলোভী নৃশংস খুনে প্রাণী । টাইগার শার্ক স্বভাবতই মানুষখেকো হয় । কোনো মানুষ টাইগার শার্কের আক্রমণে পড়লে তার কবল থেকে বেঁচে ফেরাই মুশকিল হয়ে পড়ে তার পক্ষে ।
সেই টাইগার শার্কের দেখা পেলুম এদিন । বিশাল বড় একটা সল্ট ওয়াটার অ্যাকোয়ারিয়াম, তার এ মাথা থেকে ও মাথা অব্দি ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে টাইগার শার্কটি ।
এরপরে যেটা দেখে খুব এক্সসাইটমেন্ট ফিল করেছিলাম সেটা হলো দৈত্যাকার একটি সামুদ্রিক কচ্ছপ । এই কচ্ছপগুলোর ইংলিশ নেম হলো Green sea turtle, অর্থাৎ কিনা সবুজ সামুদ্রিক কচ্ছপ । আসলেই কিন্তু এই অতিকায় কচ্ছপগুলোর গায়ের রং কেমন যেন সবজেটে । দেখতে অনেক সুন্দর এই কচ্ছপগুলি ।
এরপরে যেগুলোর দেখার মতো মাছ ছিল তা হলো স্টিং রে । বিশালকায় স্টিং রে গুলো যখন ডানা ঝাপ্টে সাঁতার কাটছিলো তখন তাদেরকে অতিকায় জীবন্ত ঘুড়ির মতো দেখাচ্ছিল । পিছনে দীর্ঘ চাবুকের মতো লেজ । আর দেখলাম দৈত্যাকার ভেটকিগুলো । এক একটা কম করে হলেও পাঁচ হাত লম্বা ।