"দেশের ব্যাংকসমূহের অনিয়ম বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয়" অর্থমন্ত্রী আবুল মাল।

in #varialbe6 years ago

Bill.jpg
"দেশের ব্যাংকসমূহের অনিয়ম বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয়" অর্থমন্ত্রী আবুল মাল।
"১৯৬১ সাল থেকেই প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস দেখে আসতেছি : শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ।

ব্যাংকিং খাতে নজিরবিহীন লুটপাটে ব্যাংকগুলো যখন বিপর্যস্ত তখন অর্থমন্ত্রী যদি বলে ব্যাংকিংখাতে ত্রূটি বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই তখন উনি কি বার্তা দিচ্ছেন?

শিক্ষাখাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস যখন দেশের শিক্ষাব্যবস্থার গলায় ফাস হয়ে দাঁড়িয়েছে তখন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস? সেতো সেই ১৯৬১ সল্ থেকেই হয়ে আসছে! তখন উনি আসলে কি বার্তা দিচ্ছেন?

As if দোষ আমাদের না দোষ আমাদের লিগাসির। As if যা কিছু হারায় গিন্নী বলে কেষ্ট বেটাই চোর!

মন্ত্রীদের এইসব বক্তব্যই প্রমান করে যে এটা একটি মূর্খের দেশ। এরা জানে যে তারা সত্যজিতের হীরক রাজার দেশের জন্তরমন্তর দিয়ে দেশের সকল জ্ঞানী বুদ্ধিজীবীকে বলদ বানিয়ে পদ পদবি পাওয়ার নেশায় বুঁদ করে রেখেছেন। একটি দেশ তখনি আগায় যখন দেশের জনগণ তার অধিকার সম্মন্ধে সচেতন, যখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে। মুখবুজে সহ্য করা কখনো ভালো লক্ষণ না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)
IMG0152A.jpg

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চলছে। আচ্ছা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা কত? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং প্রশাসন কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের ছাত্রদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারছে? অধিভুক্ত সাতটি কলেজের একেকটির ছাত্র সংখ্যা কত জানেন? এই সাত কলেজের সম্মিলিত ছাত্র সংখ্যা যা ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৩৬ জন শিক্ষার্থী যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ছাত্রের কয়েকগুন বেশি। প্রশ্ন হলো আমরা কেন এই সাত কলেজের দায়িত্ব নিতে গেলাম? আচ্ছা আগে আসি এই সাতটি কলেজ অধিভুক্ত হওয়ার কারণে আমরা অর্থাৎ শিক্ষকদের কি অতিরিক্ত দায়িত্ব আসছে। সাতটি কলেজের প্রত্যেকটিতেই আছে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ। ওদের প্রতি বিভাগে কোর্স পরীক্ষা, ল্যাব পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা। এই পরীক্ষাগুলো পরিচালনার জন্য পরীক্ষা কমিটি তৈরী করা হয়। সেই পরীক্ষা কমিটি প্রশ্নপত্র প্রযনয়ন, প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন, পরীক্ষার ইনভিজিলেশন থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজে সম্পৃক্ত থাকতে হয়। তাছাড়া আমাদের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং-এর কর্মচারী কর্মকর্তারা আমাদের ছাত্রদেরকেই সেবা দিতে miserably ব্যর্থ। এই তারা কিভাবে আরো দেড় লক্ষাধিক ছাত্রের সেবার ভার বহন করবে?

এইসব কাজের জন্য physically আমাদের শিক্ষককে ওই ক্যাম্পাসে যেতে হয়। একদিন একজন শিক্ষককে ওই সাত কলেজের কোন একটিতে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হবে। অর্থাৎ ওই দিনগুলোতে ওই শিক্ষককে আমরা কলিগরাও পাইনা ছাত্ররাও পায় না। ধরুন ওই শিক্ষকের ওই দিন আমার বিভাগে ল্যাবে থাকার কথা কিন্তু তিনি নেই। ধরুন তার ক্লাস ছিল কিন্তু ক্লাসটি postponed করতে হচ্ছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতো শুধু ক্লাসে পড়াবেন আর প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন তাতো না। তাকে গবেষণাও করতে হয়। এমনিতেই যানজটের কারণে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়। এখন তার সাথে যুক্ত হচ্ছে এইসব বাড়তি ঝামেলা। এই বাড়তি দায়িত্বের কারণে সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি। শিক্ষককের ব্যক্তিগত লাভ যে উনি টাকা পাবেন। আমরা এখন এমন স্বার্থপর যে আমরা ব্যাক্তিলাভে অন্ধ সমষ্টির লাভক্ষতি দেখতে ব্যর্থ হচ্ছি প্রতিনিয়ত।

আমাদের বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির একটি নিয়মিত এজেন্ডা দাঁড়িয়ে গেছে ঐসব কলেজের পরীক্ষা কমিটি তৈরী করা। শুরুতে অনেকেই আগ্রহ দেখিয়েছিল। ইদানিং অনেকেই এই দায়িত্ব পালন করতে চাচ্ছেন না। সবেতো শুরু। সমস্যা একসময় জট পাকাতে বাধ্য। যার ফলে ওই সাত কলেজ শুধু না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও ভুগবে। এদিকে আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের কলেজের পরিচয় না দিয়ে ঢাবি'র পরিচয় দিয়ে নানা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। এতে ঢাবি'র শিক্ষার্থীদের সুনামহানী ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রীরা। এটা সুনাম ক্ষুন্নের ব্যাপার না শুধু। এটা পারা না পারার ব্যাপার। যতশীঘ্র সম্ভব আমাদের উচিত এই সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করা। এতে ওই কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও উপকৃত হবে আমাদের ছাত্রছাত্রীরাও উপকৃত হবে। ক্ষতি শুধু একটাই আর সেটা হলো শিক্ষকদের আর্থিকবান হতে না পারার ক্ষতি।

"মানুষ ভালো হলে, ইমানদার হলে শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে

"মানুষ ভালো হলে, ইমানদার হলে শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে" অধ্যাপক মুনতাসির মামুন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসময়ের যেকজন শিক্ষককে আলোকিত মানুষ মনে করতাম তাদের মধ্যে অধ্যাপক মুনতাসির মামুন ছিলেন অন্যতম। ছিলেন বললাম এইজন্য যে এখন আমি আর মনে করি না উনি ঠিক তেমন মানুষ যেমন মানুষ আমি মনে করতাম। ফার্মার্স ব্যাংকের একজন উদ্যোক্তা হয়ে ব্যাংকের অর্থ লুটপাটের দায় তিনি এড়াতে পারেননা। ইতিহাসের একজন অধ্যাপক হয়ে কিভাবে একজন ব্যাংক সৃষ্টির কারিগর হন বুঝতে আমার অসুবিধা হয়। এতে প্রমাণিত হয় আমাদের বুর্জুয়া সরকারগুলো আস্তে আস্তে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের নানা পদ পদবী ও অর্থের লোভ দেখিয়ে কলুষিত করে ফেলছেন।

উনার উপরোক্ত বক্তব্য প্রমান করে উনি ফার্মার্স ব্যাংকের কেলেঙ্কারির পর নৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পরেছেন। ফলে এখন ধর্মীয় নেতাদের মত ফতুয়া দিতেও লজ্জাবোধ করেন না। হায়রে দেশ! তোকে আগলে রাখার মানুষ দিন দিন কমতে কমতে প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকছে।
Kamrul Hassan Mamun

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64724.35
ETH 3436.21
USDT 1.00
SBD 2.55