নীলাচল কেন বিখ্যাত এবং কিভাবে যাবেন নীলাচল?
‘নীল’কে বলা হয় দুঃখের রঙ। বিষাদ বা বিষণ্নতার রঙ। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, নীল হতাশার রঙ হলেও প্রকৃতি বলে অন্যথা। প্রকৃতিকে সবচেয়ে সুন্দর ও মনোরম করতে নীলের জুড়ি নেই। যেখানে নীল, সেখানেই প্রকৃতির অপূর্ব মায়া। যে রঙটি বিষণ্নতার বাহক সেই রঙটি কিন্তু বিষণ্নতার কারণও হতে পারে। নীল আকাশের কাছাকাছি গেলে আপনার মন ভালো হতে বাধ্য। কিন্তু ভাবছেন আকাশের এত কাছে গেলে কিভাবে? তাহলে আজকের বিষয়বস্তু আপনার জন্য। নীলাচলের নীল আকাশ বা সাদা মেঘের সবটুকুই আপনি পাবেন বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর জায়গা। নীলাচলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং দূর সমুদ্রের স্পর্শ থেকে শুরু করে গাছপালা ও পাখির কিচিরমিচির সবকিছুই রয়েছে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ঘেরা নীলাচল সম্পর্কে।
কিভাবে যাবেন নীলাচল
ঢাকা থেকে বাসে সরাসরি বান্দরবান যাওয়া যায়। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে শ্যামলী, সৌদিয়া, এস. এস আলম, ইউনিক, সেন্ট মার্টিন পরিবহন ও হানিফের বাস বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসব বাসের জনপ্রতি ভাড়া যথাক্রমে নন এসি ৫৫০ টাকা এবং এসি ৯৫০ টাকা। রাত ৯-১০ টায় ছাড়লে সকাল ৮টার মধ্যে বান্দরবান পৌঁছে যাবেন। এছাড়া ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং সেখান থেকে বান্দরবানে ট্রেন বা বিমানে যেতে পারেন।
চট্টগ্রামের বাড্ডারহাট থেকে পূবালী ও পূর্বাণী নামের দুটি বাস বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এই দুটি বাসের ভাড়া জনপ্রতি 220 টাকা।
নীলাচল এ কোথায় থাকবেন
আপনি যদি নীলাচল এ থাকতে চান তবে নীলাচল স্ক্যাপ রিসোর্টের তিনটি কটেজের মধ্যে একটি বেছে নিতে পারেন আপনার জন্য। প্রতিটি কটেজে দুটি কক্ষ রয়েছে, প্রতিটি রুমের ভাড়া 3000 টাকা। নীলাচলে থাকতে চাইলে আগে থেকে যোগাযোগ করা ভালো। এছাড়া নীলাচল বান্দরবান শহরের কাছাকাছি তাই বান্দরবান শহরের হোটেল ও রিসোর্টে থাকতে পারেন। বান্দরবানের হোটেল এবং রিসোর্টের মধ্যে রয়েছে: হোটেল হিলটন, হিলভিউ, হোটেল প্লাজা, রিভার ভিউ এবং আরও অনেক কিছু।
নীলাচল এ কোথায় খাবেন
নীলাচল স্ক্যাপ রিসোর্টে রাত কাটালে কর্তৃপক্ষ খাবারের ব্যবস্থা করে। ফরেস্ট হিল নামে একটাই রেস্তোরাঁ আছে, ভালো খাবার নেই। প্রয়োজনে বান্দরবান থেকে হালকা খাবার নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন অথবা নীলাচল থেকে বান্দরবান শহরে ফিরে খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেন। বান্দরবান শহরে তাজিং ডং ক্যাফে, মেঘদূত ক্যাফে, ফুড প্লেস রেস্তোরাঁ, রূপসী বাংলা রেস্তোরাঁ, রি সাং গান, কলাপাতা রেস্তোরাঁ সহ অনেক খাবারের রেস্তোরাঁ রয়েছে।
Very nice presentation